অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণের তিনদিন পর রোববার (১৩ জানুয়ারি) আদালতে তার জবানবন্দি ও হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে ওই ছাত্রীটিকে স্থানীয় এক বখাটে ধর্ষণ করেন। ঘটনার দুইদিন পর গত শনিবার রাতে ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে বখাটে উসমান আহমেদ সাগরের (১৮) বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় মামলা করলে পুলিশ ছাত্রীটিকে শনিবার ২২ ধারায় জবানবন্দি ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠায়। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলায় এ ঘটনাটি ঘটে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার বরতলী বানিয়াহারী ইউনিয়নের কলুংকা গ্রামের বাসিন্দা ও পাশের ধর্মপাশা জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া ওই ছাত্রীটিকে গত বুধবার দুপুরে তারই প্রতিবেশী নূর মিয়ার বখাটে ছেলে উসমান আহমেদ সাগর মেয়েটির মা ঘরে না থাকার সুযোগে সে মেয়েটি ডেকে নিয়ে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ির সামনের গোয়াল ঘরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
পরে মেয়েটির চিৎকার শুনে মেয়ের মাসহ আশপাশের লোকজন ছুটে গেলে ধর্ষক সাগর দৌড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
মেয়েটির পরিবারের লোকজন বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানালে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে শনিবার রাতে মেয়েটির মা বাদি হয়ে মোহনগঞ্জ থানায় গিয়ে ধর্ষক সাগরকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলাটি দায়ের করেন।
এ বিষয়ে ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীর মা জানান, পাষণ্ড সাগর আমার পরিবারের মান-সম্মানসহ আমার মেয়ের জীবনটাকে নষ্ট করে দিয়েছে। আমি এর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহনগঞ্জ থানার এসআই জসিম উদ্দিন বলেন, মামলার পরপরই রোববার সকালে নেত্রকোনার বিজ্ঞ আদালতে ২২ ধারা মতে মেয়ের জবানবন্দী রেকর্ড করাসহ তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে এবং ধর্ষক সাগরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. শওকত আলী বলেন, ঘটনার খবর পাওয়ার পরই আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে এবং ধর্ষককে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।