বিরাট বাজেটে মধুমতি নদীর উপর সেতু কালনা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের প্রাণের সেতুটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নির্মাণের ফলে গোপালগঞ্জ, নড়াইল, খুলনা ও যশোর অঞ্চলের যোগাযোগের অভূতপূর্ব উন্নতি হবে। পূর্ণ হবে কোটি মানুষের দীর্ঘ বছরের স্বপ্ন।
জাপানের উন্নয়ন সংস্থা ‘জাইকা’র সহযোগিতায় ও দেশীয় অর্থে ৯৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি কোম্পানি যৌথ ভাবে এ সেতুর নির্মাণ শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি এই সেতুটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন আর ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। ২০২১ সালের মধ্যে সেতুটি নির্মিত হবে বলে বলে জানা গেছে।
কালনা সেতু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ও জনজীবনে বিরাট প্রভাব বিস্তার করবে। অর্থনৈতিক জীবনে আনবে তীব্র গতিশীলতা ও উন্নয়ন। গোপালগঞ্জ, নড়াইল, খুলনা ও যশোর অঞ্চলের মানুষকে অনেক কাছাকাছি ও নিবিড় বন্ধনে নিয়ে আসবে এ সেতু। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে এ অঞ্চলের দূরত্ব কমিয়ে আনবে। মানুষের দুর্ভোগ, সময় ও যন্ত্রণা লাঘব করবে এই গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পরিবহণ মালিকরা বলছেন, ‘কালনা সেতুর মাধ্যমে বেনাপোল-ঢাকা মহাসড়কটি দিয়ে বেনাপোল স্থল বন্দরের সাথে ঢাকার দূরত্বও কমে আসবে। বেনাপোল স্থল বন্দর থেকে আমদানি-রফতানি এবং পণ্য সরবরাহ সহজ হবে। যাত্রী ও মালামাল সরাসরি পদ্মাসেতু হয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অল্প সময়ে যাতায়াত করাও সম্ভব হবে।’
কালনা সেতু নির্মাণকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনেম কনস্ট্রাকশনের হাইওয়ে প্রকৌশলী মোহাম্মদ জোনায়েদ রাহবার জানান, ‘নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হবে। সেতুটি নির্মিত হলে দেশের এই বিরাট অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মান এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে। বেনাপোল-ঢাকা মহাসড়ক পথে অল্প খরচে ও দ্রুত পণ্য পরিবহণের মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্য ও আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এই সেতু।’