প্রতিবন্ধী জান্নাতির খোঁজ রাখেনি কেউ!

গাইবান্ধা, দেশের খবর

তোফায়েল হোসেন জাকির, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, গাইবান্ধা, বার্তা২৪.কম | 2023-08-25 09:40:06

অতিদরিদ্র পরিবারের শিশুকন্যা জান্নাতি আক্তার। বয়স সবেমাত্র ৬ বছর। জন্মলগ্ন থেকেই জান্নাতির পা দুটি অতি চিকন, বাঁকা ও দুর্বল। নিজের পায়ে ভর দিয়ে চলতে পারে না জান্নাতি আক্তার। অর্থাৎ যাকে বলা হয় শারীরিক প্রতিবন্ধী। অদ্যাবধিও প্রতিবন্ধী জান্নাতির খোঁজ রাখেনি কেউ! যেন সমাজের বোঝা হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে।

প্রতিবন্ধী শিশুদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের নানা কর্মসূচী থাকলেও শিশুকন্যা জান্নাতি খাতুন সেইসব সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তার পিতা হেলাল মিয়া। বসতভিটা ব্যতীত কোনো জায়গা জমি নেই। তিনি পেশায় একজন ভ্যান চালক। মাতা পারভিন বেগম। প্রতিবন্ধী জান্নাতির চিকিৎসা সেবার অর্থ যোগানের জন্য অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেন পারভিন।

এ পরিবারের বাড়ি গাইবান্ধা জেলাধীন ধাপেরহাট ইউনিয়নের হাসানপাড়া গ্রামে। নানা অভাব অনটনে দিন কাটে হেলাল মিয়ার। এর মধ্যে দিয়ে প্রতিবন্ধী শিশুকন্যা জান্নাতিকে সুস্থ করতে বিভিন্নভাবে চিকিৎসা অব্যাহত রেখেছেন। ইতোমধ্যে চিকিৎসা বাবদ ব্যয় করা হয়েছে প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকা। তবে কিছুতেই উন্নতি হচ্ছে না জান্নাতির। ইদানীং জান্নাতির শরীরে নানা রোগে বাসা বেঁধেছে। দিন দিন অবস্থার অবনতি ঘটছে জান্নাতির।

সম্প্রতি শিশুটিকে নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছে দরিদ্র পরিবারটি। চোখে যেন সরষে ফুল দেখতে শুরু করেছে। একদিকে পেটের ভাত যোগান, অন্যদিকে জান্নাতির চিকিৎসার খরচ যোগানে ব্যর্থ হয়ে পড়েছে হেলাল মিয়া ও পারভিন বেগম।

এদিকে হেলাল মিয়ার অভিযোগ, প্রতিবন্ধী কন্যা জান্নাতি খাতুনের জন্য একটি হুইল চেয়ার ও ভাতা সুবিধা পাওয়ার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের নিকট দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। আজও তার ভাগ্যে জোটেনি হুইল চেয়ার কিংবা প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড। সরকারের এ সুবিধা আদৌ পাবে কি পাবে না এটাই এখন হেলাল মিয়া ও পারভিন বেগমের প্রশ্ন। তবে সরকারের নানা সুবিধা পেতে আকুতি জানিয়েছেন তারা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর