একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে সর্বোচ্চ ভোটে বিজয়ীদের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক একান্ত সচিব মোকতাদির চৌধুরী বর্তমানে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তার আমলেই জেলা সদর ও বিজয়নগর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হয়েছে বলে দাবি জেলা আওয়ামী লীগের। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার পর থেকেই দাবি ওঠে তাকে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেওয়ার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্বাধীনতার পর থেকে আওয়ামী লীগের শাসনামলে সদর আসন থেকে নির্বাচিত কাউকেই মন্ত্রী করা হয়নি। গত ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসন থেকে নির্বাচিত হওয়ার পর সাবেক সেনা কর্মকর্তা এ.বি তাজুল ইসলামকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবং ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসন থেকে নির্বাচিত হওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর প্রয়াত ছায়েদুল হককে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা ও আখাউড়া) থেকে নির্বাচিত হয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পান আনিসুল হক। তবে ছাত্রলীগের দু:সময়ের নেতা ও ৭৫ পরবর্তী সংকটকালে জেল-নির্যাতনের শিকার মোকতাদির চৌধুরীকে দলে তার অবদান মূল্যায়ন করে এবার জেলা সদর থেকে তাকে মন্ত্রী বানানোর জন্য আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে জোর দাবি জানিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ জেলা সদরের সর্বস্তরের বাসিন্দারা।
এই ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার জন্য যেখানেই গিয়েছি সেখানেই মানুষ প্রত্যাশা জানিয়েছে মোকতাদির চৌধুরী বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে মন্ত্রিসভায় স্থান পাবেন। দলে তার অনেক অবদান রয়েছে। তিনি দলের সকলকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন।
আর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নারী উন্নয়ন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. তাসলিমা সুলতানা নিশাত বলেন, মোকতাদির চৌধুরীর আমলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় চার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, তাকে মন্ত্রী বানালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এ উন্নয়নের ধারা আরও বেগবান হবে।