গণপরিবহন সংকটে রিকশা-সিএনজিতে ভাড়া নৈরাজ্য



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিবহন শ্রমিক ও মালিকদের ধর্মঘটে রাজধানীতে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারেও তৈরি হয়েছে গণপরিবহন সংকট। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হাতে পরিবহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনে নিরাপত্তার দাবিতে বাস চলাচল বন্ধ করে বিক্ষোভ করছে পরিবহন শ্রমিকরা।

এদিকে গণপরিবহন চলাচল না করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা। এই সুযোগে মূল ভাড়ার দুই থেকে তিনগুণ বেশি চাইছেন রিকশা-সিএনজি চালকরা।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ি, সায়দাবাদ ও গুলিস্তান ঘুরে দেখা গেছে, গাড়ির অপেক্ষায় মানুষের দীর্ঘ জটলা তৈরি হয়েছে। তার সামনেই সারি ধরে দাঁড়িয়ে আছে বেশ কিছু রিকশা ও সিএনজি। কিন্তু গন্তব্য স্থলে যাওয়ার জন্য তারা যে ভাড়া চাইছেন, তা মূল ভাড়ার দুই থেকে তিনগুণ বেশি।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মিথিলা কবির বোনের বাসায় বেড়াতে যাবেন বলে বের হয়েছেন। কোন যানবাহন না পেয়ে রিকশাতেই যাবার জন্য মনস্থির করেছেন। কিন্তু রিকশা যাত্রাবাড়ি থেকে গুলিস্তান যাবার ভাড়া জানতে চাইলে রিকশা চালকের উত্তর সাড়ে তিন'শ টাকা। এরপর আর কিছু বলতে পারলেন না তিনি। সেখানে থেকে সরে এসে আগের জায়গাতেই অপেক্ষা করতে লাগলেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/03/2018-Aug-03_13_45_24_news_post.jpg

তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, "বোনের বাসায় যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলাম। ভাবলাম যেহেতু গাড়ি নেই, তাই একটা রিকশা নিয়ে আপাতত গুলিস্তান যাই, তারপর দেখা যাবে। কিন্তু ৭০ থেকে ৮০ টাকার ভাড়া চাইছে সাড়ে তিন'শ টাকা। এরপর আর কিইবা বলার আছে।"

মিজান মিয়া নামের এক রিকশা চালক বার্তা২৪.কমকে বলেন, গত কয়দিন ধইরা আমগো ঈদ চলে। ঈদেও এতো টাকা পাইনা সারাদিনে। ভাড়া একটু বেশি চাইলেই মানুষ রাগ দেখায়। বড় বড় দুর্নীতিবাজরা দুর্নীতি কইরা দেশটা শেষ করতাছে তাতে দোষ নাই, আর আমরা গরীবরা ভাড়া বেশি চাইলেই দোষ।

রিকশার চেয়ে কয়েকধাপ এগিয়ে সিএনজি অটোরিকশা। গুলিস্তান থেকে ফার্মগেট যেতে ভাড়া হাকছেন ছয়'শ টাকা। এতো বেশি ভাড়া কেন, জানতে চাইলে সুমন আহমেদ নামের একজন সিএনজি চালক বলেন, আমরা ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি বের করছি। কোন ক্ষতি হলে তো কেউ দায় নেবে না। আর আজকে ভাড়া একটু বেশিই।

   

গরমে পানি সংকটে কাফরুল, গ্রাহকদের ক্ষোভ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
গরমে পানি সংকটে কাফরুল

গরমে পানি সংকটে কাফরুল

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র গরমে রাজধানীর কাফরুলে খাবার পানিসহ দৈনন্দিন ব্যবহারের পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। জীবন বাঁচানোর তাগিদে অনেকে প্রতিদিন অর্থ খরচ করে বাইরে থেকে পানি কিনে খাচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত প্রায় ৫-৬ দিন ধরে পানির তীব্র সংকটে ভুগছেন কাফরুল এলাকার বাসিন্দারা। কোন কোন বাসায় সারাদিনে এক ঘণ্টার জন্যও ওয়াসার পানি পাচ্ছেন না। এতে ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকাবাসী।

উত্তর কাফরুল, ইব্রাহীমপুর কাঁচা বাজার, পানির পাম্প, ওয়েস্ট কাফরুলসহ আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা জানান, তীব্র তাপ প্রবাহের মধ্যেই পানি সংকট মানুষের কষ্টকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। পানির অভাবে রান্না, খাওয়া ও গোসলসহ নিত্য-প্রয়োজনীয় কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। দৈনন্দিন কাজগুলো করতে তাদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। কিন্তু সমাধানের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই ওয়াসার।

রাজধানীর কাফরুলে বসবাস করেন আদমজী ক্যান্টমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া ইসলাম আমানী। তিনি বলেন, একদিকে তাপ প্রবাহ, অন্যদিকে অনেকটা ‘ঘাড়ে ভূত সওয়ার’ হবার মতো তীব্র পানি সংকট চেপে বসেছে। সব মিলিয়ে পড়াশোনায় কিছুতেই মন বসাতে পারছি না। এমন অবস্থায় মাসখানেক পরে শুরু হতে যাওয়া বার্ষিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে কলেজ শিক্ষার্থী আমানী বলেন, গরমের কারণে এমনিতে অসহ্য যন্ত্রণায় আছি, তার ওপর গত এক সপ্তাহ ধরে নেই পানি। সারাদিনে এক ঘণ্টাও পানি থাকে না। গোসল করতে পারি না, রান্না বান্নায়ও সমস্যা। জরুরি প্রয়োজনেও পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে খুব হিসাব করে। বালতিতে জমিয়ে রাখা পানি দিয়ে আর কতক্ষণ চলে।

পানির এমন সংকটে ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে নানান কথা শুনতে হচ্ছে জানিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক বার্তা২৪.কম-কে বলেন, সারাদিনে এক ঘণ্টাও ওয়াসার পানি থাকে না। এদিকে পানির জন্য ভাড়াটিয়ারা সারাদিনই একজনের পর একজন ফোন দিতে থাকে। আমি কোথায় পানি পাব, ওয়াসা যদি না দেয়। তারপরও প্রতিদিন নানাভাবে ম্যানেজ করে একবার পানি দেওয়ার চেষ্টা করি।

এ বিষয়ে ঢাকা ওয়াসা মডস জোন-১০ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিক আহমেদ খান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, তীব্র তাপদাহে পানির অতিরিক্ত চাপের কারণে কয়েকটি পাম্প ডাউন (নষ্ট) হয়ে গেছে। যার কারণে পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে।

কবে নাগাদ পাম্পগুলো সচল হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আল্লাহ ভালো জানে। তবে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি দ্রুতই পাম্পগুলো সচল করার।

;

আ.লীগের অর্জনকে নস্যাৎ করার অপশক্তিরা এখনো সক্রিয়: দীপু মনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যান মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমাদের যত অর্জন, বাংলাদেশের যত অর্জন সবকিছু এসেছে আওয়ামী লীগের মাধ্যমে। আর সেই অর্জনকে নস্যাৎ করে দেবার জন্য যে অপশক্তি, তারা বঙ্গবন্ধুর সময় যেমন ছিল আজকেও তারা সক্রিয় আছে।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে '১/১১ এ কারাবন্দী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা -মুক্তির দাবিতে ২৫ লক্ষ গণস্বাক্ষর জমা' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ডা. দীপু মনি বলেন, আমাদেরকে আমাদের ঐক্য, সংকল্পের দৃঢ়তা, দলীয় আনুগত্য যদি সুধরে রাখতে না পারি তাহলে কিন্তু সেই অপশক্তি আবারও ছোবল দিবে। তাই দেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের দ্বায়িত্ব ওই অপশক্তি যেনো কখনো ছোবল মারতে না পারে সেটা লক্ষ রাখতে হবে। সেই দ্বায়িত্ব পালনে যেনো আমরা কখনো পিছ পা না হই। আমি মনি করি সেটিই আমাদের অঙ্গীকার হওয়া উচিত।

দলের সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্ববান জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, নেত্রীর জন্য জানও দিয়ে দিবেন বলবেন কিন্তু নেত্রী নেতৃত্বে দলের যে সিদ্ধান্ত সেটা মানবেন না; তখন নিজেরা নিজের মতো চলবেন এটাতো আসলে হওয়া উচিত না। আমরা কথায় কথায় বলি নেত্রীর জন্য জান দিয়ে দিবো। কিন্তু কেউ জান দিয়ে দিক এটা নেত্রী চান না। নেত্রী যে সিদ্ধান্ত দেয়, সে সিদ্ধান্ত মানি কিনা? সেটা কেন্দ্রে হোক, তৃণমূলে হোক, যেখানেই হোক। আমাদের সবার যদি এরকম হয় যে, বিচার মানি তালগাছ আমার তাহলে কিন্তু হবে না। তাহলে কিন্তু নেত্রীর প্রতি ভালোবাসা হলো না।

তিনি বলেন, আওয়ামী একটি গণতান্ত্রিক দল, এর সিদ্ধান্ত গ্রহনের প্রক্রিয়াও গণতান্ত্রিক। নেত্রী কারও ওপর কিছু চাপিয়ে দিচ্ছে না। প্রত্যেকের সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। মূল সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আমাদের মত থাকতে পারে। কিন্তু যখন সিদ্ধান্ত হয়ে যায়, তখন সেটা দলীয় সিদ্ধান্ত। হয় আমি সেই সিদ্ধান্ত মানি না হয় আমি দল করবো না। সেই স্বাধীনতা আপনার আছে। কিন্তু আপনি দলও করবেন, নেত্রীর জন্য জানও দিয়ে দিবেন বলবেন কিন্তু নেত্রী নেতৃত্বে দলের যে সিদ্ধান্ত সেটা মানবেন না; তখন নিজেরা নিজের মতো চলবেন এটাতো আসলে হওয়া উচিত না।

সমাজকল্যান মন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ১১ জুন ২০০৮ সালে জনতার চাপে আওয়ামী লীগকে ভাঙতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়ে সেনা সমর্থিত তত্তাবধায়ক সরকার বাধ্য হয়েছিল শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে। মাত্র ১৫ দিনে ২৫ লক্ষ স্বাক্ষর সেই সময় সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিল। আরেকটি ভূমিকা রেখেছিল আমাদের বর্ধিত সভা। যেখানে সারা দেশ থেকে নেতৃবৃন্দ এসে সারা দেশকে জানিয়ে দিলো 'নো শেখ হাসিনা, নো ইলেকশন'।

সাপ্তাহিক গণ বাংলার প্রধান উপদেষ্টা এম এ করিমের সভাপতিত্বে ও সাবেক ছাত্র নেতা চন্দন কুমার ঘোষের পরিচালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট বলরাম পোদ্দারসহ অন্যান্য নেতারা।

;

বাস ধর্মঘটে রাঙামাটিতে চরম দুর্ভোগে যাত্রী সাধারণ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙামাটিতে বাস ধর্মঘটের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী সাধারণ। কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কে আগুন দিয়ে বাস পোড়ানোর প্রতিবাদে রোববার থেকে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের কারণে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বৃহত্তর চট্টগ্রাম বাস মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে রাঙামাটিতে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দেন বাস মালিক শ্রমিকরা। এ কারণে রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম, রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি-বান্দরবানসহ অভ্যন্তরীণ রুটগুলোতে যাত্রীবাহী বাস ছেড়ে যায়নি।

সকাল থেকে রাঙামাটির সব রুটের বাস কাউন্টারগুলো বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও সকালে বিআরটিসির বাস চট্টগ্রাম থেকে রাঙামাটিতে এলেও রাঙামাটি থেকে বিআরটিসির কোনো বাস ছেড়ে যাচ্ছে না।

এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বান্দরবান, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়িগামী যাত্রী ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা যাত্রী সাধারণ।

জীবন-জীবিকার তাগিদে আটকেপড়া যাত্রীরা বাধ্য হয়ে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে রাঙামাটি থেকে রানীরহাট ও চট্টগ্রাম পর্যন্ত চলাচল করছেন।

;

চট্টগ্রামের বায়েজিদে বস্তিতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ২ ইউনিট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের বায়েজিদে বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট কাজ করছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

বিস্তারিত আসছে...

;