সাহান পরিবারের বড় ছেলে। তার বয়স ১৮ বছর। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে এখন বিছানায় পড়ে আছেন। বিশাল আকারের টিউমারের মতো এ রোগটি তার ডান পায়ে বাসা বেধেছে। শরীরের অন্যান্য অংশ ভালো থাকলেও ডান পায়ের কারণে একা হাঁটতে পারছেন না। বিছানায় শুয়েই বাঁচার জন্য প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে যাচ্ছেন তিনি।
এ ব্যাধি থেকে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকতে প্রয়োজন প্রচুর টাকার। যা জোগাড় করা তার দিনমজুর বাবার পক্ষে সম্ভব না। তাইতো ছেলের সুষ্ঠু চিকিৎসা করাতে সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছেন সাহানের বাবা-মা।
সাহান লক্ষ্মীপুরের রামগতি পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সবুজগ্রাম এলাকার দিনমজুর শাহাব উদ্দিন ও গৃহিণী বিবি ফাতেমার ছেলে।
জানা গেছে, ২০১৫ সালে সাহানের ডান পায়ে একটি টিউমার দেখা দেয়। পরে ঢাকার একটি হাসপাতালে তার টিউমারটি অপারেশন করা হয়৷ কিন্তু তাতেও রোগটি নিরাময় হয়নি। পুনরায় বড় হতে থাকে। ২০১৬ সালের জানুয়ারির প্রথমদিকে নোয়াখালীর প্রাইম হাসপাতালে নিলে পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে রোগটি ক্যানসার হিসেবে শনাক্ত করেন চিকিৎসক। সাহান তখন এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন৷ অসুস্থ শরীর নিয়ে পরীক্ষায় বসেন তিনি। কিন্তু কৃতকার্য হতে পারেননি।
অন্যদিকে ধীরে ধীরে রোগটি বেড়ে যায়। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক সার্জারি কেমোথেরাপি রোকাইয়া সুলতানার অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এখন তিনি বাড়িতে আছেন। ২১ দিন পর পর ঢাকায় গিয়ে তাকে কেমোথেরাপি দিতে হবে বলে পরিবারের লোকজন জানিয়েছে।
সাহানের মা বিবি ফাতেমা জানান, টাকার অভাবে গত সাত মাস সাহানের চিকিৎসা চালানো যায়নি। এতে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেছে। এখন চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রতি ২১ দিন পর পর সাহানকে ৬টি কেমোথেরাপি দিতে হবে। এজন্য প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচ হবে।
তিনি আরও জানান, সাহানের চিকিৎসার জন্য এ পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এখন তার দিনমজুর স্বামীর পক্ষে ছেলের চিকিৎসার খরচ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই ছেলেকে বাঁচাতে সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের কাছ থেকে আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
সহযোগিতা পাঠাতে যোগাযোগের জন্য সাহানের মোবাইল নাম্বার ০১৮৩১১৫৯৯২৬, তার চাচাতো ভাই মো. অন্তরের মোবাইল নাম্বার ০১৭৮৯৩২০৭৫০ (বিকাশ ব্যক্তিগত)।