বিপিএল ফাইনালে খেলতে প্রস্তুত মুস্তাফিজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বে অনুশীলনের সময় মাথায় চোট পেয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। পাঁচটি সেলাইও দিতে হয়েছিল তাকে। এমন চোটের পর এবারের বিপিএলে আর ফিরতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন সংশ্লিষ্টরা। তবে তার দল ফাইনালে ওঠার পরদিনই জানা গেল, সে ম্যাচে খেলতে ফিট মুস্তাফিজ।

জাতীয় দলের এই বাঁহাতি পেসারের ফিটনেস নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে আশার কথা শুনিয়েছেন বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। বিপিএল ফাইনালে খেলতে শারীরিকভাবে মুস্তাফিজ প্রস্তুত জানিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, ‘মুস্তাফিজ ভালো আছে, আজকে তাকে ডাক্তার দেখেছে। সেলাই খুলে দেওয়া হয়েছে। ফাইনালে খেলতে বাধা নেই আর। সে খেলবে। এক কথায় বলতে গেলে হি ইজ ফিট টু প্লে।’

এর আগেই অবশ্য নিউরো সার্জন এবং বিসিবির সঙ্গে আলোচনা করে এক বিবৃতি কুমিল্লা জানিয়েছিল, হাসপাতাল থেকে টিম হোটেলে দলের সঙ্গে যোগ দেয়ার ছাড়পত্র পেয়েছেন মুস্তাফিজ।

উল্লেখ্য, চলতি মৌসুমে কুমিল্লার পক্ষে ৯ ম্যাচে ১১ উইকেট পেয়েছেন মুস্তাফিজ।

   

জামালকে ২ কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ ফিফার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বর্তমানে খেলছেন আর্জেন্টিনার তৃতীয় বিভাগের ক্লাব সোল দা মায়োতে। তবে দেড় বছরের চুক্তি থাকলেও যোগ দেওয়ার কিছুদিন পরেই ক্লাব ছেড়ে চলে এসেছিলেন তিনি। সেই ক্লাবে কোনো বেতন না পাওয়ায় চুক্তি ভঙ্গ করেই ফেরত আসেন তিনি।

ফিফার কাছে তার বকেয়া বেতন চেয়ে আবেদন করেছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। এতদিন ছিলেন রায় ঘোষণার অপেক্ষায়। অবশেষে গতকাল বুধবার ফিফার ফুটবল ট্রাইব্যুনালের তরফ থেকে জামালের পক্ষেই এসেছে রায়। যাতে বলা আছে, সোল দে মায়োকে মোট ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৯৮০ ডলার (বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ১ কোটি ৯০ লক্ষ ২৯৮০ টাকার সমান) পরিশোধ করতে হবে।

আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে এই অর্থ জামালকে পরিশোধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আর্জেন্টাইন ক্লাবটিকে। যদিও ক্লাবটির কাছে ১০ দিন সময় আছে আপিল করার জন্য। এখানে উল্লেখ্য যে, ফিফাকে নিজেদের পক্ষে কোনো অফিশিয়াল ডকুমেন্টস সোল দে মায়ো দেখাতে পারেনি।

বর্তমানে আবাহনীতে খেলা জামাল এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমি অনেক আশা নিয়ে সেখানে খেলতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওরা এমনটা করতে ভাবতে পারিনি। আমি তাই চুক্তি ছিন্ন করে ফেরত চলে আসি। আমার পক্ষে রায় পেয়ে আমি খুব খুশি।‘

;

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের চাই ১৫৭



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের মেয়েদের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম চারটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচটি হয়ে উঠেছে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর। সেই ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নিগার সুলতানা জ্যোতিদের সামনে ১৫৭ রানের কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে ভারত।

মান বাঁচানোর ম্যাচে এদিন বোলিংয়ে শুরুতে সাফল্য পেলেও পরে সেটা ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। দলীয় ২৫ রানে ভারত প্রথম উইকেট হারালেও দলকে টেনে তুলেন স্মৃতি মান্ধানা। তাদের বড় সংগ্রহের ভিত গড়ার সুযোগ করে দিয়েছে বাংলাদেশি ফিল্ডাররাও। পুরো সিরিজ জুড়ে ভোগানো বাংলাদেশি ফিল্ডাররা ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারেনি সিরিজের শেষ বেলাতেও। পুরো ম্যাচে বেশ কিছু সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করার সঙ্গে গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়েও ছিল ছন্নছাড়া।

ফিল্ডারদের এমন ভুল রান তোলার বড় সুযোগ হিসেবে লুফে নিয়েছে ভারতীয় ব্যাটাররা। মান্ধানা ২৫ বলে ৩৩ রান করে ফেরার পর হেমলতা ফিরে যান ২৮ বলে ৩৭ রান করে। অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরের ব্যাট থেকে এসেছে ২৪ বলে ৩০ রান। এরপর মাঝে দ্রুত কিছু উইকেট পড়লে রানের গতি কমে ভারতের।

তবে বড় সংগ্রহের পথ থেকে শেষ পর্যন্ত ভারতে সরাতে পারেনি বাংলাদেশি বোলাররা। দায়িত্ব নিয়ে দলকে টেনে তুলেছেন রিচা ঘোষ। মাঝে দ্রুত উইকেট পড়লেও তিনি পুষিয়ে দিয়েছেন সেটা। ১৭ বলে ২৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহটাকে নিয়ে গেছেন ৫ উইকেটে ১৫৬ তে। যা এই সিরিজে দলীয় সর্বোচ্চ রান।

;

আইপিএলে ছক্কার রেকর্ডও এখন হায়দরাবাদের 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলের এবারের আসরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের লক্ষ্যটাই যেন একের পর এক নতুন রেকর্ড গড়ার। যার নেপথ্যে মূলত ব্যাটাররা। হেড-অভিষেক-ক্লাসেনদের তোপে একের পর রেকর্ড গড়েই চলেছে অরেঞ্জ আর্মিরা। যার শুরুটা হয়েছে লিগটির ইতিহাসের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ দিয়ে। গত ১৫ এপ্রিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে রেকর্ড ২৮৭ রানের দলীয় সংগ্রহ পায় হায়দরাবাদ। এছাড়া এক আসরে এক দলের সবচেয়ে বেশি তিনবার ২৫০-এর ঊর্ধ্বে দলীয় সংগ্রহ। এবার আরও একটি রেকর্ড নিজেদের করলো তারা। 

আইপিএলের এক আসরে কোনো এক দলের সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড এখন হায়দরাবাদের। গতকাল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের দেওয়া ১৬৬ রানের লক্ষ্যে কোনো উইকেট না হারিয়ে স্রেফ ৯ ওভার ৪ বলেই পৌঁছে যায় প্যাট কামিন্সের দলটি। সেখানে ৩০ বলে ৮৯ রান করা ট্রাভিস হেড হাঁকিয়েছেন ৮টি ছক্কা, অন্যদিকে ২৮ বলে ৭৫ রান করা অভিষেক শর্মা মেরেছেন ৬টি। এই ১৪ ছক্কাসহ আসরে এখন পর্যন্ত ১২ ম্যাচে হায়দরাবাদের মোট ছক্কার সংখ্যা ১৪৬টি। তারা ছাড়িয়ে গেছে ২০১৮ সালে গড়া চেন্নাই সুপার কিংসের ১৪৫ ছক্কার রেকর্ডটিকে।

এদিকে আসরের প্লে-অফ নিশ্চিত না হলেও প্রথম পর্বে এখনো দুটি ম্যাচ বাকি হায়দরাবাদের। এতেই ছক্কার রেকর্ডের সংখ্যাটা নিশ্চিতভাবেই আরও বাড়বে ফ্রাঞ্চাইজিটির। 

হায়দরাবাদকে এমন উচ্চতায় মূল কারিগর হেড-অভিষেক ও ক্লাসেন। তারা তিনজনেই হাঁকিয়েছেন ৯৭টি ছক্কা। হেড ও ক্লাসেন মেরেছেন সমান ৩১টি। এবং তাদের ছাড়িয়ে নিজ দলসহ চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ ৩৫টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন অভিষেক।  

;

মান বাঁচানোর ম্যাচে আগে বোলিং করবে জ্যোতিরা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ৩ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশের মাটিতে শুরু হতে যাচ্ছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। এতে অস্ট্রেলিয়ার পর ভারতও বাংলাদেশ এসেছে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে, টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে। গত মাসে অজিদের বিপক্ষে সেই সিরিজটি ভালো কাটেনি জ্যোতি-নাহিদাদের। ৩-০ ব্যবধানে সেই সিরিজটি হেরেছিল স্বাগতিকরা। এবার ভারতের বিপক্ষে সিরিজটাও হাতছাড়া হলো বাংলাদেশের মেয়েদের। পাঁচ ম্যাচের সিরিজের শুরুর চারটিতেই হেরেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। এতে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচটা হয়ে দাঁড়িয়েছে মান বাঁচানোর, সিরিজ হোয়াইট ওয়াশ ঠেকানোর।

সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচটিও সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। সেখানে আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক হারমানপ্রীত কর।

চার ম্যাচের তিনটিতেই লক্ষ্য তাড়া করে হেরেছে স্বাগতিকরা। উইকেটের ব্যবধানে হারটা কেবল সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে, ৭ উইকেটের। এতে আরও একবার তাই আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত সফরকারীরা দলটি। 

এদিকে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত সাত টি-টোয়েন্টির প্রত্যেকটিতেই হেরেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এতে বছরের প্রথম টি-টোয়েন্টি জেতার মধ্যে দিয়ে সিরিজ হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্যে নামবে স্বাগতিকরা। 

তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। একাদশ থেকে জায়গা হারিয়েছেন মুর্শিদা খাতুন, মারুফা আক্তার ও হাবিবা ইসলাম। তাদের পরিবর্তে ফিরলেন সোবহানা মোস্তারি, রিতু মনি ও ফারিহা তৃষ্ণা। এদিকে আগের ম্যাচের অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে নামবে ভারত। 

বাংলাদেশ একাদশ: দিলারা আক্তার, সোবহানা মোস্তারি, রুবাইয়া হায়দার, নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), রিতু মনি, শরিফা খাতুন, রাবেয়া খান, নাহিদা আক্তার, রিতু মনি, ফারিহা তৃষ্ণা, স্বর্ণা আক্তার। 

;