চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজলোর ৩নং সুবদিপুর র্পূব ইউনিয়নে উভারামপুর পাটোয়ারী বাড়িতে বার্ষিক ওরস ও দোয়া মাহফিলের তবারক খেয়ে প্রায় দেড় হাজার নারী-পুরুষ ও শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
শুক্রবার ও শনিবার জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে তবারক খাওয়া রোগীরা চিকিৎসা নিয়েছেন।
জানা গেছে, গত ১০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার উভারামপুর পাটোয়ারী বাড়ির বার্ষিক ওরস ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন সকালে ১১ জানুয়ারি শুক্রবার ওরস মাহফিলে তবারক (তেহারি: ডাল, গরুর মাংস, মসলা দিয়ে তৈরি) দেওয়া হয়। তবারক খাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই অনেকের বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়।
অসুস্থদের বেশীরভাগ নারী, পুরুষ ও শিশু প্রাথমিকভাবে হাসপাতালে ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকায় চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন।
জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলার আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রে (মতলব কলেরা হাসপাতাল) প্রায় ছয়শ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গত দুই দিনে রোগী বহনকারী সিএনজি চালক আবুল কাশেম জানান, মতলব হাসপাতালে প্রায় ত্রিশ জন রোগী নিয়েছি।
সিএনজি চালক মোর্রশেদ, সোহাগ, বকুল ও বিল্লাল জানান, আমরা এখন শুধু তবারক খাওয়া রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া আসা করছি।
স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আবু সাদেক কাশেম বলেন, দুই দিনে প্রায় তিনশতাধিক রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। অসুস্থ হওয়া বেশিরভাগ রোগী উভারামপুর, বাসারা, নুরপুর, ইসলামপুর, কাইতাড়া ও হাজীগঞ্জ উপজেলার শমশেপুর, প্রতাপপুর, সাদ্রা, রামচন্দ্রপুর গ্রামের।
মতলব কলেরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোর্শেদ জানায়, সে তার স্ত্রী ও মেয়ে নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সেখানে কয়েকশ রোগী চিকিৎসা নিয়ে গেছেন। আবার কয়েকশ রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মাহফিল কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম পাটওয়ারী বলেন, তেহারি রান্নায় ব্যবহৃত পানি ও উপকরণ পরীক্ষা- নিরীক্ষার জন্য চাঁদপুর পাঠানো হয়েছে।