হঠাৎ করেই ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীত জেঁকে বসেছে চুয়াডাঙ্গায়। অনেকে সন্ধ্যা নামলেই বাড়ি থেকে আর বাইরে বের হচ্ছে না। এরই মাঝে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলার শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
শনিবার (৫ জানুয়ারি) মধ্যরাত পর্যন্ত শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস। এ সময় তার সাথে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিতি ছিলেন।
গভীর রাতে গ্রামে প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে অসহায় এসব মানুষকে নিজের হাতে কম্বল দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন তিনি আলোচনায়। জেলা প্রশাসনের তথ্যানুসারে, এ বছর চুয়াডাঙ্গা জেলায় সরকারি কম্বল আসে ২০ হাজারের মতো।
ইতোমধ্যে জেলার চারটি উপজেলায় ১৫ হাজার কম্বল শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে রাতে জেলা প্রশাসক নিজেই তার গাড়ি বহরে কম্বল নিয়ে রেল ষ্টেশন, হাসপাতাল, রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা রিকশাচালকসহ গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে নিজ হাতে শীতার্তদের কম্বল পরিয়ে দেন।
অপ্রত্যাশিতভাবে জেলা প্রশাসককে কাছে পেয়ে অনেকে তাদের দাবি তুলে ধরেন। এ সময় জেলা প্রশাসক তাদের খোঁজখবর নেন।
কম্বল পাওয়া হানুর বাড়াদি গ্রামের কুলসুম বেগম জানান, তার চেয়ে অসহায় মানুষ গ্রামে আর কেউ নেই। তবে ডিসি স্যারের হাতে একটা কম্বল পেয়ে অনেক খুশি সে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস বার্তা ২৪কে বলেন, 'জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে পরিমাণ কম্বল শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে তা তুলনামূলক অনেক কম। সমাজের বিত্তবানরা যারা আছে তারা যদি একটু এগিয়ে আসে তাহলে অসহায়-গরিব মানুষেরা শীতের হাত থেকে রক্ষা পাবে।'