নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পেড়লীতে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সাংবাদিক মো.মাসুমার রহমান (৪৫) ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা করেছে প্রতিপক্ষরা। এতে সাংবাদিকসহ চারজন আহত হয়েছেন। গত শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার পেড়লী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলার ঘটনায় সাংবাদিক মাসুমা রহমানের ভাতিজা মো.আসমাউল হক বাদী হয়ে সোমবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে কালিয়া থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে তিন আসামিকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে আসামিদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
অন্য আহতরা হলেন মাসুমের ভাই মো. লাহুয়ার রহমান মোল্যা, ভাতিজা আসমাউল হক ও সিফাউল ইসলাম।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সাংবাদিক মাসুমের ভাই লাহুয়ার রহমানের সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে উপজেলার শীতলবাটী গ্রামের মোস্তফা মোল্যার সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। পেড়লী মৌজার শীতলবাটী গ্রামস্থ পেড়লী বাজারের সন্নিকটে এসএ ৩২৪০ নং দাগের জমি লাহুয়ার রহমানের স্বত্ব দখলীয়। ওই জমিতে একটি সেমিপাকা দুই সাটার বিশিষ্ট দোকানঘর নির্মাণ করে লাহুর দুই ছেলে কম্পিউটারের যাবতীয় কাজ সংক্রান্ত ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।
ওই দোকানঘরের পূর্বপাশে সাংবাদিক মাসুমের কয়েকজন আত্মীয়দের বসতবাড়িতে প্রবেশের জন্য যাতায়াতের পথ রয়েছে। কিন্তু পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঘটনার দিন আসামি মোস্তফা মোল্যা (৫৫), রিপন মোল্যা (৩২) ও সাদ্দাম মোল্যাসহ (২৩) অজ্ঞাতনামা ৫/৬জন লোক ইট, বালি, সিমেন্ট ইত্যাদি দিয়ে বেআইনিভাবে জোরপূর্বক সাংবাদিকের ভাইয়ের নির্মিত দোকানঘরের পূর্বপাশের সাটার ও বাড়িতে প্রবেশের পথ বন্ধ করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করতে যায়।
সাংবাদিক ও তার পরিবারের সদস্যরা এ অবৈধ কাজ বন্ধ করতে অনুরোধ করেন। এতে আসামিগণ ক্ষিপ্ত হয়ে পরিকল্পিতভাবে সাংবাদিকের পরিবারের ওপর হামলা চালান। একপর্যায়ে সাংবাদিক মাসুমের ভাইকে চাইনিজ কুড়াল ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করেন হামলাকারীরা। এ সময় তাকে বাঁচাতে সাংবাদিক মাসুম এগিয়ে গেলে তার ওপরও হামলা চালান আসামিরা। এ সময় সাংবাদিকের দুই ভাতিজাও জখম হন। পরে স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তিন আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।