সাতক্ষীরা-১ ও সাতক্ষীরা-৪ আসনের দুই প্রার্থীর ওপর সহিংস হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় তালায় ১০ জন ও শ্যামনগরে ২০ জন মিলে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।
এছাড়া অন্তত ছয়টি গাড়ি ভাঙচুর, একটি নির্বাচনী অফিস ও একজন চেয়ারম্যানের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা সাতক্ষীরা-১ আসনের জাপা দলীয় প্রার্থী সৈয়দ দীদার বখতকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘এখানে এলে নতুন খবর হবে। ভোট করার সাধ চিরদিনের মতো ভুলিয়ে দেবো।’
বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাতক্ষীরা-১ আসনের (তালা কলারোয়া) জাতীয় পাটির প্রার্থী সাংবাদিক সৈয়দ দীদার বখত এক সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, কলারোয়ায় গণসংযোগ শেষ করে বিকালে যখন ফিরে যাচ্ছিলেন তখন নগরঘাটা ৩০ মাইল এলাকায় তার গাড়ি বহরে হামলা করে নগরঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জজামান লিপু ও তার সহযোগীরা। তার বহরের পথরোধ করে তারা তার দুটি গাড়ি ভাঙচুর করেন।
হামলা থেকে তিনি নিজে রক্ষা পেলেও রক্ষা পাননি দলীয় নেতা কাজী আসাদ, আবদুস সোবহান, উপজেলা জাপা সেক্রেটারি এসএম মো. আলাউদ্দিন, শেখ মিরাজ, শেখ জাহাঙ্গির, বিশ^নাথ, শরিফুল ইসলাম ও ইকবাল হোসেন প্রমূখ।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মনোনীত মহাজোট প্রার্থীর সমর্থকরা লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তালা ও কলারোয়া এলাকায় দিন রাত মহড়া দিচ্ছে। ফলে নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারছি না।’
এর আগে শ্যামনগরের পদ্মপুকুর ইউনিয়নের পাতাখালিতে বিকল্পধারার প্রার্থী এইচএম গোলাম রেজার একটি পথসভায় হামলা করেন মহাজোট প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত এসএম জগলুল হায়দারের সমর্থকরা। তাদের ইটপাটকেলের আঘাতে আহত হন বিকল্পধারার তিন কর্মী বিল্লাল, আহসান ও সফিকুল।
গোলাম রেজা জানান, হামলাকারীরা তাকে বহনকারী একটি গাড়িসহ কমপক্ষে তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করেছেন। পরে শ্যামনগর বাসস্ট্যান্ডে তার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করেছেন।