৪৮ বছর পর মন্ত্রিসভায় ঠাঁই, মেহেরপুরে আনন্দের বন্যা

মেহেরপুর, দেশের খবর

মাজেদুল হক মানিক, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | 2023-08-26 14:43:20

স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর মন্ত্রিত্ব পেলো মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত জেলা মেহেরপুর। জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিবেন মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেনকে। ঘোষণার পর পরই সাধারণ মানুষের মাঝে চলছে আনন্দের বন্যা। বিতরণ করা হচ্ছে মিষ্টি। সাধারণ মানুষের দাবি জেলার উন্নয়নে কাজ করবেন নবাগত মন্ত্রী।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য হিসেবে মেহেরপুর-১ আসনের দুই বারের নির্বাচিত এমপি ফরহাদ হোসেন দোদুলের নাম প্রকাশ হওয়ায় জেলাজুড়ে শুরু হয় আনন্দের বন্যা। বিশেষ করে ফেসবুকে শুধুই ফরহাদ হোসেনের ছবি দিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন প্রকাশের দৃশ্য চোখে পড়ার মত। জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ মিষ্টি বিতরণ করে উল্লাস প্রকাশ করেন।

জানা গেছে, স্বাধীনতার সূর্যোদয় ভূমি ঐতিহাসিক মুজিবনগরখ্যাত মেহেরপুর জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি মন্ত্রিপরিষদে ঠাঁই। অবশেষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথের জন্য ডাক পেয়েছেন ফরহাদ হোসেন দোদুল। তিনি প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ভগ্নিপতি। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মতই বিশ্বাসী বিধায় শেখ হাসিনা তাঁকে এই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিচ্ছেন বলেই মনে করছেন মেহেরপুরের মানুষ। আর তাইতো মেহেরপুর জেলার কাঙ্খিত উন্নয়ন হবে বলেও আশায় বুক বেঁধেছেন মেহেরপুরবাসী। বিশেষ করে স্থলবন্দর, রেলপথ, অর্থনৈতিক অঞ্চল, কৃষি ভিত্তিক শিল্প গড়ে তোলা ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মত জনগুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন হবে বলে আশাবাদী।

মেহেরপুরের কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা বলেন, স্বাধীনতার শপথ ভূমি হিসেবে মেহেরপুর জেলার মানুষের অনেক প্রত্যাশা। জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসলে মুজিবনগরের উন্নয়ন শুরু হয়। গত দুই মেয়াদেও জেলার অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বিশেষ করে মুজিবনগরে প্রথম সরকারের শপথের স্থানটি দেশ বিদেশে তুলে ধরার জন্য ব্যাপক কর্মযজ্ঞ করেছেন শেখ হাসিনা সরকার। এখান থেকে প্রথম হিসেবে কাউকে মন্ত্রী পরিষদে জায়গা দেয়ায় শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মুক্তিযোদ্ধারা।

এদিকে মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাহিদুজ্জামান খোকন রোববার রাতে ঢাকায় ফরহাদ হোসেনকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী প্রাপ্তির বিষয়ে সাহিদুজ্জামান খোকন বলেন, আমরা আনন্দিত ও গর্বিত। মেহেরপুর জেলার যে শূন্যতা ছিল তা পূরণ করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। মেহেরপুর জেলার কাঙ্খিত সকল উন্নয়ন আমরা করতে পারব বলে আশা করছি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর