পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে মাদরাসা ছাত্রী সীমা আক্তারকে (১৩) গণধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে ইউপি সদস্য নবিনূর রহমানকে গ্রেফতার করে আদালতের নির্দেশে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে রাঙ্গাবালী উপজেলার পুলঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রোববার (২০ জানুয়ারি) তাকে আদালতের নির্দেশে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত সীমা আক্তার উপজেলার হামেদিয়া মহিলা দাখিল মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
নিহতের মা তাছলিমা বেগম দাবি করেন, তিনি একটি ধর্ষণ মামলার সাক্ষী থাকায় আসামিরা তাকে দীর্ঘদিন যাবৎ হুমকি দিয়ে আসছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর উপজেলার সদর ইউনিয়নের সামুদাবাদ গ্রামে তার মেয়েকে আসামিরা পরিকল্পিত ভাবে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তবে থানা পুলিশ এ ঘটনায় মামলা না নেয়ায় তিনি আদালতে অভিযোগ করেন। আদালতের নির্দেশে পুলিশ শনিবার রাতে মামলাটি গ্রহণ করে। তাছলিমা বেগম দাবি করেন নিহতের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে হত্যার প্রমাণ মিলেছে।
রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ মিলন কৃষ্ণ মিত্র জানান, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে আদালতে মামলা দায়ের করলে রাঙ্গাবালী থানা পুলিশ নবিনূর রহমানকে গ্রেফতার করে। আসামি নবিনূর রহমান রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। ওই ধর্ষণের ঘটনায় মোট ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে। আসামি নবিনূরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।