দু‘জনই আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা হলেও সাধারণ মানুষের সাথে সুসম্পর্ক না থাকায় একটি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের পরাজয় হয়েছে এমন দাবী করেছেন পাবনা-৩ (চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর) সংসদীয় আসনের ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান প্রধান।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৩ সংসদীয় আসনের ভাঙ্গুড়া উপজেলা অংশে ৪১ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৪০ টি ভোট কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ মকবুল হোসেন বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন।
অথচ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলাম ও ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং পৌর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক বেলাল হোসেনের নিজ ভোট কেন্দ্র চরভাঙ্গুড়া গ্রামের চরভাঙ্গুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র। এই কেন্দ্রে ৮৫৬ ভোট পেয়েছে ধানের শীষের প্রার্থী কেএম আনোয়ারুল ইসলাম আর নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ মকবুল হোসেন পেয়েছেন ৭৮৯ ভোট।
আওয়ামী লীগের দুই প্রভাবশালী নেতার নিজ কেন্দ্রে ধানের শীষের কাছে নৌকা প্রতীকের পরাজয়ের কারণের দলের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ওই দুই নেতা হয় দলের পক্ষে কাজ করেননি নতুবা প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর কাছে মোটা অর্থে দলের পক্ষে নিস্কৃয়ভূমিকায় ছিলেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগের ওই দুই নেতা গত দশ বছরে সর্বাধিক সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছেন। কিন্তু তারা সংগঠনের জন্য কিছুই করেননি। তবে ক্ষমতার প্রভাবে অবৈধ অর্থ-সম্পদের পাহাড় গড়ে নিয়েছেন।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ লোকমান হোসেন বলেন, তাদের নিজ কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের পরাজয়ের মাধ্যমে তাদের অযোগ্যতা, অগ্রহণযোগ্যতা আর সাংগঠনিক অদক্ষতার প্রমাণ মিলেছে। তিনি বলেন, দু’জনের সম্পর্কে খতিয়ে দেখা গেছে, গেল দশ বছরের সংগঠনের পদপদবী বহন করে সংগঠনের জন্যে কোন কাজ না করে উল্টো নিজেদের স্বার্থ হাসিলে টাকার ধান্দায় মত্ত ছিলেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা দ্রুত ওই দুজনকে সংগঠন থেকে পদত্যাগের দাবী জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুল ইসলাম ও বেলাল হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।