বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন। দাওয়াত করা লোকজনের খাওয়া দাওয়া শেষ। কাজী সাহেব বসে পান চিবাচ্ছেন বর আসার অপেক্ষায়। বর রওনা হয়েছেন কাহালু থেকে। কিন্তু বর আসার আগেই গাড়ি নিয়ে বিয়ে বাড়িতে হাজির হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পুলিশ।
পুলিশের গাড়ি দেখে বিয়ের সব আয়োজন ফেলে কাজীসহ সবাই পালিয়ে যায়। আর এভাবেই বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পায় বগুড়া সদরের হাজরাদীঘি স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রী মনিকা খাতুন।
শুক্রবার (০৪ জানুয়ারি) বিকেলে বগুড়া সদরের নুনগোলা ইউনিয়নের কুকরুইল গ্রামে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুর রহমান।
বগুড়ার সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা জানান, কুকরুইল গ্রামের মাহাতাব উদ্দিন তার স্কুল পড়ুয়া মেয়ে মনিকা খাতুনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে পার্শ্ববর্তী কাহালু উপজেলায় বিয়ে ঠিক করেন। সেই অনুযায়ী শুক্রবার দুপুরে বাড়িতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দুপুরে প্রতিবেশীদের দাওয়াত করে খাওয়ানো হয় পোলাও মাংস।
এদিকে বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে বিকেল ৪ টার দিকে ইউএনও পুলিশ নিয়ে হাজির হন বিয়ে বাড়িতে। পুলিশের গাড়ি দেখে মাহাতাব উদ্দিন ও তার স্ত্রী মেয়েসহ পালিয়ে যায়। কাজী সাহেবও পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পালিয়ে যান কৌশলে। বর পক্ষ এই খবর পেয়ে পথিমধ্যে থেকে বর ফিরে যায় বাড়িতে। পরে ইউএনও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যকে ঘটনাস্থলে ডেকে আনেন।
তারা দায়িত্ব নেন মহাতাব উদ্দিন বাড়ি ফিরলে তার কাছ থেকে মেয়ে সাবালিকা না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না মর্মে মুচলেকা নিয়ে ইউএনও অফিসে জমা দিবেন।