চাঁদপুর জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ ঘোষণা করা হয়।
জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা থেকে কার্যকর হবে। এ আদেশ অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকি মোকাবিলায় জেলা কমিটি সভার সিদ্ধান্ত ও সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আলোচনাক্রমে চাঁদপুর জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এ জেলায় জনসাধারণের প্রবেশ ও প্রস্থান নিষিদ্ধ করা হলো। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সড়ক ও নৌ পথে অন্য কোনো জেলা হতে কেউ এ জেলায় প্রবেশ করতে বা এ জেলা হতে অন্য কোনো জেলায় গমন করতে পারবেন না। জেলার অভ্যন্তরে আন্তঃউপজেলা যাতায়াতের ক্ষেত্রেও একইরূপ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকিবে।
উল্লেখ, সকল ধরনের গণপরিবহন, জনসমাগম পূর্বের ন্যায় বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে।
এছাড়া গত দুইদিনে নারায়ণগঞ্জ জেলা থেকে ১২৪ জন চাঁদপুরের চার উপজেলায় প্রবেশ করেছে। তাদের বাড়িতে লাল পতাকা টাঙানো হয়েছে।
হঠাৎ করে অসময়ে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় দেখা গিয়েছে নদী ভাঙন। বেশি ভাঙনের কবলে পড়েছে ৬ নম্বর ফেরী ঘাট এলাকা। অসময়ে নতুন করে ভাঙন দেখা দেওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে নদীপারের মানুষ। গত এক সপ্তাহে ভাঙনে প্রায় ৫০ মিটার এলাকা নদীতে বিলীন হয়েছে। পদ্মা নদীর ভাঙনের শিকার পদ্মা পারের মানুষগুলো আগের থেকেই ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
এদিকে গত এক সপ্তাহ ধরে ভাঙন শুরু হলেও ভাঙন প্রতিরোধে বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল থেকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ(বিআইডব্লিউটিএ) বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু করেছে।
এরই মধ্যে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র। পরিদর্শন শেষে তিনি জানান, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নদী ভাঙন প্রতিরোধের কাজ করা হবে। কোথায় কোথায় আগে জিও ব্যাগ ফেলতে হবে তা নির্ধারণ করা হচ্ছে। সেই মোতাবেক কাজ চলবে।
ভাঙন এলাকাতে গিয়ে দেখা যায়, অসময়ের ভাঙনের কবলে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে দৌলতদিয়া ৬ নং ঘাট এলাকা। ভাঙনরোধে বিআইডব্লিউটিএ এর সহযোগিতায় ট্রলার থেকে বালু ভর্তি করে নদীতে জিও ব্যাগ ফেলছে শ্রমিকরা।
প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ব্যাপক ভাঙনের কবলে পড়ে রাজবাড়ীর ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া পদ্মা পাড়ের হাজারো মানুষ। ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হন তারা। পাকা স্থাপনা, বসত বাড়ি, কৃষি আবাদী জমিসহ বিভিন্ন ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে যায়। হুমকির মুখে রয়েছে রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধ।
ভাঙনরোধে প্রতি বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করলেও তা নিয়ে ভুক্তভোগীদের রয়েছে নানা অভিযোগ। দায়সারা কাজ করে সরকারের কোটি কোটি টাকা লোপাট করছে একটি অসাধু সরকারি কর্মকর্তাদের চক্র বলে দাবি করেন পদ্মা পারের মানুষ। নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী উদ্যোগ গ্রহণ করার জোড় দাবি জানান তারা।
চট্টগ্রাম নগরীতে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে এক তরুণকে খুন করা হয়েছে। এ সময় আরো একজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর ইপিজেড থানার আকমল আলী পকেট গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মেহেদী হাসান (১৯) ভোলার লালমোহন থানার গোবিন্দ বাজার এলাকার বাসিন্দা। আহত আরেক তরুণের নাম মো. রিফাত (১৯) বলে জানা গেছে।
নগর পুলিশের উপকমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা বলেন, ‘প্রাথমিক তথ্যে আমরা জানতে পেরেছি, সাদিক ও রমজান নামে দুজন পোশাক কর্মীর মধ্যে কারখানার অভ্যন্তরের ঘটনা নিয়ে ঝগড়া হয়। একই কারখানার কর্মী রিফাত তাদের মধ্যে মীমাংসার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু রিফাত রমজানের পক্ষ নিয়েছে বলে সন্দেহ হয় সাদিকের।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ জন্য সাদিক ইপিজেড এলাকার তার কিছু বন্ধুবান্ধবকে ঠিক করে রিফাতকে মারধর জন্য। কারখানা ছুটির পর সাদিকরা রিফাতের ওপর হামলা করে। সেখানে সম্পূর্ণ নিরীহ মেহেদীও ছুরিকাঘাতের শিকার হন’।
রিফাত ও মেহেদীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মেহেদীকে মৃত ঘোষণা করেন বলেও শাকিলা জানান।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক জানান, ’রাত ১০টার দিকে ইপিজেড থানার আকমল আলী পকেটগেট এলাকা থেকে ছুরিকাঘাতে আহত দুজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এদের একজনকে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত আরেকজন হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।’
কোরবানির ঈদের এখনো দেড় মাস বাকি। অথচ সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে বলে ক্রেতাদের অভিযোগ। তবে এখনো স্বাভাবিক আছে জিরার দাম। ক্রেতারা বলছেন মূলত সামনে কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে মসলার দাম বাড়িয়েছে। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন এখনো বাড়েনি মসলার দাম। তবে চাহিদার তুলনায় যোগান কম এবং ডলারের মূল্য বৃদ্ধিতে মসলার দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ব্যবসায়ীদের ধারণা ঈদের আগে দাম কিছুটা বৃদ্ধি পাবে।
শুক্রবার ( ১০ মে ) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, মাছ মাংস শাক সবজি মসলাসহ সকল পণ্য গত সপ্তাহের তুলনায় বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে মাংসের দাম ছিলো অপরিবর্তিত। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৮০/৮০০ টাকা, আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকা কেজি। এছাড়া রয়েছে ব্রয়লার মুরগি, সোনালী মুরগি। তবে দেশি মুরগির দাম আকাশছোঁয়া। প্রতি কেজি দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬৬০/ ৭০০ টাকা কেজি।
মসলার বাজারে দেখা গেছে প্রতি কেজি জিরা আগের দামে পাওয়া যাচ্ছে। প্রতি কেজি জিরা ৭০০ টাকা, দারচিনি ৫৫০ টাকা, এলাচ ৩৬০০ টাকা, লং ১৮০০ টাকা, কালো জিরা ৩৪০ টাকা, গোল মরিচ ১২৫০ টাকা, এছাড়া সাদা গোল মরিচ ১৩০০ টাকা, জায়ফল ১৪০০ টাকা, জয়ত্রী ৩৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারেও ছিলো বাড়তি দামের প্রভাব। গত সপ্তাহের তুলনায় মাছের দাম কেজি প্রতি ৩০ থেকে ১০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি টেংরা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা, নদীর গুলশা ৭০০ টাকা, মাঝারি মাপের চিংড়ি ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকা, রুই মাছে ৪৫০ টাকা, কাতল ৪৮০ টাকা, কৈ ২৬০ টাকা, শিং ৬০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ টাকা, সরপুটি ২২০ টাকা আর পাঙ্গাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা কেজি দরে।
এদিকে সবজির দামেও অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা । আজ প্রতি কেজি করল্লা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি , ঢেড়স ৮০টাকা, পটল-১২০টাকা, টমেটো-৮০, শসা ১০০ টাকা, জালি কুমড়া ১২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৮০ টাকা। এছাড়া প্রতি আঁটি লালশাক ৩০ টাকা, পাটশাক ২০ টাকা , পুঁইশাক ৫০ টাকা, মুলাশাক ২০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিছ ৮০ টাকা, লেবু হালি ৪০ টাকা , আলু ৫০ টাকা আর পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি। এছাড়া রসুন ছোট সাইজ ২২০ টাকা, রসুন বড় ২৪০ টাকা, আদা ২২০ টাকা কেজি।
কারওয়ান বাজারে বাজার করতে আসা হাফিজ জানায়, 'কদিন আগেও মসলার দাম কিছুটা কম ছিলো। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আগের থেকে কিছু দাম বেশি চাইছে ব্যবসায়ীরা। যদিও আমাদের তেমন মসলা লাগেনা সারাবছর। শুধু ঈদের আগে মসলা কেনা হয় বা কোন অনুষ্ঠান হলে কিনি।'
এদিকে ব্যবসায়ী বাপ্পি জানান, 'কোন মসলার দাম বাড়েনি। আগের দামই সব বিক্রি করছি। ক্রেতাদের অভিযোগ সবসময়ই থাকে। এগুলো শুনে লাভ নেই। তবে ঈদের আগে চাহিদা বাড়াতে পারে তখন কিছুটা দাম বাড়াতে পারে।'
টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের পর তার সম্মানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর চৌকস সদস্যরা গার্ড অব অনার প্রদান করে।
এরপর বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্ট নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে স্বাধীনতার জন্য আত্মদানকারী শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।
মোনাজাতে প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানাসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে সড়কপথে গোপালগঞ্জ আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দাড়িয়াকুল গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং সুবিধা বঞ্চিতদের মাঝে কৃষি ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করবেন।
পরে তিনি টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। বিকেলে সড়ক পথে ঢাকায় ফিরে আসবেন তিনি।