পাবনার পাঁচটি সংসদীয় আসনে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এখন ভোট গণনার প্রস্তুতি চলছে। সকাল ৮টায় শীতের হিমেল হাওয়া উপেক্ষা করে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। জেলার ৬৬৭ টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ভোট গ্রহণের পর পরই পাবনা-৫ (সদর) ও পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সারিবদ্ধ হয়ে নারী পুরুষেরা পৃথক লাইনে দাঁড়িয়ে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।
জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোঃ জসিম উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কেন্দ্রের বাইরে দুই একটি ছোট খাটো ঘটনা ঘটেছে। যা আমলে নেওয়ার মতো নয়।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে জেলার দুইটি আসনের কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টাকালে পুলিশ কয়েকজনকে আটক করেছে।’
এদিকে পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে প্রাপ্ত তথ্যেমতে, ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টাকালে পাবনা-৩ আসনের ফরিদপুর উপজেলার পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিনকে আটক করা হয়। এছাড়া পাবনা-১ (বেড়া-সাঁথিয়ার আংশিক) আসনের বিভিন্ন কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে পুলিশ বিএনপির আট কর্মীকে আটক করেছে।
এদিকে দুপুরে পাবনা-৫ (সদর) আসনে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষের প্রার্থী জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী অধ্যক্ষ মাওলানা ইকবাল হোসাইন ও পাবনা-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী কেএম আনোয়ারুল ইসলাম ভোট বর্জনের কথা মোবাইল ফোনে গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলা রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসার বরাবর উভয় প্রার্থী লিখিত কোনো অভিযোগপত্র দাখিল করেননি।
অপরদিকে পাবনার মালিগাছা ইউনিয়নের খোদায়েরপুরে বিএনপি-জামায়াতের হামলায় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।