ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব মো. মঈন উদ্দিন মঈন আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক হাজী সফিউল্লাহ মিয়াসহ ৫ নেতার বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন।
বুধবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণার পর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হাইওয়ে রেস্তোরা উজান ভাটি হোটেলের কনফারেন্স রুমে তাৎক্ষনিক এক সংবাদ সম্মেলনে মঈনউদ্দিন মঈন এই দাবি করেন। এ সময় তিনি ৭ দিনের মধ্যে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম তালুকদারের অপসারণের দাবিও জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে মঈনউদ্দিন মঈন বলেন, 'আমি কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তবুও আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক হাজি সফিউল্লাহ মিয়া, যুগ্ম আহবায়ক হানিফ মুন্সি, জেলা আওয়ামী লীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হান্নান রতন, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা কামরুজ্জামান আনসারি ও উপজেলা আওয়ামী লীগ এর সদস্য শাহজাহান আলম সাজু বিভিন্ন সময়ে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা ও বিএনপির প্রার্থী আব্দুস সাত্তারকে জয়ী করার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছেন।'
তিনি আরও বলেন, 'পাশাপাশি যখন আমি ভোটের ব্যবধানের কাছাকাছি চলে আসলাম তখনই বিএনপির প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য তার প্রকাশ্যে দলীয় নেতকাকর্মীকে হুমকি ধমকি দেয়া শুরু করেছেন। যদিও আমাকে নির্বাচনের মাঠে তারাই প্রতিশ্রুতি দিয়ে নামিয়েছেন। তাই তাদের প্রত্যেককে দল থেকে বহিষ্কার করার দাবি জানাই।'
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বদরুল আলম তালুকদারের কথা উল্লেখ করে মঈন বলেন, 'আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বদরুল আলম তালুকদার বিএনপির বিভিন্ন মিছিল মিটিংএ সহযোগিতা করলেও আমাকে ও আমার নেতাকর্মীদের উঠান বৈঠকেও বাধা দিয়েছেন। পাশাপাশি বিএনপি ও জামাতের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আমাকে নির্বাচনে পরাজিত করার জন্য আমার নেতাকর্মীকে হুমকিও দিয়েছেন। তাই আগামী সাত দিনের মধ্যে ওসির অপসারণ না করা হলে অনশনসহ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অবরোধ করা হবে।'
সবশেষে তিনি বিজয়ী প্রার্থী উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়াকে অভিনন্দন জানিয়ে যেকোনো কাজে নতুন সাংসদ সাত্তারকে সব ধরনের সহযোগিতা করার কথাও বলেন তিনি।
নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, 'এই নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ হয় সুষ্ঠুভাবে ভোট হলেও আওয়ামী লীগ জয়ী হতে পারে। কারণ এত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থাকার পরেও আজকের সবকটি কেন্দ্রে আমিই জয়ী হয়েছি। এটি সারাদেশে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।'
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগ এর যুগ্ম আহবায়ক আবু নাছের আহমেদ, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজি আমির হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান হাজি আনিছুর রহমান, তালশহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সামা, আড়াইসিধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সেলিম মিয়া, সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দিন, চরচারতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জিয়াউদ্দিন খন্দকার, দূর্গাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউল করিম খান সাজু, শরীফপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফ উদ্দিন চৌধুরী, লালপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোর্শেদ মাস্টার, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোবারক আলী চৌধুরীসহ উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।