সিলেটে অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘটে নাকাল যাত্রীসাধারণ



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটে অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘটে নাজেহাল যাত্রী সাধারণ। তবে পরিবহন নেতারা বলছেন নিরাপত্তার স্বার্থে চালকরা রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের হচ্ছেন না।

শুক্রবার (৩ আগস্ট) সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে পিকেটিং করছে পরিবহন চালকরা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।

সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও সুনামগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। সকাল থেকে শত শত যাত্রীরা বাসস্ট্যান্ডে ভিড় করতে থাকেন। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসা রোগীর স্বজনরা। অনেককে ছোট ছোট শিশুদের টেনে নিয়ে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা যায়।

কুমার গাও বাস স্ট্যান্ড এলাকায় সিলেটের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি বাস আটকে রাখে বাস চালকরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও পরিবহন শ্রমিকদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। জালালাবাদ থানা পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও নীরব ভূমিকা পালন করেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/03/2018-Aug-03_15_03_13_news_post.jpg

মদিনা মার্কেট এলাকায় পিকেটিং করছিল সিএনজি অটোরিকশা চালকরা। এ সময় এক মাইক্রোবাস চালক যাত্রী নিয়ে যেতে চাইলে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। তখন মাইক্রোবাসের এক যাত্রীকে নামিয়ে মারধর করে চালকরা।

জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন সত্তরোর্ধ্ব সবুজ আলী। তিনি বলেন, আমরা এ কোন দেশে বসবাস করছি। দুদিন পরপরই পরিবহন শ্রমিকরা জিম্মি করে ফেলে আমাদের। কারো যেন কিছু দেখার নেই।

সবুজ আলী বলেন, কোনরকম বাড়ি পৌছালি বাঁচি। তিনি আরো বলেন চালকরা অল্পতেই মারমুখী হয়ে যায়। আমরা যেন এই পরিবহন শ্রমিকদের কাছে জিম্মি।

সিলেট শহরতলীর টুকের বাজার এলাকায় দুদিক থেকে আসা শত শত গাড়ি আটকা পড়েছে। মধ্যখানে ফুটবল নিয়ে সড়কের মধ্যে খেলায় মত্ত হয় চালকরা। এ পরিস্থিতিতে চরম দুর্ভোগে পড়েন শহরমুখী লোকজন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/03/2018-Aug-03_15_03_40_news_post.jpg

সিলেট-তামাবিল সড়ক, সিলেট এয়ার্পোট, ঢাকা সিলেট মহাসড়ক, সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কের বিভিন্ন স্থানে পিকেটিং করছে চালকরা। ফলে যাত্রীদের পায়ে হেঁটে শহরে প্রবেশ করতে হচ্ছে। শুক্রবার হওয়ায় অফিস আদালত বন্ধ থাকায় শহরে আসা লোকজনের কম। তবেএদেরমধ্যে হাসপাতালে আগতদের সংখ্যা বেশি।

সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম আহমেদ  ফলিক বলেন, ধর্মঘট নয় চালাকরা গাড়ি নিয়ে বের হচ্ছে না। তিনি বলেন, বাচ্চারা রাজপথ ছেড়ে দিলে চালকদের গাড়ি বের করতে আপত্তি নেই।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহম্মদ আব্দুল ওয়াহাব বলেন, পরিস্থিতি আমাদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে। যাতে নতুন কোনো সমস্যা সৃষ্টি না হয় আমরা সেদিকে দৃষ্টি রেখেছি। তিনি জানান, শুক্রবার কোথাও আন্দোলন রত শিশুদের রাস্তায় বের হতে দেখা যায়নি। ওহাব বলেন পরিবহন মালিক ও চালকদের সাথে আলাপ-আলোচনা চলছে। আশা করছি সমাধান আসবে।

   

সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারী-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাদ্দাম হোসেন পাভেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অপপ্রচারের চালানোর অভিযোগ উঠেছে জলঢাকা পৌর নির্বাচনের মেয়র পদপ্রার্থী মো নাসিব সাদিক হোসেন নোভা বিরুদ্ধে। এঘটনায় সংবাদ প্রতিবাদ জানিয়ে সম্মেলন ও প্রতিবাদ মিছিল করেছে ওই আসনের আ. লীগের অঙ সংগঠন গুলো।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) উপজেলার অন্নেষা ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন জলঢাকা পৌর যুবলীগ। এছাড়া একই দিনে বেশ কয়েকটি বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করে স্বেচ্ছা সেবকলীগসহ বেশ কয়েকটি অঙ্গ সংগঠন।

সংসদ সদস্য সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রতিবাদ করে সংবাদ সম্মেলনে পৌর যুব লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক লাভলুর রশীদ বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে বিপুল ভোটে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন কেন্দ্রীয় যুব লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল। তবে নির্বাচিত হওয়ার পর নানা ভাবে আ. লোগ বিরোধীরা ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংসদ সদস্যকে নয়ে মন গড়া ভাবে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করে প্রচার করা হচ্ছে। পৌরসভা৷ নির্বাচনকে পুঁজি করে এসব বানোয়াট তথ্য ছড়াচ্ছে প্রার্থী নভো।

তিনি আরও বলেন, সংসদ সদস্য সাদ্দাম হোসেন পাভেল ঢাকায় অবস্থান করছেন। তিনি নিজের কাজ ও সংসদীয় এলাকার উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকায় বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে ঘুরছেন। এলাকায় না থাকা সত্ত্বেও এসব মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে যা উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

এদিকে গত ২৬ এপ্রিল জলঢাকা পৌর নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন ওই নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী নভো।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আ. লীগ এমপি হয়েও বিএনপি প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করছেন সাদ্দাম হোসেন পাভেল।
এ বিষয়ে জানতে পদপ্রার্থীকে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

সংসদ সদস্য সাদ্দাম হোসেন পাভেল বলেন, আমি দীর্ঘদিন আমার সংসদীয় এলাকার বাহিরে। নিজ এলাকার উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবার লক্ষ্যে আমি বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা চালাচ্ছি ঢাকা থেকে। এমনকি কোন নির্বাচন যেন প্রভাবিত না হয় সে জন্য উপজেলা নির্বাচনে আমার ভাইকে মনোনয়ন জমা থেকে বিরত রেখেছি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ছড়ানো হচ্ছে।

;

দেশকে সমৃদ্ধশালী করতে দক্ষ মানবশক্তি গড় তুলতে হবে: বিটিআরসি চেয়ারম্যান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

দেশকে সমৃদ্ধশালী করতে হলে তরুণ মানবশক্তিকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। এছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশের সুফল ভোগ করতে হলে প্রতিটি নাগরিককে প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো: মহিউদ্দিন আহমেদ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসির কনফারেন্স হলে আয়োজিত অষ্টম বাংলাদেশ স্কুল অব ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স-২০২৪ (বিআইজিএফ) এর Zero Digital Divide শীর্ষক সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সমাপনী অনুষ্ঠান বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, যেহেতু প্রযুক্তি মানুষের জন্য, তাই প্রযুক্তির সাথে মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে। উন্নত, উন্নয়নশীল এবং অনুন্নত দেশের মধ্যে ডিজিটাল ডিভাইসের ধরণ ভিন্ন।

সময়ের সাথে মানুষ তার নিজ প্রয়োজনে প্রযুক্তিকে গ্রহণ করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা কিংবা চালকবিহীন গাড়ির চেয়ে আমাদের জরুরি প্রয়োজন উচ্চগতির নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা। দেশকে সমৃদ্ধশালী করতে হলে তরুণ মানবশক্তিকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। এছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশের সুফল ভোগ করতে হলে প্রতিটি নাগরিককে প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম (বিআইজিএফ) চেয়ারপারসন জনাব হাসানুল হক ইনু বলেন, ডিজিটাল বিভক্তি শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা চ্যালেঞ্জ হলেও যেহেতু প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে, তাই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে প্রযুক্তি ব্যবহারে উৎসাহিত করতে হবে। বাংলাদেশের ডিজিটাল স্বাক্ষরতা বাড়াতে হলে ডিজিটাল অবকাঠামো, ডিজিটাল সেবা এবং সেবা গ্রহণের বিষয়গুলো উন্নত ও সহজলভ্য করতে হবে। ডিজিটাল স্বাক্ষরতা বাড়লে অর্থনৈতিক বৈষম্য, নারী-পুরুষ বৈষম্য কমে আসবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহার অবশ্যই জনবান্ধব, জলবায়ুবান্ধব ও নারীবান্ধব হতে হবে।

কমিশনের সিস্টেমস্ এন্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল-উর-রহমান বলেন, তরুণ, নারী এবং যুবকদের ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয়ক কর্মকাণ্ডে অংগ্রহণ এবং তাদের মতামতকে গ্রহণ করতে হবে। এআই, বিগ ডাটা, আইওটি প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে, তাই আমাদের এ প্রযুক্তি পরিবর্তনের সাথে অভিযোজন করতে শিখতে হবে।

অনুষ্ঠানে ৮২ জন ফেলোর অংশগ্রহণে তিন দিনের কর্মসূচীতে বৈশ্বিক ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট অব থিংগস (আইওটি) বিগ ডাটা , ডোমেইন নেইম সিস্টেম (ডিএনএস), ইন্টারনেট ইকোসিস্টেম, নিরাপদ ইন্টারনেট প্রযুক্তি, ডাটা প্রটেকশন, টেলিযোগাযোগ ও ই-কমার্স সংশ্লিষ্ট আইনসমূহ এবং তথ্য-প্রযুক্তিতে জিরো ডিজিটাল ডিভাইড সম্পর্কে আলোচনা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।

;

বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠাতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রতি প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠাতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রতি প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান

বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠাতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রতি প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠিয়ে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বৈধ পথে বাংলাদেশে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ একদিকে যেমন সুরক্ষিত থাকবে অন্যদিকে এই অর্থ থেকে সরকারি প্রণোদনাসহ সঞ্চয় ও বিনিয়োগের মাধ্যমে অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি মুনাফা অর্জনের সুযোগ রয়েছে।

প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী গতকাল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত রেমিটেন্স মেলায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকায় প্রাপ্ত এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ খবর জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, যারা বৈধ পথে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স পাঠাবেন তাদের জন্য ‘রেমিটেন্স এওয়ার্ড’ প্রবর্তনের পরিকল্পনা রয়েছে। রেমিটেন্স প্রেরণের জন্য ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা থেকে ৩ শতাংশ বৃদ্ধির যে প্রস্তাব রেমিটেন্স প্রেরণকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা জানিয়েছে, তা বিবেচনার জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ে উত্থাপন করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবাসীদের কল্যাণে ও তাদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছেন।

এতে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সুলতান মাহমুদ শরীফ ও বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক।

অনুষ্ঠানে রেমিটেন্স প্রেরণকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনাসহ উৎসাহব্যঞ্জক পদক্ষেপ গ্রহণের বিভিন্ন প্রস্তাব উত্থাপন করলে প্রতিমন্ত্রী তাদের প্রস্তাব বিবেচনা করবেন বলে আশ্বাস দেন। মেলায় যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে রেমিটেন্স প্রেরণকারী প্রধান ১৪টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এসব প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রেরণের সুযোগ-সুবিধা ও প্রণোদনা সম্পর্কে মেলায় দর্শকদের কাছে তুলে ধরা হয়।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী ব্রিটিশ-বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রবাসীদের স্বার্থ ও কল্যাণ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

;

মানবিক সমাজ বিনির্মাণে তরুণদের জ্ঞানকে কাজে লাগাতে হবে: স্পিকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
মানবিক সমাজ বিনির্মাণে তরুণদের জ্ঞানকে কাজে লাগাতে হবে: স্পিকার

মানবিক সমাজ বিনির্মাণে তরুণদের জ্ঞানকে কাজে লাগাতে হবে: স্পিকার

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, তরুণদের চিন্তাচেতনায় ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাতে হবে। দেশপ্রেম, দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও কর্তব্যবোধের মাধ্যমে মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

তিনি বলেন, মানবিক সমাজ বিনির্মাণে তরুণদের উদ্ভাবনী জ্ঞান ও বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তাকে কাজে লাগাতে হবে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সাভারে ব্র্যাক ইয়্যুথ প্লাটফর্মের উদ্যোগে আয়োজিত পরিবর্তনের উৎসব 'আমরা নতুন ইয়াং চেঞ্জমেকার অ্যাওয়ার্ড ২০২৪' অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

স্পিকার বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলসহ স্বাধীকার আন্দোলনের প্রতিটি পর্বেই তারুণ্যের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। বাঙালি জাতিরাষ্ট্রের মধ্যে একটি জাতিসত্তার বিকাশে এদেশের যুবসমাজ অবদান রেখেছে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশ গড়ার কাজে তরুণরা নিজেদের আত্মনিয়োগ করেছিল। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতিকে পুনঃনির্মাণের কাজে যখন নিজেকে ব্যাপৃত করেছিলেন ব্র্যাকের স্বপ্নদ্রষ্টা স্যার ফজলে হাসান আবেদ সেসময় শরণার্থী পুনর্বাসন ও ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশপ্রেমের উজ্জ্বল নজির স্থাপন করেন। শিক্ষা বিস্তার, স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে ব্র্যাক বরাবরই এগিয়ে চলেছে।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে তরুণরা সর্বদা সচেষ্ট থাকবে। তরুণদের হাত ধরেই স্বল্পোন্নত দেশ থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করবে বাংলাদেশ যা উদীয়মান অর্থনৈতিক দেশগুলোর মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রেখেছে।

স্পিকার বলেন, তথ্য প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহে তরুণরা প্রযুক্তির সর্বোচ্চ সুবিধা কাজে লাগিয়ে নিজেদের প্রস্তুত করবে। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতাগুলোতে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের আসনে আসীন করবে।

তিনি আরও বলেন, প্রথাগত চাকরির বাইরে ফ্রিল্যান্সিং ও স্টার্টআপের মত প্রযুক্তির নতুন নতুন কর্মক্ষেত্রে এদেশের যুবসমাজ নিজেদের নিয়োজিত করবে।

এসময় চেঞ্জমেকারদের মধ্য থেকে ৫টি প্রজেক্টকে অ্যাওয়ার্ডস প্রদান করা হয়।

এরপর তিনি অতিথি ও বিজয়ীদের সঙ্গে একটি গ্রুপ ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, ব্র্যাকের মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্লাটফর্মের সহযোগী পরিচালক শরীফুল হাসান, নতুন চেঞ্জমেকারদের মধ্য হতে নানা স্তরের প্রতিযোগী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;