‘বাড়ি থেকে বের করে রাস্তায় রেখে যাওয়া সন্তানের কাছে জীবনের বাকি সময় আর কাটাতে চাই না। আমার জীবন নিরাপদ নয় নিজের ছেলের কাছে।’ এমন ধারণা জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের ৮৫ বছরের প্রবীণ মুনতাজ আলীর। পরিবার আর ছেলের জন্য জীবনের সব পরিশ্রম তার কাছে বৃথা।
রাস্তায় রেখে যাওয়া এই অসহায় বৃদ্ধের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, রোববার (১৩ জানুয়ারি) তার ছেলে ও ছেলের বউ মিলে তাকে বাড়ি থেকে বের করে রাস্তায় রেখে যায়। পরে প্রতিবেশীদের দেন-দরবার ও সহযোগিতায় ছেলের কাছে ফিরে গেলেও তিনি নিজেকে নিরাপদ মনে করছেন না।
তার প্রতিবেশীরা বার্তা২৪.কমকে জানিয়েছেন, বৃদ্ধ মুনতাজ আলীকে রোববার বিকেলে রাস্তার চায়ের দোকানে রেখে যায় তার আপন ছেলে।
এ সময় মুনতাজ কান্নাকাটি করে প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানান। প্রতিবেশীরা ঘটনাটি সীমান্ত ইউনিয়ন প্রবীণ কমিটির সদস্যদের জানালে তারা বৃদ্ধ মুনতাজের পাশে দাঁড়ায়। তারা পাষণ্ড ছেলের শাস্তি দাবি করে। অবস্থা বেগতিক দেখে বাবাকে ঘরে ফিরিয়ে নেয় কুলাঙ্গার ছেলে।
কিন্তু ঘরে ফিরিয়ে নিলেও এমন নির্দয় ছেলের কাছে আর থাকতে চায় না মুনতাজ মিয়া। তিনি বলছেন, জীবনের বাকিটা সময় কোনো বৃদ্ধাশ্রমে কাটিয়ে দিলে হয়তো ভালো থাকবো, অনন্ত রাস্তায় পরে মারা যেতে হবে না।
অসহায় বৃদ্ধ বাবাকে এভাবে বাড়ি থেকে রাস্তায় বের করে দেওয়ার ঘটনায় প্রতিবেশীরা ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তারা বলছেন, এখনকার সভ্য সমাজেও কি এমনটা হয়!
প্রতিবেশীরা ঘটনার শুধু মীমাংসা নয় ওই ছেলের যথাযথ শাস্তির দাবি করেছেন। তাদের মতে, এ ঘটনার বিচার না হলে, ভবিষ্যতে অনেক ছেলে তার বাবার সাথে এমন আচরণ করবে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।