নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পারিবারিক কলহের জের ধরে মেয়ে জামাতার ছুরিকাঘাতে ওয়াহাব মিয়া (৫০) নামে শ্বশুর নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় জামাতা আলমগীর হোসেনকে (৩২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২১ জানুয়ারি) রাতে ফতুল্লার আলীগঞ্জ মধ্যপাড়া এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
নিহত ওয়াহাব মিয়া আলীগঞ্জ মধ্যপাড়ার মৃত কাদির মিয়ার ছেলে। আটক আলমগীর হোসেন দাপা উকিলবাড়ি মোড় এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (এসআই) ছালেকুজ্জামান জানান, ওয়াহাব মিয়ার মেয়ে শাহনাজ আক্তারের সঙ্গে আলমগীর হোসেনের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া হতো। দুই মাস আগে নারায়ণগঞ্জ আদালতে শাহনাজ আক্তার বাদী হয়ে স্বামী আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করেন।
এ ধারাবাহিকতা সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আলমগীর হোসেন শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী শাহনাজ আক্তারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। ওই সময় শ্বশুর ওয়াহাব মিয়া প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে প্রথমে মারধর পরে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা ওয়াহাব মিয়াকে উদ্ধার করে শহরের ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আর এলাকাবাসী জামাতা আলমগীর হোসেনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
ওয়াহাব মিয়ার মেয়ে শাহনাজ আক্তার জানান, ২ থেকে ৩ মাস আগে পারিবারিক ভাবে আলমগীর হোসেনের সঙ্গে শাহনাজের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের ৩ থেকে ৪দিন যাওয়ার পরই মাদক সেবন করে বাড়ি ফিরতো স্বামী আলমগীর। আর বাসায় ফিরে যৌতুকের দাবিতে শাহনাজকে নির্যাতন করত। আর নির্যাতন সইতে না পেরে আলীগঞ্জে বাবার বাড়িতে চলে আসে সে।
দুই মাস আগে যৌতুক দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগে শাহনাজ বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতে স্বামী আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সোমবার বিকেলে আলমগীর হোসেনের বাবা আব্দুস সাত্তারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ক্ষোভে শ্বশুর বাড়িতে এসে আমাকে মারধর করতে চেষ্টা করে। ওই সময় বাবা ওয়াহাব মিয়া বাধা দিলে তাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের বলেন, 'জামাতা আলমগীর হোসেনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।'