সুন্দরবনের উপকূলীয় অঞ্চল খুলনার দাকোপ উপজেলার শিবসা ও সুতারখালী নদীর তীর। এ তীরে বসবাসকারী ভাসমান জনপদের নাম কালাবগীর ঝুলন্তপাড়া। জীবন জোয়ারে ভাসমান খুলনার এ উপকূলবাসী। উপকূলীয় এ অঞ্চলটিতে ঘূর্ণিঝড়, নদী ভাঙ্গন, জলোচ্ছ্বাস নানামুখী প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকে সাধারণ মানুষ। কালাবগীর ঝুলন্তপাড়ায় প্রায় ২০০টি ঝুলন্ত ঘরে বাস করে ৫ শতাধিক দরিদ্র মানুষ। দারিদ্রতার টানাপোড়নে এ অঞ্চলের শিশুরা শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় প্রতিনিয়ত। অস্বচ্ছল পরিবারের এসব শিশুরাও স্বপ্ন দেখে একদিন তারা হবে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, উকিল বা শিক্ষক।
আর তাই এ অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিতদের স্বপ্ন পূরণে ‘শিশুদের জন্য আমরা' সংগঠনের পক্ষ থেকে চালু হয়েছে ‘আমাদের স্কুল’ এর শিক্ষা কার্যক্রম। রোববার (১৩ জানুয়ারি) বেলা শেষে ৮০ জন সুবিধা বঞ্চিত শিশুকে নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ থেকেই সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্য ‘আমাদের স্কুল’ উদ্বোধন করা হয়েছে। শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে সংগঠনটি ঝরে পড়া শিশুদের বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ প্রদান ও পাঠ দানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আলোকিত দেশ গঠনে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে একঝাঁক উদ্যমী তরুণ এ শিক্ষা কার্যক্রমের দায়িত্ব নিয়েছে।
শিশুদের জন্য আমরা সংগঠনের সভাপতি বেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে শিশুদের এ স্কুলটির উদ্বোধন করেন দাকোপ উপজেলার ৫ নং সুতারখালি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাছুম আলী ফকির। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শেখ ফারুক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আজগর হোসেন সাব্বির, আমিরুজ্জামান সোহাগ, শরিফুল ইসলাম, অনিমেষ সরদার, রাসেল ফকির, উমা মন্ডল প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সংগঠনটি মানব সেবার লক্ষ্যে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, রোজার সময়ে অসহায় বৃদ্ধদের ইফতার সামগ্রী, শিশুদের জন্য ঈদের জামা-কাপড়, পূজায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে ধুতি-শাড়ি বিতরণ করে থাকে।