দুই দিনে অগ্নিকাণ্ডে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার রঘুনন্দন রেঞ্জের জগদিশপুর বিটে প্রায় ১৫ হেক্টর বনভূমির ৩৮ হাজার গাছ পুড়ে গেছে।
রোববার (৬ জানুয়ারি) বনরক্ষী ও স্থানীয়রা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। হবিগঞ্জ সহকারী বন সংরক্ষক আব্দুল আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শনিবার (৫ জানুয়ারি) সকালে বনে আগুন লাগার দৃশ্যটি বন বিভাগ ও পাশ্ববর্তী বস্তিবাসীদের নজরে আসে। দুর্গমস্থানে ফায়ার বিগ্রেড যেতে না পারায় বস্তিবাসী ও বনবিভাগের লোকজন অনেক চেষ্টা করে আগুন নেভাতে সক্ষম হন। তবে অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি।
জগদিশপুর বিটের ফরেস্টার শামসুজ্জামান বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে শত্রুতাবশত কিংবা রাখালদের ফেলে যাওয়া সিগারেটের আগুন থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে।’
তিনি জানান, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে এ গাছগুলো সৃজন করা হয়েছিল। প্রতি হেক্টরে এক হাজার ৫০০ গাছ সৃজন করা হয়। সে অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত গাছের সংখ্যা সাড়ে ৩৭ হাজার গাছ।
উপকারভোগী নিম্ন আয়ের ফরিদা বেগম বলেন, ‘সরকারের সহযোগিতায় বাগান পেয়ে আশা করেছিলাম লাভবান হব। কিন্তু আগুনে সব আশা পুড়ে গেছে।’
হবিগঞ্জ সহকারী বন সংরক্ষক আব্দুল আল মামুন জানান, সরকারের রাজস্ব অর্থায়নে ৯০ হেক্টর জায়গায় বিভিন্ন প্রজাতির দীর্ঘমেয়াদী বনায়ন সৃজন করা হয়। এগুলো সরকারি নিদের্শে ১২৫ জন উপকারভোগীদের মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হয়। এটি একটি সফল বাগান ছিল। আগুন নেভানোর জন্য পানির কোন ব্যবস্থা না থাকা এবং খরা মৌসুম হওয়ায় আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকে। ফলে আগুনের লেলিহান শিখা দ্রুত পুরো বনে ছড়িয়ে পড়ে। বনরক্ষী ও উপকারভোগীরা ২ দিন চেষ্টা চালিয়ে রোববার সকালে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। পাহাড়ের ভেতরে যান চলাচলের রাস্তা না থাকায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি বনে ঢুকতে পারেনি। ক্ষতিগ্রস্থ বনে নতুন করে গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হবে।