শেষ রাউন্ডে পথ হারালেন সিদ্দিকুর



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শিরোপা জিততে পারলেন না সিদ্দিকুর রহমান

শিরোপা জিততে পারলেন না সিদ্দিকুর রহমান

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন সিদ্দিকুর রহমান। কিন্তু শেষটা ভাল হলো না দেশসেরা গলফারের। শনিবার শেষ রাউন্ডে এলোমেলো হয়ে গেল সবকিছু! বঙ্গবন্ধু কাপ গলফ ওপেনে চতুর্থ থেকে দিন শুরু করলেও ১২তম স্থানে থেকে লড়াই শেষ করলেন! আগের তিন রাউন্ডে মাত্র একটি বোগি করা সিদ্দিকুর শেষ রাউন্ডে দুটি বার্ডির সঙ্গে বোগি করেন পাঁচটি!

পারের চেয়ে আট শট কম খেলে যৌথভাবে দ্বাদশ হলেন সিদ্দিকুর। এশিয়ান ট্যুরের এই প্রতিযোগিতার আগের মতোই ট্রফি উঠলো কোন বিদেশি গলফারের হাতে। সাড়ে তিন লাখ ডলার প্রাইজমানির এই আসরে এবার বাজিমাত সাদোম কায়েওকানজানার। থাইল্যান্ডের এই গলফার জিতলেন বঙ্গবন্ধু ওপেনের শিরোপা। সব মিলিয়ে পাঁচ আসরেই সেরা হলেন বিদেশিরা।

আরো একবার ব্যর্থ হয়েছে স্থানীয় গলফাররা। হতাশ সিদ্দিকুর শনিবার দিন শেষে বলছিলেন, ‘আমি হতাশ। নিজেকে দুর্ভাগাই বলব আমি। দিনের শুরুটা ভালো ছিল। কিন্তু এরপরই ভাগ্য সহায় হলো না। অবশ্য এটাই শেষ নয়। ভবিষ্যতে আরও প্রতিযোগিতায় খেলব।’

এখানেই শেষ নয়, সিদ্দিকুর দুঃখ প্রকাশও করলেন। হতাশ এই গলফার বলেন, ‘আমি দুঃখিত। আপনাদের আশা পূরণ করতে পারিনি। মানসিকভাবে কোনো দূর্বলতা ছিলো না। সেরাটা দিয়েছি। কিন্তু হয়নি।’ সামনে প্রতিযোগিতায় আরো বেশি প্রস্তুত হয়েই লড়তে চান এই গলফার।

তবে শেষদিনে লড়েছেন জামাল হোসেন। আগের দিন ২৪তম স্থানে থাকলেও শনিবার শেষ রাউন্ডে ছয়টি বার্ডি করে তিনি হয়েছেন যৌথভাবে দশম। আগের রাউন্ডে যৌথভাবে সপ্তম স্থানে থাকা আকবর হোসেন শেষ অব্দি যৌথভাবে ১৫তম হয়েছেন। মোহাম্মদ নাজিম যৌথভাবে ২৫তম। বাদল হোসেন যৌথভাবে ৩১তম ও মুহাম্মদ মুয়াজ হয়েছেন যৌথভাবে ৩৫তম।

শনিবার কুর্মিটোলা গলফ কোর্সে প্রতিযোগিতার শেষ রাউন্ডে পারের চেয়ে ১৯ শট কম খেলে সেরা হয়েছেন সাদোম কায়েওকানজানা। পারের চেয়ে ১৮ শট কম নিয়ে ভারতের অজিতেশ সান্ধু দ্বিতীয় হয়েছেন। শেষ রাউন্ডে থাইল্যান্ডের গলফারের সঙ্গে তার লড়াইটা বেশ জমে উঠেছিল। আর পারের চেয়ে ১৭ শট কম খেল তৃতীয হলেন রশিদ খান।

   

প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেটের সেমিতে ক্যামব্রিয়ান-কদমতলা



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেটের ঢাকা মেট্রো পর্বের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও কদমতলা পূর্ব বাসাবো হাই স্কুল। মিরপুর সিটি ক্লাব গ্রাউন্ডের কোয়ার্টার ফাইনালে বাদশাহ ফয়সাল ইনস্টিটিউটকে ১৬৫ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে রাইয়ানের ব্যাটিং তাণ্ডবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২৬৬ রানের বড় স্কোর গড়ে ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ। দলের হয়ে ৪৮ বলে ১০৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে রাইয়ান। ৬ বাউন্ডারি আর ১১ ছক্কায় সাজানো ছিলো তার ইনিংস।জবাব দিতে নেমে ১০১ রানের বেশি তুলতে পারেনি বাদশাহ ফয়সাল ইনস্টিটিউট।

অন্য কোয়ার্টার ফাইনালে খালেদ মাহমুদ সুজন-মেহরাব হোসেন অপিদের উইলস লিটল ফ্লওয়ার স্কুলের বিপক্ষে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে জিতেছে কদমতলা পূর্ব বাসাবো স্কুল। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০৬ রান তুলতে সমর্থ হন উইলস লিটল ফ্লওয়ার। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৯ রান করে ফাইয়াজ, ১৩ রানে ২ উইকেট পান আলিফ। ৩ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে কদমতলা পূর্ব বাসাবো হাই স্কুল। ৪৩ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে রানা।

;

চোটগ্রস্ত পাথিরানাকে নিয়েই বিশ্বকাপের দল ঘোষণা শ্রীলঙ্কার



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে দারুণ খেলছিলেন মাতিশা পাথিরানা। তবে মাঝ পথে হ্যামস্ট্রিং চোটে পড়ায় আসর শেষ না করেই দেশে ফিরতে হয়েছে তাকে। সেই চোট এখনও সারিয়ে উঠতে পারেননি তিনি। তবে চোট না সারিয়ে উঠলেও তাকে বিশ্বকাপে নিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত লঙ্কানদের ১৫ সদস্যের দলে জায়গা হয়েছে তার।

বিশ্বকাপে লঙ্কানদের নেতৃত্ব দেবেন ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা। তার ডেপুটি হিসেবে থাকবেন চারিথ আসালাঙ্কা। এর বাইরে অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও দাসুন শানাকাকে রেখেছে শ্রীলঙ্কা। দল থেকে বাদ পড়েছেন কুশল প্যারেরা ও আকিলা ধনঞ্জয়া। ১৫ সদস্যের বাইরে ভ্রমণ রিজার্ভ হিসেবে ৪ জনকে রেখেছে শ্রীলঙ্কা। তারা হলেন অসিথা ফার্নান্দো, বিজয়কান্ত বিয়াস্কান্ত, ভানুকা রাজাপাকসে, জানিথ লিয়ানাগে

এবারের বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা তাদের প্রথম ম্যাচ খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। সেই ম্যাচটি হবে আগামী ৩ জুন। শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ম্যাচ ৮ জুন। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার পরের দুই ম্যাচের প্রতিপক্ষ নেপাল ও নেদারল্যান্ডস।

শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ স্কোয়াড: ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা (অধিনায়ক), চারিথ আসালাঙ্কা (সহ-অধিনায়ক), কুসল মেন্ডিস, পথুম নিসাঙ্কা, কামিন্দু মেন্ডিস, সাদিরা সামারাবিক্রমা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, দাসুন শানাকা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, মহেশ থেকশান, দুনিথ ভাল্লালাগে, দুষ্মন্ত চামেরা, নুয়ান তুষারা, মাতিশা পাথিরানা, দিলশান মাদুশঙ্কা।

ভ্রমণ রিজার্ভ: অসিথা ফার্নান্দো, বিজয়কান্ত বিয়াস্কান্ত, ভানুকা রাজাপাকসে, জানিথ লিয়ানাগে

;

হার দিয়ে শুরু এবং শেষ, মাঝে কেবলই হতাশা



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ভারতের বিপক্ষে ১ টা জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে তো সিরিজেও ভাগ বসিয়েছিল নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। এবার তাই প্রত্যাশা ছিল খানিক বেশি। এই সিরিজের আগে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা অর্জন করায়; ভাবা হচ্ছিল, ভারতের বিপক্ষে এবার প্রতিদান দেবে জ্যোতির দল।

সেই ভাবনা অবশ্য শেষ পর্যন্ত ভাবনাতেই থেকে গিয়েছে, বাস্তবে ধারা দেয়নি। ভারতের মেয়েদের বিপক্ষে হার দিয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর পর হার দিয়েই শেষ করেছে বাংলাদেশ। পুরো সিরিজে জিততে পারেনি একটি ম্যাচও। অর্জনের ঝুলি ফাঁকা হলেও হতাশার ঝুলিটা ফুলেফেপে একাকার। বিশ্বকাপের আগে ফুটে উঠেছে বেশকিছু দুর্বলতাও। সেই দুর্বলার বড় অংশ জুড়ে রয়েছে ব্যাটিং ও ফিল্ডিং।

সিরিজে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে ভারতের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে রেকর্ড রান তাড়া করতে হতো বাংলাদেশকে। টপকাতে হতো ১৫৬ রানের পাহাড়। লক্ষ্য তাড়ায় নেহায়েত মন্দ করেনি বাংলাদেশ। সিরিজের সবচেয়ে বেশি ১৩৫ রান করলেও শেষ পর্যন্ত হারতে হয়েছে ২২ রানের ব্যবধানে।

ভারতের বিপক্ষে পুরো সিরিজেই দেখা গেছে বাংলাদেশি ব্যাটারদের অসহায়ত্ব। একমাত্র ফর্মে ছিলেন অধিনায়ক জ্যোতি। তিনিও শেষ পর্যন্ত ভেসেছেন বাকিদের ব্যর্থতার মিছিলে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ফিফটি পেলেও বাকি ম্যাচগুলোতে নিজেকে হারিয়ে খুঁজেছেন তিনি। শেষ ম্যাচে এসে অবশ্য রানের দেখা পেয়েছেন রিতু মনি। তার ৩২ বলে করা ৩৮ রানেই হারের ব্যবধানটা কমিয়ে আনতে পেরেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে ২১ বলে ২০ রান করেন রুবায়া হায়দার। ১১ বলে ১৬ রান আসে স্বর্ণার ব্যাট থেকে। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে ২৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন রাধা যাদব।

;

জামালকে ২ কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ ফিফার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বর্তমানে খেলছেন আর্জেন্টিনার তৃতীয় বিভাগের ক্লাব সোল দা মায়োতে। তবে দেড় বছরের চুক্তি থাকলেও যোগ দেওয়ার কিছুদিন পরেই ক্লাব ছেড়ে চলে এসেছিলেন তিনি। সেই ক্লাবে কোনো বেতন না পাওয়ায় চুক্তি ভঙ্গ করেই ফেরত আসেন তিনি।

ফিফার কাছে তার বকেয়া বেতন চেয়ে আবেদন করেছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। এতদিন ছিলেন রায় ঘোষণার অপেক্ষায়। অবশেষে গতকাল বুধবার ফিফার ফুটবল ট্রাইব্যুনালের তরফ থেকে জামালের পক্ষেই এসেছে রায়। যাতে বলা আছে, সোল দে মায়োকে মোট ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৯৮০ ডলার (বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ১ কোটি ৯০ লক্ষ ২৯৮০ টাকার সমান) পরিশোধ করতে হবে।

আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে এই অর্থ জামালকে পরিশোধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আর্জেন্টাইন ক্লাবটিকে। যদিও ক্লাবটির কাছে ১০ দিন সময় আছে আপিল করার জন্য। এখানে উল্লেখ্য যে, ফিফাকে নিজেদের পক্ষে কোনো অফিশিয়াল ডকুমেন্টস সোল দে মায়ো দেখাতে পারেনি।

বর্তমানে আবাহনীতে খেলা জামাল এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমি অনেক আশা নিয়ে সেখানে খেলতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওরা এমনটা করতে ভাবতে পারিনি। আমি তাই চুক্তি ছিন্ন করে ফেরত চলে আসি। আমার পক্ষে রায় পেয়ে আমি খুব খুশি।‘

;