আওয়ামী লীগের বিগত ১০ বছরে শিক্ষা ক্ষেত্রে পাবনায় ব্যাপক উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। অবকাঠামো নির্মাণ ও শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে বিরাট বাজেটের যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার।
পাবনার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর জেলার শীর্ষ শিক্ষা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি অ্যাডওয়ার্ড কলেজ, পাবনা মেডিকেল কলেজসহ সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা মিলিয়ে ৩২৬টি প্রতিষ্ঠানে ৫০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নানামুখি উন্নয়নমূলক কাজ চালাচ্ছে।
আওয়ামী লীগ ২০০৮ সাল থেকে টানা ২০১৮ সাল পর্যন্ত শিক্ষাক্ষেত্রে নানামুখী উন্নয়নের ছোঁয়ায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ও দৃশ্যমান ভবন দিয়ে পুরো জেলায় সৌন্দর্য বর্ধন করেছে। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ ১৩৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২৬টি সরকারি, বেসরকারি কলেজের ৪ তলা নান্দনিক একাডেমিক ভবন নির্মাণ, ২৬ টি মাদরাসার নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
এ কাজগুলোর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৭০ কোটি টাকা। এদিকে নির্মাণাধীন রয়েছে ১০০ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবন, ২৫টি কলেজের চারতলা একাডেমিক ভবন ও ৪০টি মাদরাসা ভবন। নির্মাধাণীন এ ভবনগুলোর ব্যয় মূল্য রয়েছে ৩৩৫ কোটি টাকা। এছাড়াও ৭৫টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য তিন কোটি টাকা ব্যয়ে আসবাবপত্র সরবরাহ করা হয়েছে।
আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর ডিগ্রী (অনার্স) কলেজের অধ্যক্ষ মো. সাইদুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন, যা স্বাধীনতার পরবর্তী সরকারগুলো তেমন নজর দেননি।’
মালিগাছা-মজিদপুর দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা তেলাওয়াত হোসাইন বলেন, ‘স্বাধীনতার পরবর্তীতে মাদরাসা শিক্ষায় অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতায় আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্মরণ করতে হবে। মাদরাসা শিক্ষা যুগোপযোগী ও আধুনিকায়ন করা, মাদরাসায় কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের সকল সুযোগ-সুবিধা এমনকি অবকাঠামোগত উন্নয়নে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
’দেবোত্তর কবি বন্দে আলী মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাহাতাব উদ্দিন বলেন, ‘দেশবিখ্যাত পাবনার বরেণ্য কবি, ছোটদের কবি, গল্পের দাদু কবি বন্দে আলী মিয়া। তার নামানুসারেই এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামকরণ। অবকাঠামোগত উন্নয়ন থেকে দীর্ঘদিন এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবহেলিত ছিল।
টিনের ঘরে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হতো। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি কয়েক দফায় নতুন ভবন পেয়েছে। উপজেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হিসেবে যথেষ্ঠ সুনাম রয়েছে। নতুন নতুন ভবন ও শিক্ষা ক্ষেত্রে আধুনিকায়নের সুযোগ পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা কার্যক্রমসহ নানা কর্মকান্ড হয়েছে ত্বরান্বিত।
’শিক্ষার্থীরাও তাদের অনুভূতি জানিয়ে বলেন, ‘শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ, অভিজ্ঞ শিক্ষক, যুগোপযোগী পাঠদানসহ সার্বিক অগ্রগতিতে তারা খুশি। ছেলেরা খেলার মাঠ, ক্রীড়া সরঞ্জাম আর মেয়েরা পৃথক ক্লাস রুম, কমন রুম, সুসজ্জিত লাইব্রেরি, স্বাস্থ্য শিক্ষা আর পৃথক স্যানিটেশন ব্যবস্থা পাওয়ায় তারা এখন স্কুলমুখী।’
পাবনা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আ.ট.ম মারুফ আল ফারুক বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনানুসারেই প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও প্রতিবন্ধিদের উঠা-নামার জন্য র্যাম তৈরি করা হয়েছে।’
‘নির্মাণাধীন প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন সম্পন্ন হলে এ জেলার স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার অন্তত অর্ধলক্ষাধিক শিক্ষার্থী সুন্দর পরিবেশে আধুনিক বিজ্ঞান ও আইসিটি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার দক্ষ কারিগর হয়ে যোগ্য জনশক্তি রূপে আত্মনিয়োগ করতে সক্ষম হবে।’