লক্ষ্মীপুরের মান্দারীর রতনপুর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নূর আলম সোহাগ (৩০) নামের এক সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক নিহত হয়েছেন। নূর আলম সোহাগ তার সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন।
নিহত চালক নূর আলম লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের নেয়ামতপুর গ্রামের নূর মোহাম্মদের একমাত্র ছেলে।
তার মৃত্যুতে পরিবারটি এখন অসহায় হয়ে পড়েছে। মরদেহ নিতে এসে সদর হাসপাতাল এলাকায় পরিবারের সদস্যদের আহাজারিতে থমথমে অবস্থা সৃষ্টি হয়। কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহত নূর আলমের বাবা ও দুই বোন।
বুধবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে সদর হাসপাতালে লাশ ঘরের সামনে ভাইয়ের মৃত্যুর শোকে বাবা নূর মোহাম্মদকে জড়িয়ে ধরে কাঁধতে দেখা যায় বোন পাকি বেগম ও লাকি আক্তারকে।
এর আগে ভোরে ঢাকা-রায়পুর সড়কের সদর উপজেলার রতনপুর এলাকায় মালবাহী ট্রাক ও অটোরিকশার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অটোরিকশাতে থাকা একই পরিবারের ছয় জন ও চালক নিহত হন।
হাসপাতাল এলাকায় কান্না জড়িত কণ্ঠে নূর মোহাম্মাদ বলেন, ‘নূর আলম পরিবারের সকলের স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করতো। এখন আর পরিবারের কারো স্বপ্ন পূরণ হবে না। রাত ৪টার দিকে পাম্প থেকে গ্যাস নিয়ে নোয়াখালীর চাঁদখালী যাবে বলে সে বাড়ি থেকে বের হয়েছে। তখন আমার সাথে তার দেখা হয়নি। আর কখনো দেখা হবেও না।’
নিহত চালকের বোন পাকি বেগম ও লাকি আক্তারের আহাজারিতে ভেসে আসছে নূর আলমকে হারিয়ে তাদের সংসারের অসহায়ত্ব। এখন কে দেখবে তাদের সংসার? এ বৃদ্ধ বয়সে তাদের বাবা-মায়ের দায়িত্ব নেবে কে? তার প্রতিবন্ধী ছেলেটার এখন কি হবে? সাত মাস বয়সী তার ছেলে মিরাজ কাকে বাবা বলে ডাকবে? এমন প্রশ্ন।