প্রতিভাবান শিল্পী লাল্টু হোসেন

কুষ্টিয়া, দেশের খবর

এস এম জামাল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, কুষ্টিয়া, বার্তা২৪.কম | 2023-08-22 16:14:34

একজন প্রতিভাবান শিল্পী হলেন লাল্টু হোসেন। তিনি তার দরাজ কণ্ঠে গেয়ে যান মাটি ও মানুষের গান। আগে কখনো স্টেজ শো করা হয়নি তার। হাতে ধরা হয়নি মাইক্রোফোনও। তবে অসাধারণ গানের গলা লাল্টুর।

বলছিলাম কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মনোহরদীয়া এলাকার মৃত আহসান আলীর ছেলে লাল্টু হোসেনের কথা।

বছর দুয়েক আগে কিছু বন্ধুর পরামর্শে মাছরাঙা টেলিভিশনের লোকসংগীত বিষয়ক রিয়েলিটি শো ম্যাজিক বাউলিয়ানা’র খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া অডিশনে নাম লেখান লাল্টু। চার হাজার প্রতিযোগীকে ফেলে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকায় গালা রাউন্ড পর্যন্ত যেতে সক্ষম হন কেবল তার গানের কারণে।

এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। ম্যাজিক বাউলিয়ানা’র মাধ্যমে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে সারা দেশের হাজার হাজার প্রতিযোগিকে পেছনে ফেলে জায়গা করে নেন সেরাদের তালিকায়। ওইবার চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় হয়েছেন দ্বিতীয় রানার আপ। প্রত্যন্ত গ্রামের নিভৃতচারী এই শিল্পী উঠে এসেছেন তার নিজের চেষ্টায়।

কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কিংবা প্রশিক্ষণ ছাড়া একেবারেই প্রাকৃতিক কিছু প্রতিভা রয়েছে তার মধ্যে। অথচ সুযোগ পেলে নিজের শিল্পীসত্তা বিকশিত করতে পারেন তিনিও। এগিয়ে যেতে পারেন অনেক দূর।

কিন্তু মাঠে কাজ করা এই দরাজ কণ্ঠের শিল্পী লাল্টু হোসেন এখনো রয়েছেন অনেকটা পিছিয়ে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে লাল্টু বলেন, ‘আগে তো মাঠে কাজ করতাম। যা পেতাম তাই দিয়েই সংসার চালাতাম। কিন্তু শুধুমাত্র একটু নাম ডাক হওয়ায় এখন আমাকে কেউ কাজে ডাকে না। কিন্তু অভাবে তো আর সংসার চলে না। কিন্তু অভাব দূর করার জন্য আমাকে তো কিছু করতেই হবে।’

এদিকে ভালো কোনো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই তার। প্রোগ্রামও নেই। বছরে কয়েকবার ডাক পড়ে কেবল মাছরাঙ্গা টেলিভিশনে। সেখান থেকে নামেমাত্র কিছু টাকা আসে। এভাবেই চলছে তার জীবন।

লাল্টু হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি ওস্তাদ শফি মণ্ডলকে বেশি ফলো করি। তার গানই বেশি গাই। এছাড়াও সাঁইজির গান গাইতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। গান নিয়েই আমি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। গান নিয়েই থাকতে চাই।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর