কুষ্টিয়ায় বাড়ছে চালের দাম

কুষ্টিয়া, দেশের খবর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, কুষ্টিয়া, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 04:20:34

কুষ্টিয়ায় বেড়েই চলেছে চালের দাম। ধানের ভরা মৌসুমে দেশের বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগরে ধীরে ধীরে অস্থির হয়ে উঠছে চালের বাজার। গত এক সপ্তাহে বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম।

কুষ্টিয়ার বাজারে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৫২ টাকা কেজি দরে। অন্যান্য চালের দাম কেজি প্রতি ২ থেকে ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে রোববার (১৩ জানুয়ারি) কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় জেলা চালকল মালিকদের চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার আহ্বান জানিয়েছে জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন।

মিল মালিকরা জানান, জেলার ধানের বাজারে দাম বাড়ার কারণে খুচরা পর্যায়ে বেড়েছে চালের দাম। চাল কিনতে এসে বিপাকে পড়েছেন প্রান্তিক ক্রেতারা। তবে জেলার হাটগুলোতে ধানের আমদানি বেশি হওয়ায় কমতে শুরু করেছে ধানের দাম।

কয়েকদিনের মধ্যেই চালের দাম কমতে শুরু করবে বলে জানান কুষ্টিয়ার চাল মিল মালিকরা।

শহরের আমলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা মুন্সী হাবিবুর রহমান বার্তা২৪কে বলেন, ‘আমার পরিবারে সপ্তাহে ১৫ কেজি চাল লাগে। চালের মূল্য বাড়ায় সপ্তাহে ২০০ টাকা বাড়তি ব্যয় হচ্ছে। কিন্তু আয় না বাড়ায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’

মিরপুর উপজেলার আমকাঠালিয়া গ্রামের রিকশাচালক আব্দুল মোল্লা ও সোবহান আলীসহ অনেকেই জানান, চালের বাড়তি দামের কারণে সংসারের খরচ বেড়ে গেছে। চালের দাম না বাড়নোর আহ্বান জানান তারা।

শহরের মিউনিসিপ্যালিটি মার্কেটের শাপলা এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধীকারী জানান, কিছুদিন আগেও ৫০ কেজি মোটা চালের বস্তা ১ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখন সেই একই চাল ২ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি করা লাগছে।

তবে বিকেলের দিকে তার দোকানে গিয়ে দেখা গেল বাজারের মূল্যতালিকা ঠিক করায় ব্যস্ত দোকানের এক কর্মচারী। দোকান মালিক আশরাফুল ইসলাম বার্তা২৪কে বলেন, ‘দুপুরের পর থেকে কেজি প্রতি একটাকা করে কম দামে চাল বিক্রি শুরু করেছি।’

নিউ স্বপন স্টোরের মালিক সুজন বার্তা২৪কে বলেন, ‘সকালে মিনিকেট সুপার চাল ৫২ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছি। সে চাল দুপুরের পর প্রতি কেজি ৫০-৫১ টাকায় বিক্রি করছি। এছাড়া আঠাশ চাউল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি। যেটি শনিবার (১২ জানুয়ারি) ৪৪টাকা কেজি বিক্রি করেছি।’

জেলা বাজার কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বার্তা২৪কে বলেন, ‘নির্বাচনের পর থেকে কয়েক দফায় কেজি প্রতি ৩-৫ টাকা পর্যন্ত চালের দাম বেড়েছিল। কিন্তু জেলা প্রশাসনের কঠোর নির্দেশে জেলা চালকল মালিক সমিতির সঙ্গে দফায় দফায় মিটিং করে কেজি প্রতি ১-২ টাকা কমানো সম্ভব হয়েছে। এজন্য আমরা প্রতিনিয়ত বাজার তদারকি করছি।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর