পটুয়াখালী সদর উপজেলার অন্তর্গত ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ পাঙ্গাশিয়ার একটি গ্রামের নাম বানিয়াকাঠী। এই গ্রামের বাসিন্দারা ভোটের সময় ভোট দেয় ইটবাড়িয়া ইউনিয়নে। কিন্তু তাদের খাজনা পরিশোধ করতে হয় দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে। এ নিয়ে এলাকায় মানুষের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে অসন্তোষ বিরাজ করলেও সমস্যার সমাধান মেলেনি।
সরেজমিন পরিদর্শন করে জানা যায়, বানিয়াকাঠী গ্রামটি দুমকি উপজেলাধীন পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ৫নং জে.এল এর মধ্যে দক্ষিণ পাঙ্গাশিয়া মৌজায় অবস্থিত। এই এলাকায় বাসিন্দারা ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের ভোটার। কিন্তু জমির খাজনা, দলিল রেজিস্ট্রিসহ যাবতীয় কাজ করতে হয় দুমকি উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে। জমির দলিল রেজিস্ট্রির ৩% ও খাজনার টাকা দুমকি উপজেলাধীন পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন পরিষদে ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসে জমা হয়।
তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো ওই গ্রামের বাসিন্দারা ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের পুকুরজনা-১ এর এলাকার ভোটার। এর ফলে বিভিন্ন সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার বাসিন্দারা। ওই এলাকায় নেই কোনো বিদ্যুৎ, পাকা রাস্তা, শিক্ষার প্রসার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার শিশুরাও। এ ধরনের বৈষম্য থেকে মুক্তি চাচ্ছে বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা মাওলানা হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমরা এখন অবহেলার পাত্র। বঞ্চিত হচ্ছি নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা থেকে। আমরা খাই-দাই ইটবাড়িয়ায়, খাজনা দেই পাঙ্গাশিয়ায়। এ ধরনের বৈষম্য থেকে আমরা মুক্তি চাই।’
এ ব্যাপারে ইটবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল জোমাদ্দার জানান, ওই গ্রামের বাসিন্দাদের ভোগান্তির বিষয়টি নিয়ে ইতোপূর্বে কয়েকবার বলা হলেও প্রশাসনিক জটিলতায় কোনো সমাধান হয়নি। ওই এলাকার বাসিন্দাদের হয় যাবতীয় কাজ ইটবাড়িয়ায় করার ব্যবস্থা করা হোক অথবা তাদের ভোটাধিকার কেটে দিয়ে পাঙ্গাশিয়ায় দেওয়া হোক।
এ বিষয়ে পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মামুনুর রশিদ বলেন, ‘আমরা খোঁজ-খবর নিয়ে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেব।’