একাদশ সংসদ নির্বাচনে সকল অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে হবিগঞ্জে টহল শুরু করেছে সেনাবাহিনী ও র্যাব। চলছে বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরাপদ করা এবং যেকোনো সহিংসতা রোধে এ টহল ও তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার পর থেকে জেলার সর্বত্র তল্লাশি ও টহল শুরু করে সেনাবাহিনী ও র্যাবের সদস্যরা। অভিযানে সব ধরনের যানবাহনেই তল্লাশি করা হচ্ছে। জেলার আবাসিক হোটেলগুলোতেও চলছে র্যাব-সেনাবাহিনীর তল্লাশি।
জেলায় একটি ব্রিগেডের অধীনে ২টি ব্যাটেলিয়নে সাত-আটশ সেনা সদস্য কাজ করছেন। ৩৬০ পদাতিক ব্রিগেডের অধীনে এর দায়িত্ব পালন করছেন একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদমর্যাদার কর্মকর্তা।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকে জেলা সদরসহ প্রত্যেকটি উপজেলায় সিএনজি অটোরিকশা, প্রাইভেট কারসহ সব ধরনের যানবাহন ও আবাসিক হোটেলগুলোতে তল্লাশি করছে র্যাব। এছাড়া র্যাবের টহলও জোরদার করা হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৯ হবিগঞ্জের দায়িত্বরত কর্মকর্তা এএসপি উবাইন।
তিনি জানান, র্যাব অভিযানে নামার পর থেকে জনমনে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ।
উল্লেখ্য, নির্বাচনকে ঘিরে জেলায় প্রায় ৭০০ সদস্যের এক ব্রিগেড সেনাবাহিনী। রয়েছে ১০০ সদস্যের র্যাব ও ৫৪০ সদস্যের বিজিবি। এছাড়াও নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে কেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে ৭৫৯৬ জন আনসার ও ১৫০০ পুলিশ। সব মিলিয়ে নির্বাচনে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় সাড়ে ১০ হাজার সদস্য।