অগ্রহায়ণজুড়ে ধান আর ধান, ফসল তোলা আর নবান্নের গান। পৌষের শীতে পিঠা-পুলির ধুম। এ ছিল আবহমান বাংলার চিরাচরিত রূপ।
১২ মাসে ১৩ পার্বণের দেশ বাংলাদেশ। এখন শীতকাল। দিনের বেলায় এর প্রভাব বোঝা না গেলেও সন্ধ্যা নামতেই মনে হয় শীতের কবলে পড়েছে মানুষ। শীত আসলেই বাঙ্গালীর ঘরে ঘরে চলে পিঠা খাওয়ার ধুম।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সর্বত্র চলছে এখন পিঠা-পুলি খাওয়ার ধুম। বিভিন্ন বাজার-হাটে পিঠা বিক্রির হিড়িক পড়েছে। আর শীতের সন্ধ্যাকালে ভাপা-ফুলি পিঠা ও হাঁস-মুরগির ডিম বিক্রিসহ শীতের বিভিন্ন পিঠা বিক্রি করেন দোকানিরা।
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেই দোকানিরা তাদের দোকান নিয়ে হাটে বাজারে পাকা রাস্তার ধারে, কাচা-পাকা রাস্তার মোড়ে অস্থায়ীভাবে বসে। সন্ধ্যা থেকে রাত্রি ১০টা পর্যন্ত দোকানগুলো খোলা থাকে। এতে বেশ জমে উঠে তাদের দোকান।
উপজেলার বসুরহাট, বাংলাবাজার, বামনী বাজার, হাজারীহাট বাজারে এসব চিত্রের দেখা মিলে। দোকানি বেলাল হোসেন জানান, প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দোকানে এ সকল খাওয়ার জিনিস বিক্রয় করে ২-৩ হাজার টাকা আয় করেন। এতে তার আয় ভাল হয় এবং সংসারও ভাল চলে।