টিপস অ্যান্ড ট্রিকস

ইন্টারভিউয়ের ভয়কে করুন জয়



গোলাম আসাদ পিয়াস, অতিথি লেখক, ক্যারিয়ার, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ইন্টারভিউয়ের ভয়কে করুন জয়

ইন্টারভিউয়ের ভয়কে করুন জয়

  • Font increase
  • Font Decrease

যখন আপনি একটি ইন্টারভিউ প্যানেলের সম্মুখীন হন, তখন নিজের ভেতরে এক ধরনের উত্তেজনা অনুভব করাটাই স্বাভাবিক। ইন্টারভিউ প্যানেলিস্টদের মধ্যে একজন আপনাকে খুব সহজ একটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে পারেন, যেমন "আপনার নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন"। আপনার উত্তরটি তখন কিভাবে শুরু করবেন?

উত্তর শুরু করার আগে মনে রাখবেন, ইন্টারভিউতে বর্তমানে গ্রেড এবং একাডেমিক কার্যকলাপ সম্পর্কে কম গুরুত্ব দেয়া হয় এবং আপনার কাজের দক্ষতার ব্যাপারে বেশি নজর দেয়া হয়। যেসব বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয় তা হলো- একজন চাকরিপ্রার্থী কত দ্রুত এবং কতটা সৃজনশীলভাবে ভাবছেন, সে অফিসে কাজের চাপের সাথে মোকাবিলা করতে পারবেন কিনা এবং চাকরিপ্রার্থী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কিভাবে এবং কতটা ভালভাবে নিজেকে মানিয়ে নিবেন।

কোম্পানির কালচার এবং মান সম্পর্কে পরিচিত হয়েই নিজেকে ইন্টারভিউয়ের জন্য প্রস্তুত করুন। কোম্পানির বার্ষিক বা মিডিয়া রিপোর্টগুলি থেকে এই ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা সহজ। অথবা আপনি চাইলে লিঙ্কডইনে কোম্পানির বর্তমান কর্মীদের সাথে কানেক্ট করে এবং প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট পর্যালোচনা করে সহজেই তথ্যগুলো পেতে পারেন। কিছু তথ্য খুঁজে বের করুন। যেমন, যদি বয়সের বিভিন্নতা এবং সামগ্রিক সমস্যা কম থাকে তখন বুঝা যায় যে, কোম্পানিটি কর্মীবান্ধব এবং বিপরীতে কর্মীরাও কোম্পানির কালচারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশটি হলো ইন্টারভিউ বোর্ডের জটিল প্রশ্নগুলির জন্য প্রস্তুত হওয়া। বিভিন্ন ইন্টারভিউয়ারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কিছু প্রশ্ন করাই হয় একজন প্রার্থীকে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে ফেলতে এবং সে অবস্থা থেকে কিভাবে নিজেকে বের করে নিয়ে এসে উত্তর দেয়, তা দেখার জন্য।

এখানে কয়েকটি কমন প্রশ্ন রয়েছে, যা আপনি সহজেই অনুমান করতে পারেন যে জিজ্ঞেস করা হবে, যেগুলোর যথাযথ উত্তর করা এতোটাও সহজ না। সাথে কিছু পরামর্শও থাকছে যে আপনি কিভাবে এগুলোর যথাযথ উত্তর দিতে পারবেন।

আপনার নিজেকে সম্পর্কে বলুন

এটি প্রার্থীর জন্য প্রথম এবং খানিকটা ভীতিকর প্রশ্ন। এর প্রায় কয়েক মিলিয়ন উত্তর আছে, এবং তাদের অধিকাংশই ভুল! কিন্তু, এখানে ঘাবড়াবেন না। নিয়োগকর্তারা আপনার পরিচয় জানতে চাওয়ার পেছনে একটি কারণ আছে। এর নিখুঁত উত্তর দেয়ারও একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র রয়েছে। এখন, কিভাবে এই প্রশ্নের উত্তর দিবেন?

  • একটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতার কথা বলুন যা নিয়োগকর্তা আপনার মাঝে খুঁজছেন।
  • আপনার দক্ষতা বা মান সম্পর্কে বলুন যা সাম্প্রতিক সময়ে কিভাবে কাজে লাগিয়েছেন।
  • অতীতে কিভাবে বিভিন্ন কোম্পানির জন্য কাজ করেছেন তার একটি পরিসংখ্যান শেয়ার করুন।
  • কিভাবে এই নতুন সুযোগটি আপনার আরও বেশি প্রতিভা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
  • একটি সাম্প্রতিক কাজে আপনার সেরা কৃতিত্ব।
  • অতীত কাজ থেকে আপনার সেরা কৃতিত্ব।

কেন আমরা আপনাকে নিয়োগ দিবো?

এই প্রশ্নের উত্তরে আপনি এই কোম্পানিতে কতটা ‘উপযুক্ত’ তা নির্দেশ করতে পারে। নিজেকে উপস্থাপন করুন এমনভাবে যেনো তা আপনার আত্মবিশ্বাস প্রমাণ করে এবং কোম্পানি কালচারের সঙ্গে আপনার ব্যক্তিত্ব-বৈশিষ্ট্য মিলে যায়। একটি উত্তর হতে পারে, ‘আপনাদের প্রয়োজনীয়তাগুলোর সাথে আমার যোগ্যতা এবং সাফল্য মিলছে’। নিশ্চিতভাবেই, পরবর্তী প্রশ্নটি এমন হবে, ‘আপনার অর্জনগুলি কী এবং আমাদের প্রয়োজনীয়তাগুলির সাথে কীভাবে মিলছে বলে মনে হয়?’ এর উত্তরে আপনি জীবনে কি কি করেছেন তা নিয়ে আলোচনা করার সময় এখন- এটি হতে পারে খেলাধূলা, পড়াশোনা এবং এক্সট্রা কারিকুলার একটিভিটিজ। তবে মনে রাখবেন, আপনি যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছেন সেটি অবশ্যই প্রাসঙ্গিক হতে হবে। অপ্রয়োজনীয় উদাহরণ এড়িয়ে যেতে হবে।

উদাহরণস্বরূপ, খেলাধূলায় আপনার নেতৃত্বে কিভাবে জয়ী হয়েছেন বা সাফল্য অর্জন করেছেন; একাডেমিক লাইফে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট করেছেন, এক্সট্রা কারিকুলার একটিভিটিজে কিভাবে টিমওয়ার্ক করেছেন তা উল্লেখ করতে পারেন। বিষয়গুলো এমনভাবে নিয়োগকর্তাদের সামনে ফুটিয়ে তুলুন যেন তারা আপনার কাজের ধরন এবং অর্জনগুলো সহজেই বুঝতে পারে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/03/1564809703347.png
আপনার কয়েকটি দুর্বলতা বলুন

এই দারুণ প্রশ্নটি করা হয় আপনি কতটা সততার সাথে উত্তর দিচ্ছেন, সেটি বুঝার জন্য। আপনার কয়েকটি দুর্বলতা খুঁজে বের করুন। যতই পারফেকশনিস্ট হোন, সব কিছুর পরেও আপনি মানুষ! খেয়াল রাখবেন যে, খুব বেশী কিছু যেন বলা না হয় এবং যে দুর্বলতাগুলোর কথা বলছেন সেগুলো যেন আপনার কাজের নেতিবাচক কোন দিক বলে মনে না হয়। উদাহরণস্বরূপ, আমি খেতে খেতে কথা বলি, আমি সবকিছু নিয়েই একটু খুঁতখুঁতে ইত্যাদি। আপনি যা বলবেন তা যেন অন্য সবার থেকে একটু আলাদা আর ভিন্ন হয়। আপনার সিনিয়র বা অন্য কাউকে কপি করবেন না। মনে রাখবেন, আপনার দুর্বলতার তালিকাটা যেন ২-৩ টার বেশি কিছুর জায়গা না হয়।

আপনার কি কোন প্রশ্ন আছে বা কিছু জানার আছে?

সাধারণত ইন্টারভিউয়ের শেষ পর্যায়ে এ প্রশ্নটি করা হয়। যখন আপনি ইন্টারভিউ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে কোম্পানি সম্পর্কে একটি মূল্যায়ন করবেন, তারপর এই প্রশ্নের উত্তরটি গুছিয়ে নিতে পারেন। কোম্পানিটি কি তার গ্রোথ পর্যায়ে নাকি ইতোমধ্যে ভালো অবস্থানে আছে? আপনার উত্তরগুলো সে অনুযায়ী গুছিয়ে নিন। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, ‘প্রথম অবস্থায় আপনি আমাকে কি কি টার্গেট ফুলফিল করতে বলবেন?’

মনে রাখবেন যে মুহূর্ত থেকে আপনি ইন্টারভিউ রুমের দরজা দিয়ে ঢুকলেন, তখন থেকে শেষ পর্যন্ত, কেউ একজন আপনাকে খুব সূক্ষ্ম নজরে দেখছেন এবং আপনার সম্পর্কে একটি ধারণা তৈরি করছেন। এটি শুধুমাত্র আপনি একেকটি উত্তর কিভাবে দিচ্ছেন সেটার উপর ভিত্তি করে না, আপনি যখন উত্তর দিতে পারছেন না বা দিচ্ছেন না এবং সেটি কিভাবে বলছেন বা কি করছেন তাও দেখা হচ্ছে।

একজন প্রার্থী প্রথম ইম্প্রেশন তৈরি করে, সে কতটা সহজভাবে ইন্টারভিউটিকে নিলো তার উপর ভিত্তি করে। ইন্টারভিউ বোর্ডে আত্মবিশ্বাস রাখুন, আই-কন্টাক্ট রাখুন এবং একটি হাস্যেজ্বল ও হ্যান্ডশেক দিয়ে ইন্টারভিউ শুরু করুন।

 
লেখক : লাইফ হ্যাকিং ব্লগার ও কনটেন্ট মার্কেটিং স্পেশালিস্ট। 

আরো পড়ুন : কাজের দক্ষতা বাড়াতে চাই সঠিক পরিকল্পনা

   

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলির ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৪৭৯৯৮১ জন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলির ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৪৭৯৯৮১ জন

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলির ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৪৭৯৯৮১ জন

  • Font increase
  • Font Decrease

১৮তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনের (এনটিআরসিএ) প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে স্কুল পর্যায়ে দুই লাখ ২১ হাজার ৬৫২ জন, স্কুল-২ পর্যায়ে ২৯ হাজার ৫১৬ জন এবং কলেজ পর্যায়ে দুই লাখ ২৮ হাজার ৬৮১৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। আর সর্বমোট উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন।

বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ মার্চ ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন এর স্কুল, স্কুল পর্যায়-২ ও কলেজ পর্যায়ের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন। এর মধ্যে পাস করেছেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন। পাসের গড় হার ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। 

পরীক্ষার ফলাফল http://ntrca.teletalk.com.bd/result/ লিংকের মাধ্যমে জানা যাবে। এছাড়াও উত্তীর্ণদের মোবাইলে এসএমএস'র মাধ্যমেও ফলাফল জানিয়ে দেয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন এর স্কুল, স্কুল পর্যায়-২ এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সকাল সাড়ে নয়টা থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত দেশের ৮ বিভাগের ২৪ জেলা শহরে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

একই দিন বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ।

জানা যায়, ২ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দে ১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এতে প্রায় ১৯ লাখ চাকুরীপ্রার্থী আবেদন করেন।

;

প্রাথমিকের দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৫৪৫৬



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রাথমিকের দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ

প্রাথমিকের দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন পাঁচ হাজার ৪৫৬ জন।

বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপের ২২ জেলায় (খুলনা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগ) লিখিত পরীক্ষায় ২০ হাজার ৬৪৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। এসব প্রার্থী পরবর্তীতে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।

প্রকাশিত ফলাফল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.govt.bd এ পাওয়া যাবে। 

উল্লেখ্য, প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে এবারই প্রথম আবেদন ও নিয়োগ পরীক্ষা ধাপে ধাপে নেওয়া হচ্ছে। গুচ্ছভিত্তিক এ নিয়োগে তিন ধাপে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষাও আলাদাভাবে নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রথম ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

;

দরিদ্র মানুষের পাশে থাকতে চাই সবসময় : আবির হাসান



ক্যারিয়ার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আবির হাসান, ছবি: সংগৃহীত

আবির হাসান, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দরিদ্র কৃষক-গৃহিণী দম্পতির কোল আলো করে জন্ম নেন আবির হাসান। কে জানতো এই আবির হাসানই একদিন সেনাবাহিনীর অফিসার হয়ে এলাকার নাম উজ্জ্বল করবেন। এমনটাই করে দেখিয়েছেন পাবনার চাটমোহর এলাকার সন্তান আবির হাসান।

চাটমোহর এলাকার আবির হাসান ছিলেন ছোটবেলা থেকেই দুরন্ত। ইচ্ছে ছিল একদিন অনেক বড় হবেন, কিন্তু বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় দারিদ্রতা। তবে দারিদ্রতা যে সফলতার রাস্তার বাঁধা হতে পারে না, সেটা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন আবির।

বাবার সঙ্গে লাঙ্গল নিয়ে মাঠে চাষ করেছেন আবার ঠিকই লেখাপড়াও করেছেন। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছেলে সে। তার মনের বাসনায় ছিল পরিবারের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন। পরিবারের সবার ছোট ছেলেটাই এখন আর্মি অফিসার।

যদিও প্রথমে সেনাবাহিনীতে চাকরি করার ইচ্ছে ছিল না তার, তবুও পরিবারের চাওয়ায় যুক্ত হোন সেনাবাহিনীতে। তার পর থেকে কঠোর পরিশ্রম আর মেধা সৃজন দিয়ে নিজেকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন আবির হাসান।

গ্রাম থেকে নবম শ্রেণি পাশ করে মনিপুর স্কুল এন্ড কলেজে ভর্তি হোন, সেখান ভালো ফলাফল করে। গ্রাজুয়েশনের জন্য ভর্তি হোন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল (বিউপি)। সেখান থেকে স্নাতক পাশ করেন। আমেরিকান কমান্ডো ট্রেনিংও করেছেন আবির।

দরিদ্র পরিবার থেকে বেড়ে উঠার কারণে দারিদ্রতা কাছ থেকেছেন আবির। তাই দরিদ্র মানুষের পাশে থাকেন সবসময় আবির। মানুষের দুঃখ কষ্টের সঙ্গী হতে চেষ্টা করেন। যেমন তিনি নিয়েছেন নিজ পরিবারের দায়িত্ব, তেমনি গরীব পরিবারের দায়িত্বও নিজ হাতে নিয়েছেন তিনি।

আবির হাসান বলেন, দারিদ্রতাকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। আল্লাহর রহমতে এখন আমি সফল। আমি দরিদ্র মানুষেরদের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই।

আবির হাসান সবসময় নিজেকে একজন আর্দশবান মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছেন। তার প্রত্যাশা আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।

;

গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাশের হার ৩৬.৩৩ শতাংশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য অনুষ্ঠিত গুচ্ছভুক্ত জিএসটির ‘বি’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।

এ পরীক্ষায় পাসের হার ৩৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ। শিক্ষার্থীরা আজ রাত ১১ টা ৫৯ মিনিটের আগেই জিএসটির ওয়েবসাইটে ঢুকে তাদের ফলাফল জানতে পারবেন।

রোববার (৫ মে) দুপুরে জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালযয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনের কাছে টেকনিক্যাল কমিটির পক্ষ থেকে ‘বি’ ইউনিটের ফলাফল তুলে দেওয়া হয়।

বিকেলে জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির সভায় উপস্থাপনের পর তা প্রকাশের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

ঘোষিত ফলাফলে জানানো হয়, ২০২৩-২৪ সেশনে প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য এবছর ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করে। এর মধ্যে ৮৫ হাজার ৫৪৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। তার মধ্যে ৩১ হাজার ৮১ জন শিক্ষার্থী ৩০ নম্বরের উপরে পেয়ে ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা অর্জন করেছেন। যার হিসাবে পাসের হার ৩৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

এছাড়া বিভিন্ন কারণে শূন্য দশমিক ০৩ শতাংশ তথা ২৩ জন শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র বাতিল হয়েছে। ‘বি’ ইউনিটের গতবার পাসের হার ছিল ৫৬ দশমিক ৩২ শতাংশ। শিক্ষার্থীরা আজ রাত ১১ টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে জিএসটির ওয়েবসাইট (https://gstadmission.ac.bd/) থেকে ফলাফল জানতে পারবেন।

ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, ‘বি’ ইউনিটে সর্বোচ্চ ৭৬ দশমিক ২৫ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন রুকাইয়া ফেরদৌস লামিয়া। কৃতিত্বপূর্ণ এ শিক্ষার্থী ঢাকার বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী।

এছাড়া ৭৫ নম্বরের উপরে ১ জন, ৭০ নম্বরের ওপরে ৭ জন, ৬৫ নম্বরের উপরে ৪৯ জন, ৬০ নম্বরের উপরে ২১৯ জন, ৫৫ নম্বরের উপরে ৭৮৩ জন, ৫০ নম্বরের উপরে ২৪২৫ জন, ৪৫ নম্বরের উপরে ৫৮৩০ জন, ৪০ নম্বরের উপরে ১১৬৪৬ জন, ৩৫ নম্বরের উপরে ২০১৩২ জন এবং ৩০ নম্বরের উপরে ৩১০৮৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ‘বি’ ইউনিটভুক্ত শিক্ষার্থীদের জন্য ৪ হাজার ৫১৫টি আসন রয়েছে।

‘বি’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশের সময় অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, থাকা-খাওয়াসহ বিভিন্ন দুর্দশা লাঘবে চতুর্থবারের মতো তিনটি ইউনিটে জিএসটি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত ৩ মে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে পরীক্ষা সম্পন্ন করায় গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ যারা প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মডারেশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্তরের সামরিক-বেসমারিক, আধা-সামরিক, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

ফলাফল প্রকাশের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাসিম আখতার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জেড এম পারভেজ সাজ্জাদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুরের অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দিন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান, টেকনিক্যাল উপ-কমিটির অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. খাদেমুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব প্রমুখ।

এদিকে গুচ্ছভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের আর্কিটেকচার (ড্রয়িং) পরীক্ষার ফলাফলও ঘোষণা করা হয়েছে। পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ড্রয়িং (ব্যবহারিক) পরীক্ষার মোট নম্বরের ৩০ শতাংশকে পাস হিসেবে বিবেচনা করে ৮৭৭ জনকে উত্তীর্ণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। পাসকৃত শিক্ষার্থীরাও আজ রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের আগেই জিএসটির ওয়েবসাইটে গিয়ে তাদের ফলাফল দেখতে পাবেন। গুচ্ছভুক্ত চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্কিটেকচারে ভর্তির জন্য মোট ১৬৫টি আসন রয়েছে।

উল্লেখ্য, আগামী ১০ মে ‘সি’ ইউনিটে বাণিজ্য বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের বেলা ১১টা-১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা পূর্বেই কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

;