ষড়যন্ত্র নয়, আন্দোলনে একাত্ম বিরোধীদল: মঈন খান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের লক্ষ্যে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ষড়যন্ত্র করছে না জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, বরং বিরোধীদলগুলো আন্দোলনে একাত্ম হচ্ছে।

তিনি বলেন, ডান-বাম সবাই প্রকাশ্যে বলছে, এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তারা প্রহসনের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন হয়েছে। সেজন্যই সরকার জনগণকে ভয় পায়। কারণ জনগণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য শত শত বছর ধরে আন্দোলন করেছে। আবারও তারা যেকোনো স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়াবে।

শনিবার (৪ মে) রাজধানী শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদেন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। ওলামা দলের নবগঠিত কমিটির উদ্যোগে কবর জিয়ারত ও শ্রদ্ধা জানানো হয়।

মঈন খান বলেন, ষড়যন্ত্রের প্রশ্ন আসছে কেন? বাম-ডান সবাই তো প্রকাশ্যে বলছে— আন্দোলনে একাত্ম হচ্ছে। কারণ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তারা দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার বলছে— তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। দেশের মানুষ তো কেউ বলে নাই যে তারা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। জনগণ তো বলছে, এই সরকার একদলীয় সরকার। ৭ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনে কোনো জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়নি। আওয়ামী লীগ ঢাকা বসে কোন আসনে কাকে নির্বাচিত করবে তা ঠিক করেছে, তারাই আজকে সংসদে জনপ্রতিনিধি হিসেবে আছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আজকে দেশের মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার, ভোটাধিকার নেই। এখানে নারী শ্রমিকের অধিকার নেই। সরকার সব হরণ করেছে। এগুলো ফিরিয়ে আনতে হলে দেশে নতুন করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাতা করতে হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা এই অবস্থার পরিবর্তনের জন্য বিএনপি রাজনীতি করছে। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমাদের রাজনীতি। সেই কারণে আমরা রাজপথে আছি, থাকব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবেদিন ফারুক, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, ওলামা দলের সাবেক আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক, ওলামা দলের নতুন আহ্বায়ক মাওলানা কাজী মো. সেলিম রেজা, সদস্য সচিব মাওলানা আবুল হোসেন প্রমুখ।

   

কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সভা বৃহস্পতিবার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সভা আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়ে বলা হয়, সভায় সভাপতিত্ব করবেন কেন্দ্রীয় ১৪ দলীয় জোট নেত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।

কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাসময়ে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

;

ভারত শত্রু রাষ্ট্র হলে সালাহউদ্দিন নিরাপদে আছেন কিভাবে, ফখরুলকে কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের ভারতে খুন হওয়ার ঘটনায় 'বন্ধু রাষ্ট্রে গিয়ে নিরাপত্তা নাই' বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এমনটি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ফখরুল সাহেব বলেছেন— বন্ধু রাষ্ট্রে গিয়ে নিরাপত্তা নাই। আপনাদের যদি শত্রু রাষ্ট্র হয়, সেখানে সালাউদ্দিন এতো দিন নিরাপদে কেমন করে আছেন। তাকে তো কেউ হত্যা করেননি। তার জীবনে তো নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়নি, জীবনের কোনো হানি ঘটেনি। এই ধরনের অপবাদ কেন দিচ্ছে বন্ধু রাষ্ট্রকে?

বুধবার (২২ মে) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির সংস্কৃতিক উপ কমিটির "সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায়" সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

আনোয়ারুল আজিমের ঘটনা নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কলকাতার নিউটাউনে আমাদের একজন এমপি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। গত দুই তিন দিন ধরে তাকে নিয়ে একটা ধোয়াশা ছিল। তার পরিবারসহ কেউ জানে না। চিকিৎসার জন্য তিনি ভারতে গেছেন। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। আমাদের একজন এমপি যখন চিকিৎসার জন্য যান, তিনি কিন্তু ভারত সরকারকে জানিয়ে যান না। সেখানকার যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে গেলে নিরাপত্তা ব্যাপারটি তখনই দেখা হয়। এখানে বন্ধু রাষ্ট্রের...।

তিনি বলেন, তাকে (আনোয়ারুল আজিম) যারা হত্যা করেছে, যে ফ্ল্যাটটিতে সেটা বাংলাদেশের কেউ ভিন্ন নামে ক্রয় করেছে। ওখানে যারা হত্যা করেছে পাঁচ-ছয়জনের মতো, এর মধ্য পাঁচ জনই বাংলাদেশের। এই ব্যাপারটা নিয়ে... কথা কথা 'যার দেখতে নাড়ি, চলন বাঁকা', এই ধরনের উক্তি করা সমীচীন না।

সংস্কৃতি বিষয়ক উপ কমিটি চেয়ারম্যান মঞ্চ সারথি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান, সাবেক সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য নায়ক ফেরদৌস আহমেদ ও আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আনিসুল ইসলাম প্রমুখ।

;

জিয়া কাকুতি মিনতি করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন: নানক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, দিনাজপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) যখন গঠিত হয় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান তখন কাকুতি মিনতি করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন। অথচ আজ তারা বড় বড় কথা বলছে।

বুধবার (২২ মে) দিনাজপুর সার্কিট হাউজে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এসব কথা বলেন।

নানক বলেন, জিয়াউর রহমানের এই দলের জন্মই হয়েছিলো আমাদের স্বাধীনতাকে হত্যা করার জন্য। সেজন্যই তিনি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী ও যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম, নিজামীদের আশ্রয় দিয়েছিলেন। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে খুনি ডালিম রশিদদের পুরস্কৃত করেছিলেন।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান চেয়েছিলেন আওয়ামী লীগ দলটিকে নিশ্চিহ্ন করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে। কিন্তু আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পর আমরা একটি প্রত্যয় দেখতে পেলাম। আমরা তাঁর পেছনে গিয়ে দাঁড়ালাম। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ঘুরে দাঁড়ালাম।

মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে জেনারেল জিয়া বিরাজনীতিকরণের ধারার সূচনা করেছিলেন। স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনর্বাসন করেছিলেন। সেই দিনে আর ফিরে যেতে দেয়া যাবে না। এদেশে সরকারে থাকবে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি, বিরোধী দলেও থাকবে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। বঙ্গবন্ধুর অনুসারীরাই দেশের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করবে। পাট উৎপাদন ও পাটের বস্তাসহ অন্যান্য পাটপণ্য ব্যবহার বৃদ্ধি করা হবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

তিনি আরও বলেন, এখানে একটি টেক্সটাইল মিলের ৩৬.৭৪ একর জমি পড়ে আছে। এটাকে ফেলে রাখা হবে না। এটা নিয়ে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ এবং দিনাজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম, দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য জাকারিয়া জাকা, সাবেক সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাবুজ্জামান মিতা। বৈঠকে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মাথা ব্যথা নেই: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা গাজার নিষ্ঠুর ও বর্বরতম হত্যাকে গণহত্যা বলতে চায় না তারা কোথায় কাকে নিষেধাজ্ঞা দিলো সেটা নিয়ে আমাদের কোন মাথা ব্যথা নেই।

বুধবার (২২ মে) বিকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপ-কমিটির এক আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেখলাম, ডোনাল্ড লু আসলেন সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাবার সংকল্প ব্যক্ত করলেন এখানে মিটিং করে। সেখানে আবার, তিনি যেতে না যেতেই নিষেধাজ্ঞা এসে গেলো। আগে সাতজন এখন আবার একজন যুক্ত হলো।

তিনি বলেন, সংরক্ষিত আসনে অনেকে প্রার্থী ছিলেন, তাদের না পাওয়ার বেদনা থাকতে পারে। আমাদের দুর্দশী লিডারশীপ ছিল বলে আমরা সফল হয়েছি। রিজার্ভ সিটের বিপরীতে প্রার্থী ছিল ১৩শ' প্লাস। পরিস্থিতি এমন যে কাকে রেখে কাকে দেবো। অনেকে প্রার্থী ছিলেন, অনেকের স্বপ্ন ছিল, আকাঙ্ক্ষা ছিল, এ কারণে দু:খ পেয়েছেন।

কাদের বলেন, আগে নারীরা, তরুণরা আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল, শেখ হাসিনার ম্যাজিকেল লিডারশীপে এখন তরুণ ও নারীরা এক বাক্যে আওয়ামী লীগকে ভোট দিবেন, এটা আমরা লক্ষ্য করেছি।

সংস্কৃতি বিষয়ক উপ-কমিটি চেয়ারম্যান মঞ্চ সারথি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান, সাবেক সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য নায়ক ফেরদৌস আহমেদ ও আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আনিসুল ইসলাম প্রমুখ।

;