‘না খেয়ে মরতে চাই না’



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
লালমনিরহাট

লালমনিরহাট

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতিদিন মহাজনসহ শত শত মানুষের বকুনি খেতে হয় হোটেল শ্রমিকদের। তবুও দিনশেষে সংসার চালানোর সামান্য টাকা পেয়ে সব ভুলে যায় সারাদিনের ক্লান্তি । করোনার কারণে সরকারি নির্দেশনা মেনে হাট-বাজারের সব হোটেল বন্ধ করে দিয়েছে দোকান মালিকরা। এতে কর্মহীন হয়ে পড়ে হোটেল শ্রমিকরা।

এসব শ্রমিকরা দিশেহারা হয়ে বুধবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এসময় তারা বলেন, জমানো সব টাকা-পয়সা শেষ, এখন ছেলে-মেয়েদের কি খাওয়াবো। আমাদের খাবার দিন, না হলে খাবরের অভাবে মরে যাবো। না খেয়ে মরতে চাই না।

অবস্থান কর্মসূচি শেষে হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি শ্রী সুধা বর্মণ রায়সহ শতাধিক কর্মহীন হোটেল শ্রমিকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন দেয় অফিসে দায়িত্বে কর্মচারীর হাতে।

জানা গেছে, প্রায় ৩’শ জন হোটেল শ্রমিক হাতীবান্ধা উপজেলা বিভিন্ন হাট-বাজারে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। কিন্তু করোনার কারণে সরকারি নির্দেশনা মেনে হাট-বাজারের ঝুঁকি কমাতে সব হোটেল বন্ধ করে দেয় হোটেল মালিকরা। বন্ধ হওয়ার পর থেকেই কর্মহীন মানুষরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। বাড়িতে গিয়ে তারা বসে বসে দিন কাটাচ্ছেন। নিরুপায় হয়ে বুধবার দুপুরে শতাধিক কর্মহীন হোটেল শ্রমিকরা উপজেলা অফিসার ( ইউএনও) সামিউল আমিনের কাছে যায়। কিন্তু দেখা না পেয়ে অবস্থান নেয় উপজেলা পরিষদের সামনে। পরে প্রায় দেড়ঘণ্টা পর হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি শ্রী সুধা বর্মণ রায়সহ কর্মহীন হোটেল শ্রমিকরা মিলে আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি শ্রী সুধা বর্মণ রায় বার্তা২৪.কম-কে জানান, দোকান পাট বন্ধ হওয়ার পর থেকেই তারা কর্মহীন হয়ে পড়ে। ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সারা না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আবেদন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিউল আমিন জানান, করোনাভাইরাস মোকাবিলার কাজে বাইরে থাকায় হোটেল শ্রমিকদের সাথে দেখা হয় নি। পরে তাদের বলা হয়েছে অফিসে এসে দায়িত্বে থাকা কর্মচারীর হাতে আবেদন পত্রটি দিতে। বিষয়টি অবশ্যই গুরত্বর সাথে দেখা হবে বলেও তিনি জানান।

   

নবম পে-স্কেল ও রেশনিং পদ্ধতি চালুসহ সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রেশনিং পদ্ধতি চালুসহ বৈষম্যমুক্ত নবম পে-স্কেল ঘোষণা, অন্তবর্তীকালীন সময়ের জন্য ১১ থেকে ২০ গ্রেডের কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদান, টাইমস্কেল সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল, সচিবালয়ের ন্যায় পদ-পদবি এবং এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি বাস্তবায়নসহ সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে সরকারি কর্মচারীরা।

শুক্রবার (১০ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়েছে। মানববন্ধনের আয়োজন করেছেন জাতীয় ভিত্তিক সংগঠন সমূহের সমন্বয়ে গঠিত জোট-বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ।

মানববন্ধনে সরকারি কর্মচারীরা প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আমাদেরকে সরকার যে বেতন ভাতা দিচ্ছে সেটা দিয়ে আমাদের সংসার চালাতে কষ্ট হয়। দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে পরিবার চালাতে আমাদেরকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আপনি এদেশের অনেক উন্নয়ন করেছেন। আপনার দ্বারা অনেক অসাধ্য কাজ সাধ্য হয়েছে। আপনি এদেশে পদ্মাসেতু, মেট্রোরেলসহ অনেক বড় বড় কাজ করেছেন। আপনার কাছে আমাদের একটাই দাবি সেটি হলো, সচিবালয়ের ন্যায় আমরা যারা বাহিরে কর্মরত আছি আমাদের পদন্নোতির ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানাচ্ছি। বর্তমান সময়ের সাথে সঙ্গতি রেখে বাড়ি ভাড়া, রেশনিং পদ্ধতি চালু, চিকিৎসা ভাতা, শিক্ষা সহায়ক ভাতা ও টিফিন প্রদানের জন্যও অনুরোধ জানাচ্ছি।

এসময় তারা সাতটি দাবি তুলে ধরেছেন। এগুলো হলো-

১. পে-কমিশন গঠন পূর্বক বৈষম্যমুক্ত ৯ম পে স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে। পে-স্কেল বাস্তবায়নের পূর্বে অন্তবর্তীকালীন সময়ের জন্য ৫০% মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান করতে হবে।

২. রেশনিং পদ্ধতি চালু এবং ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা অনুযায়ী ১০ ধাপে বেতন স্কেল নির্ধারণসহ পে-কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে।

৩. সচিবালয়ের ন্যায় সকল দপ্তর, অধিদপ্তর ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের পদ ও পদবী পরিবর্তনসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রনয়ণ করতে হবে।

৪. টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড পূণর্বহালসহ বেতন জ্যেষ্ঠতা পুনর্বহাল এবং সকল স্বায়তশাসিত প্রতিষ্ঠানে গ্রাচ্যুইটির পাশাপাশি পেনশন প্রবর্তনসহ বিদ্যমান গ্রাচুইটি/আনুতোষিকের হার ৯০% এর স্থলে ১০০% নির্ধারণ ও পেনশন গ্রাচুইটি ১ টাকার সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।

৫. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপিল বিভাগের রায় বাস্তবায়নসহ সহকারী শিক্ষকদের বেতন নিয়োগ বিধি-২০১৯ এর ভিত্তিতে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ। আউট সোর্সিং পদ্ধতি বাতিলপূর্বক উক্ত পদ্ধতিতে নিয়োগকৃত ও উন্নয়ন খাতের কর্মচারীদের রাজস্বখাতে স্থানান্তর করতে হবে।

৬. ব্লক পোষ্টে কার্ডঞ্জত কর্মচারীসহ সকল পদে কর্মরতদের পদোন্নতি বা ৫ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে, অধস্তন আদালতের কর্মচারীদের বিচার বিভাগীয় কর্মচারী হিসেবে গণ্য করতে হবে, এছাড়া টেকনিক্যাল কাজে নিয়োজিত কর্মচারীদের টেকনিক্যাল পদ মর্যাদা দিতে হবে।

৭. বাজারমূল্যের উর্দ্ধগতি ও জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সাথে সমন্বয় পূর্বক সকল ভাতাদি পুনঃনির্ধারণ করতে হবে। চাকুরীতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়স সীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করতে হবে।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দিয়েছেন, সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ও মুখ্য সমন্বয়ক মো. ওয়ারেছ আলী, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি ও সমন্বয়ক খায়ের আহম্মেদ মজুমদার, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সমন্বয়ক ও সেক্রেটারি মোহাম্মদ গাজীউল হক চৌধুরী, বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল হালিম প্রমুখ।

;

অসময়ে ভাঙছে নদী, আতঙ্কে পদ্মা পারের মানুষ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

হঠাৎ করে অসময়ে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় দেখা গিয়েছে নদী ভাঙন। বেশি ভাঙনের কবলে পড়েছে ৬ নম্বর ফেরী ঘাট এলাকা। অসময়ে নতুন করে ভাঙন দেখা দেওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে নদীপারের মানুষ। গত এক সপ্তাহে ভাঙনে প্রায় ৫০ মিটার এলাকা নদীতে বিলীন হয়েছে। পদ্মা নদীর ভাঙনের শিকার পদ্মা পারের মানুষগুলো আগের থেকেই ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

এদিকে গত এক সপ্তাহ ধরে ভাঙন শুরু হলেও ভাঙন প্রতিরোধে বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল থেকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ(বিআইডব্লিউটিএ) বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু করেছে।

এরই মধ্যে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র। পরিদর্শন শেষে তিনি জানান, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নদী ভাঙন প্রতিরোধের কাজ করা হবে। কোথায় কোথায় আগে জিও ব্যাগ ফেলতে হবে তা নির্ধারণ করা হচ্ছে। সেই মোতাবেক কাজ চলবে।


ভাঙন এলাকাতে গিয়ে দেখা যায়, অসময়ের ভাঙনের কবলে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে দৌলতদিয়া ৬ নং ঘাট এলাকা। ভাঙনরোধে বিআইডব্লিউটিএ এর সহযোগিতায় ট্রলার থেকে বালু ভর্তি করে নদীতে জিও ব্যাগ ফেলছে শ্রমিকরা।

প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ব্যাপক ভাঙনের কবলে পড়ে রাজবাড়ীর ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া পদ্মা পাড়ের হাজারো মানুষ। ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হন তারা। পাকা স্থাপনা, বসত বাড়ি, কৃষি আবাদী জমিসহ বিভিন্ন ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে যায়। হুমকির মুখে রয়েছে রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধ।

ভাঙনরোধে প্রতি বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করলেও তা নিয়ে ভুক্তভোগীদের রয়েছে নানা অভিযোগ। দায়সারা কাজ করে সরকারের কোটি কোটি টাকা লোপাট করছে একটি অসাধু সরকারি কর্মকর্তাদের চক্র বলে দাবি করেন পদ্মা পারের মানুষ। নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী উদ্যোগ গ্রহণ করার জোড় দাবি জানান তারা।

;

চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে তরুণ খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীতে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে এক তরুণকে খুন করা হয়েছে। এ সময় আরো একজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর ইপিজেড থানার আকমল আলী পকেট গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মেহেদী হাসান (১৯) ভোলার লালমোহন থানার গোবিন্দ বাজার এলাকার বাসিন্দা। আহত আরেক তরুণের নাম মো. রিফাত (১৯) বলে জানা গেছে।

নগর পুলিশের উপকমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা বলেন, ‘প্রাথমিক তথ্যে আমরা জানতে পেরেছি, সাদিক ও রমজান নামে দুজন পোশাক কর্মীর মধ্যে কারখানার অভ্যন্তরের ঘটনা নিয়ে ঝগড়া হয়। একই কারখানার কর্মী রিফাত তাদের মধ্যে মীমাংসার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু রিফাত রমজানের পক্ষ নিয়েছে বলে সন্দেহ হয় সাদিকের।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ জন্য সাদিক ইপিজেড এলাকার তার কিছু বন্ধুবান্ধবকে ঠিক করে রিফাতকে মারধর জন্য। কারখানা ছুটির পর সাদিকরা রিফাতের ওপর হামলা করে। সেখানে সম্পূর্ণ নিরীহ মেহেদীও ছুরিকাঘাতের শিকার হন’।

রিফাত ও মেহেদীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মেহেদীকে মৃত ঘোষণা করেন বলেও শাকিলা জানান।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক জানান, ’রাত ১০টার দিকে ইপিজেড থানার আকমল আলী পকেটগেট এলাকা থেকে ছুরিকাঘাতে আহত দুজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এদের একজনকে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত আরেকজন হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।’

;

বেড়েছে মসলার দাম, নাগালের বাইরে মাছ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কোরবানির ঈদের এখনো দেড় মাস বাকি। অথচ সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে বলে ক্রেতাদের অভিযোগ। তবে এখনো স্বাভাবিক আছে জিরার দাম। ক্রেতারা বলছেন মূলত সামনে কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে মসলার দাম বাড়িয়েছে। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন এখনো বাড়েনি মসলার দাম। তবে চাহিদার তুলনায় যোগান কম এবং ডলারের মূল্য বৃদ্ধিতে মসলার দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ব্যবসায়ীদের ধারণা ঈদের আগে দাম কিছুটা বৃদ্ধি পাবে।

শুক্রবার ( ১০ মে ) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। 

খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, মাছ মাংস শাক সবজি মসলাসহ সকল পণ্য গত সপ্তাহের তুলনায় বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে মাংসের দাম ছিলো অপরিবর্তিত। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৮০/৮০০ টাকা, আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকা কেজি। এছাড়া রয়েছে ব্রয়লার মুরগি, সোনালী মুরগি। তবে দেশি মুরগির দাম আকাশছোঁয়া। প্রতি কেজি দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬৬০/ ৭০০ টাকা কেজি।


মসলার বাজারে দেখা গেছে প্রতি কেজি জিরা আগের দামে পাওয়া যাচ্ছে। প্রতি কেজি জিরা ৭০০ টাকা, দারচিনি ৫৫০ টাকা, এলাচ ৩৬০০ টাকা, লং ১৮০০ টাকা, কালো জিরা ৩৪০ টাকা, গোল মরিচ ১২৫০ টাকা, এছাড়া সাদা গোল মরিচ ১৩০০ টাকা, জায়ফল ১৪০০ টাকা, জয়ত্রী ৩৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারেও ছিলো বাড়তি দামের প্রভাব। গত সপ্তাহের তুলনায় মাছের দাম কেজি প্রতি ৩০ থেকে ১০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি টেংরা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা, নদীর গুলশা ৭০০ টাকা, মাঝারি মাপের চিংড়ি ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকা, রুই মাছে ৪৫০ টাকা, কাতল ৪৮০ টাকা, কৈ ২৬০ টাকা, শিং ৬০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ টাকা, সরপুটি ২২০ টাকা আর পাঙ্গাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা কেজি দরে।

এদিকে সবজির দামেও অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা । আজ প্রতি কেজি করল্লা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি , ঢেড়স ৮০টাকা, পটল-১২০টাকা, টমেটো-৮০, শসা ১০০ টাকা, জালি কুমড়া ১২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৮০ টাকা। এছাড়া প্রতি আঁটি লালশাক ৩০ টাকা, পাটশাক ২০ টাকা , পুঁইশাক ৫০ টাকা, মুলাশাক ২০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিছ ৮০ টাকা, লেবু হালি ৪০ টাকা , আলু ৫০ টাকা আর পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি। এছাড়া রসুন ছোট সাইজ ২২০ টাকা, রসুন বড় ২৪০ টাকা, আদা ২২০ টাকা কেজি।


কারওয়ান বাজারে বাজার করতে আসা হাফিজ জানায়, 'কদিন আগেও মসলার দাম কিছুটা কম ছিলো। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আগের থেকে কিছু দাম বেশি চাইছে ব্যবসায়ীরা। যদিও আমাদের তেমন মসলা লাগেনা সারাবছর। শুধু ঈদের আগে মসলা কেনা হয় বা কোন অনুষ্ঠান হলে কিনি।'

এদিকে ব্যবসায়ী বাপ্পি জানান, 'কোন মসলার দাম বাড়েনি। আগের দামই সব বিক্রি করছি। ক্রেতাদের অভিযোগ সবসময়ই থাকে। এগুলো শুনে লাভ নেই। তবে ঈদের আগে চাহিদা বাড়াতে পারে তখন কিছুটা দাম বাড়াতে পারে।'

;