শশাঙ্ক-আশুতোশের নৈপুণ্যে পাঞ্জাবের নাটকীয় জয় 



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শেষ ৬ বলে জয়ের জন্য স্রেফ ৭ রান দরকার ছিল পাঞ্জাব কিংসের। হাতে তখনও ৪ উইকেট। বোলিংয়ে গুজরাটের হয়ে আগের দুই ম্যাচে স্রেফ ২ ওভার করা দর্শন নালকানদে। সেখানে প্রথম বলেই আউট দারুণ ব্যাট করতে থাকা আশুতোশ শর্মা। পরের বল ওয়াইড, এরপরের বল ডট। এতে শেষ চার বলে দরকার ৬ রান। সেখানে শেষ পর্যন্ত দলের কঠিন চাপে হাল ধরা শশাঙ্ক সিংয়ের হাত ধরেই জয় আসে পাঞ্জাবের। ৬১ রানে অপরাজিত থেকে শেষ ওভারের নাটকীয়তায় দলকে ৩ উইকেটের জয় এনে দেন এই ডানহাতি অচেনা ব্যাটার। 

পাঞ্জাবের আসরটা জয় দিয়ে শুরু হলেও পরের দুই ম্যাচে হারের মুখ দেখে দলটি। সেই দুই ম্যাচ হারের পর ফের জয়ের ধারায় ফিরল তারা। 

আহমেদাবাদে পাঞ্জাবের জয়ের শুরু টস দিয়েই। সেখানে তারা আগে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় গুজরাটকে। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে গুজরাটের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৯৯ রান। 

পুরো ২০০ রানের সেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই ধাক্কা খায় পাঞ্জাব। দলীয় ১৩ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন শিখর ধাওয়ান। পরে প্রাভসিমরান সিংকে নিয়ে সেই চাপ সামলে নেন আরেক ওপেনার জনি বেয়ারস্টো। তবে প্রথম পাওয়ার প্লের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে জয়ের পথে অনেকটাই কঠিন করে ফেলে শিখর ধাওয়ানের দল। দলীয় ১১১ রানের মাথায় সাজঘরে অর্ধেক দল। ৪৬ বলে জয়ের জন্য তখনও দরকার ৮৯ রান। 

সেই চ্যালেঞ্জটাই এবার নেন দুই অচেনা ব্যাটার শশাঙ্ক ও আশুতোষ। তাদের নৈপুণ্যেই শেষ ওভারে গড়ান ম্যাচে জয় পায় পাঞ্জাব। আশুতোষ ৩১ রানে ফিরলেও শেষ পর্যন্ত ২৯ বলে ৬১ রানে অপরাজিত ছিলেন শশাঙ্ক। এতে জেতেন ম্যাচ সেরার খেতাবও। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো পেলেও দ্রুতই ফেরেন গুজরাট ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা (১১)। পরে কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে ৪০ রান এবং সাই সুদর্শনের সঙ্গে ৫৩ রানের জুটি গড়ে রানের চাকা সচল রাখেন অধিনায়ক শুভমান গিল। টপ-অর্ডারের এই তিন ব্যাটার ফেরার পর গুজরাটের স্কোরবোর্ডে তখন ৩ উইকেটে ১২২ রান। সেখান থেকে শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে দলকে বড় সংগ্রহে পৌঁছান গুভমান। অপরাজিত ছিলেন ৪৮ বলে ৪৯ রানে। এছাড়া শেষ দিকে ৮ বলে ২৬ রানে ক্যামিও খেলেন রাহুল তেওয়াতিয়া। সেখানে পাঞ্জাবের হয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট নেন পেসার কাগিসো রাবাদা।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

গুজরাট টাইটান্সঃ ১৯৯/৪ (২০ ওভার) (গিল ৮৯*, সুদর্শন ৩৩; রাবাদা ২/৪৪)

পাঞ্জাব কিংসঃ ২০০/৭ (১৯.৫ ওভার) (শশাঙ্ক ৬১*, প্রাভসিমরান ৩৫, আশুতোষ ৩১; নুর ২/৩২)

ফলঃ পাঞ্জাব ৩ উইকেটে জয়ী

ম্যাচসেরাঃ শশাঙ্ক সিং

   

সূর্যকুমারের সেঞ্চুরিতে হায়দরাবাদকে হারাল মুম্বাই



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাম্প্রতিক ফর্ম ও পয়েন্ট টেবিলের হিসেব বিবেচনায় বেশিরভাগ সমর্থকরা ধরেই নিয়েছিলেন যে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও হায়দরাবাদের মধ্যকার ম্যাচটি জিতবে হায়দরাবাদই। মুম্বাইয়ের টপ অর্ডার ধ্বসের পর তো সেটা আরও নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল দর্শকরা। তবে ওয়াংখেড়ের মাঠে স্বাগতিকরা যে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে দেখাল তা বেশ অবাক করার মতোই।

সূর্যকুমার যাদবের ব্যাটে চড়ে ১৬ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে মুম্বাই। ৫১ বলে সেঞ্চুরি আদায় করে শেষ পর্যন্ত ১০২ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয়ে একাই ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। এই জয়ের মাধ্যমে কাগজে-কলমে এখনও আইপিএলের প্লে-অফে জায়গা করে নেওয়ার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।

টসে জিতে এদিন শুরুতে হায়দরাবাদকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় স্বাগতিকরা। মুম্বাইয়ের বোলারদের নৈপুণ্যে এই ম্যাচে হায়দরাবাদের কেউই নিজের ইনিংসকে বিধ্বংসী রূপ দিতে পারেনি। নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে তাদের দলীয় সংগ্রহ ছিল ১৭৩ রান।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় স্বাগতিকরা। পাওয়ার-প্লেতেই সাজঘরে ফেরত যান মুম্বাইয়ের প্রথম তিনজন ব্যাটার। এরপর ব্যাট হাতে সূর্যকুমার মাঠে নেমে যেন চলতি আইপিএলে নিজের সেরা পারফরম্যান্সটাই দেখালেন। দলের প্রয়োজনে গর্জে উঠল তার ব্যাট। তিলক বর্মাকে সাথে নিয়ে ঝোড়ো এক ইনিংস খেলার মাধ্যমে ১৮তম ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মুম্বাই।

এই জয়ের পর ১২ ম্যাচে ৮ পয়েন্টের সঙ্গে তালিকার নবম স্থানে আছে রোহিত-হার্দিকদের দল। কাগজে-কলমের হিসেবে এখনও শীর্ষ চারে জায়গা করে নেওয়ার সম্ভাবনা আছে মুম্বাইয়ের, তবে তা খুব কঠিন। অপরদিকে ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্টের সঙ্গে চারে আছে হায়দরাবাদ।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

হায়দরাবাদঃ  ১৭৩/৮ (২০ ওভার); হেড ৪৮, কামিন্স ৩৫*; হার্দিক ৩-৩১, পীযুশ ৩-৩৩।

মুম্বাইঃ ১৭৪/৩ (১৭.২ ওভার); সূর্যকুমার ১০২*, তিলক ৩৭*; ভুবনেশ্বর ১-২২, কামিন্স ১-৩৫।

ফলাফলঃ মুম্বাই ৭ উইকেটে জয়ী।

প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচঃ সূর্যকুমার যাদব।

;

টিভিতে যা দেখবেন আজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৩য় টি-টোয়েন্টি

বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে
বেলা ৩টা, টি স্পোর্টস ও গাজী টিভি

ফেডারেশন কাপ: সেমিফাইনাল

মোহামেডান-পুলিশ
বেলা ৩টা, টি স্পোর্টস ডিজিটাল

আইপিএল

দিল্লি-রাজস্থান
রাত ৮টা, টি স্পোর্টস ও গাজী টিভি

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ

পিএসজি-ডর্টমুন্ড
রাত ১টা, সনি স্পোর্টস ২

;

শাইনপুকুরকে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন আবাহনী



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের প্রথম পর্বের ১১ ও সুপার লিগের পাঁচ ম্যাচের সবকটি জিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে আবাহনী লিমিটেড। টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবে ৪ উইকেটে হারিয়েছে তারা।

মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। ওপেনার খালিদ হাসান এবং তিনে নামা অমিত হাসানের ফিফটিতে লড়াকু সংগ্রহ পায় তারা। ৫৮ বলে সমান ৫৮ রান আসে খালিদের ব্যাটে। দলীয় সর্বোচ্চ ৭৭ রান করেন অমিত।

দলের অন্য ব্যাটাররা ইনিংস বড় করতে না পারায় ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৩৪ রানে থামে তারা। আবাহনীর পক্ষে তিন উইকেট নেন স্পিনার রাকিবুল হাসান।

২৩৫ রান তাড়া করতে নেমে এনামুল হক বিজয়ের সেঞ্চুরিতে ২৩ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আবাহনী। ১১০ রান করে বিজয় দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন।

এই জয়ে ১৬ ম্যাচ থেকে পূর্ণ ৩২ পয়েন্ট পাওয়া আবাহনী অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়। সমান সংখ্যক ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে শাইনপুকুর।

;

টানা চতুর্থ হার নিগারদের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে এখন বৃষ্টি উপভোগ করছেন সাধারণ মানুষ। তীব্র দাবদাহের পর এক পশলা বৃষ্টি শরীর-মন ভিজিয়ে দিচ্ছে সবার। কিন্তু সিলেটে শিলাবৃষ্টি নিশ্চয়ই উপভোগ করেননি নিগার সুলতানা জ্যোতি ও তার সতীর্থরা। আজ সিলেটে বাংলাদেশ-ভারত চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ভারতীয় ব্যাটিং ইনিংসের সময় দীর্ঘ সময় বৃষ্টিতে বন্ধ থাকে ম্যাচ। যার ফলে কুড়ি ওভারের ম্যাচ নেমে আসে ১৪ ওভার। এর মধ্যেই জয়ের জন্য ১২৫ রান তোলার চ্যালেঞ্জ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সে লক্ষ্যে ব্যর্থ হয়েছেন নিগাররা। ডিএলএস পদ্ধতিতে ৫৬ রানের হারে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ৪-০ তে পিছিয়ে পড়েছে স্বাগতিকরা।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার শেফালি বর্মাকে হারায় ভারত। শরিফা খাতুনের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে এক্সট্রা কাভারে থাকা রিতু মনির তালুবন্দি হন শেফালি (২)।

তিনে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন দয়ালন হেমলতা। তবে দুটি করে চার-ছক্কায় ২২ রান করার পর তাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন মারুফা আক্তার।

তবে ভারতের ইনিংসে পাওয়ার প্লে’র যখন আরও এক বল বাকি, তখনই মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয় সিলেটে, একপর্যায়ে তা শিলাবৃষ্টিতে রূপ নেয়। শিলাবৃষ্টি আর ভেজা আউটফিল্ডের কারণে প্রায় ঘণ্টাখানেক বন্ধ থাকার পর শুরু হয় খেলা। তাতে ইনিংসের দৈর্ঘ্য নেমে ১৪ ওভারে।

বিরতির পর অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর এবং উইকেটকিপার রিচা ঘোষ ক্লিন হিটিংয়ে ভারতকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর এনে দেয়ার চেষ্টা করেন। শেষ ওভারে রানআউট হওয়ার আগে ২৬ বলে ৫ চারে ৩৯ রান করেন হরমনপ্রীত। ১৫ বলে ২৪ রান করেন রিচা। তাদের নৈপুণ্যে শেষ পর্যন্ত ১৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১২২ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় ভারত। ডিএলএস পদ্ধতিতে ১২৫ রানের লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ।

সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে ১২০-এর ঘর ছুঁতে না পারা বাংলাদেশের জন্য যে এই লক্ষ্য মোটেও সহজ ছিল না। ব্যাটিংয়ে নামতেই সেটা প্রমাণ হয়ে যায়। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং ধসের মুখে পড়ে তারা।

দুই অঙ্কের ঘরেও পৌঁছাতে পারেননি ওপেনার দিলারা আক্তার (২১), তিনে নামা রুবাইয়া হায়দার (১৩) ও শরিফা খাতুন (১১*) বাদে অন্য ব্যাটাররা। এমন ব্যাটিং দিয়ে তো ১৪ ওভারে ১২৫ রান তাড়া করা যায় না। বাংলাদেশও পারেনি। নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেটে ৬৮ রানে থামতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

;