বাংলাদেশে প্রতি বছর ১১ হাজার আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। এই হিসাবে বছরে প্রতি জেলায় গড়ে ১৭২ জন তাদের জীবন স্বেচ্ছায় বিসর্জন দিচ্ছে। জাপানে এক সময় খুব বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটত। গত দশ বছরে সে সংখ্যা কমে গেলেও বাংলাদেশে এখন এ সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
রোববার (২০ জানুয়ারি) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য প্রকাশ করেন বিশিষ্ট মনোবিজ্ঞানী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মো. সেলিম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘এই প্রবণতা থেকে আমাদের প্রজন্মকে রক্ষা করার তাগিদ এসেছে।’
বাংলাদেশে জেনেটিক হারে আত্মহত্যা বেড়েই চলেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই প্রবণতা রোধে বিভিন্ন কৌশল ও পরিকল্পনা গ্রহণ করা এখনি জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ‘অনীকদের জন্য উদ্যোগ’ শীর্ষক একটি সংগঠনের আহ্বায়ক সুভাষ চৌধুরী। তিনি তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে বলেন, ‘২০১৮ সালে সাতক্ষীরা জেলায় ৩৬৭টি অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ হিসাবে এই জেলায় দৈনিক একজনের অপমৃত্যু ঘটছে। আত্মহননকারীদের মধ্যে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।’
এই তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নারী ও পুরুষ। এ প্রসঙ্গে আরও বলা হয়, গতকাল শনিবার সাতক্ষীরায় তিনটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। আত্মহননকারী তিনজনই বিভিন্ন কলেজের ছাত্রী। তুচ্ছ কারণে এসব আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে বলে এতে জানানো হয়। আমাদের ছেলে-মেয়েরা অনেক কারণে হতাশায় ভোগে। তারা এর প্রতিবাদ অথবা প্রতিশোধ হিসাবে আত্মহত্যার মতো ক্ষতিকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। কিন্তু এটা উচিত না।