সদ্য একাদশ সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে চাঁদপুর-৫ আসনে আনসার ভিডিপি সদস্যদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শনিবার (৫ জানুয়ারি) সকালে সদস্যেদের অভিযোগের ভিত্তিতে সবাইকে নির্ধারিত টাকা বুঝিয়ে দিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়ুয়া চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
তিনি বলেন, ‘ন্যায্য টাকা বুঝিয়ে দেয়ার জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। দায়ী ব্যাক্তিদের বিষয়ে আনসার ভিডিপির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ‘আনসার-ভিডিপি সদস্যদের কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ’ শিরোনামে বার্তা২৪-এ একটি সংবাদ প্রচারিত হয়। সংবাদটি নিয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলায় দায়িত্ব পালন করা আনসার ভিডিপি সদস্যদের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
পরে শুক্রবার (৪ জানুয়ারি) জেলা কমান্ড্যান্ট এএসএম আজিজ উদ্দিন ও উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা ইমন দাশ গুপ্ত হাজীগঞ্জ উপজেলার ৮৩ জন কমান্ডারের কাছে ৯৯৬ জন সদস্যের ভাতার টাকা বিতরণ করেন। ওই সময় আলীগঞ্জ ইউনিটের সোহেল নামের এক কমান্ডারকে ঘিরে সদস্যরা আন্দোলন করেন।
তদন্ত কমিটিতে আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা ইমন দাশ গুপ্ত কে প্রধান করে ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজাদ হোসেন মজুমদার, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফাসহ চারজনকে রাখা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন আনসার ভিডিপি সদস্য বলেন, নামের তালিকা করার সময় কমান্ডাররা ৫০০ টাকা করে নিয়েছে। এখন তাদের পাওনা মজুরি ৪ হাজার ৭৫৭ টাকার স্থলে কাউকে ১ হাজার, কাউকে দেড় হাজার, কাউকে ২ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডার সোহেলসহ আরও কয়েকজন বলেন, তাদের নিয়োগ চূড়ান্ত করার সময় চুক্তিভিত্তিক টাকা ধার্য্য করেছি। তাদের কাগজপত্র ঠিকঠাক করতে অনেক খরচ হয়েছে।
হাজীগঞ্জ উপজেলা আনসার কর্মকর্তা ইমন দাস গুপ্ত বলেন, ‘শুক্রবার আমরা কমান্ডার ও উপস্থিত থাকা সদস্যদের মাঝে প্রাপ্ত টাকা বিতরণ করেছি। এখানে ৮৩ জন কমান্ডার ও ৯৯৬ জন সদস্য নিয়োজিত ছিল। যারা এই অনিয়মের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’