ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈনউদ্দিন মঈনসহ সাতজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) বেলা দুইটার দিকে উপজেলার সোনারামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় গাড়িতে থাকা স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈনউদ্দিন (৫০), চরচারতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান এস এম কবির (৫২), মোটরসাইকেলে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা জব্বার মিয়া (৬), যুবলীগ নেতা হেফজু মিয়া (৩২), সরাইল উপজেলা পাকশিমুল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা হাফিজুর রহমান (৩২) ও কাপ্তান মিয়া (৩৫), প্রার্থীর শ্যালক কানন মিয়াসহ (৩০) অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন।
আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় মেডিল্যাব হসপিটালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে গুরুতর আহত হাফিজ ও কাপ্তানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মঈনউদ্দিন মঈনের দাবি, পরিকল্পিতভাবে এ দুর্ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন, প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈনউদ্দিন নিজের কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে মাইক্রোবাসে করে উপজেলার সোনারামপুর সেতু পার হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে আশুগঞ্জের উজানভাটি সেতুর দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা মালবাহী একটি ট্রাক হঠাৎ ইউ টার্ন নিয়ে মঈনউদ্দিনের গাড়িকে ধাক্কা দেয়। এ সময় ট্রাক উল্টে মঈনউদ্দিনের গাড়ি ও পেছনে থাকা তিনটি মোটর সাইকেলের উপর পড়ে যায়।
স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মঈনউদ্দিন মঈন বলেন, 'আগামীকাল বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের আশুগঞ্জ উপজেলার স্থগিত তিনটি কেন্দ্রের পুনঃভোট গ্রহণ হবে। এ আসনে প্রতিপক্ষ প্রার্থীরা আমাকে সমস্ত শক্তি দিয়ে আটকানোর ষড়যন্ত্র করছে। আমার জন্য সাধারণ মানুষের সমর্থন তারা কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। তাই তারা আমাকে হত্যার জন্য পরিকল্পিতভাবে দুর্ঘটনার ঘটনার ছক এঁকে এই ঘৃণিত কাজটি করেছে বলে ধারণা করছি।'
সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হোসেন সরকার জানান, দুর্ঘটনার খবর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ট্রাকটি আটক করা গেলেও চালক ও সহযোগী পালিয়ে গেছে। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।