কেউ বীজতলা তৈরি করছেন, কেউ বা বীজতলা থেকে চারা উত্তোলন করছেন, আবার কেউ জমি তৈরি করে ধানের চারা রোপণ করছেন। কাক ডাকা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বোরো আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। দম ফেলবার ফুসরত নেই তাদের। বলছিলাম নড়াইলে বোরো চাষিদের কথা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার তিনটি উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৪২ হাজার ৬৯৫ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ৮০ হেক্টর জমি।
সদর উপজেলার নাওরা গ্রামের আবিদুর রহমান বলেন, ‘চলতি মৌসুমে এক একর জমিতে বোরো আবাদের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। জমি প্রস্তুতসহ অন্যান্য কাজ চলছে। দ্রুত চারা রোপণ করা হবে।’
লোহাগড়া উপজেলার রাজুপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম বলেন, ‘ইতোমধ্যে বোরো চারা রোপণের কাজ শুরু হয়েছে। এ সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে।’
কালিয়া উপজেলা পেড়লি গ্রামের বাদশা মিয়া বলেন, ‘বোরো আবাদে আমাদের খরচ একটু বেশি হয়। কারণ এখানে জমিতে পানি, সার, চারা সবই কিনে আনতে হয়। তবুও নিজেদের খাওয়ার জন্য হলেও ধান চাষ করা লাগে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক চিন্ময় রায় বলেন, ‘জেলায় এখন পর্যন্তু আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ৮০ হেক্টর জমি। চারা রোপণ অব্যহত আছে। আশা করছি বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।’