পুলিশের প্রতি মানুষের বরাবরই নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। কিন্তু মানুষের সেই ধারণা পাল্টে দিয়েছেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যাহ। বিভিন্ন মানবসেবার কারণে জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
সদ্য সমাপ্ত একাদশ সংসদ নির্বাচনের মাত্র কিছুদিন পূর্বে হবিগঞ্জে পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান তিনি। এর পর থেকেই একেকটি মানবিক কাজ করে সমগ্র জেলায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আর এই মানবিক কর্মকাণ্ডগুলো পরিচালনার ফলে জেলার পুলিশের সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা একেবারেই পাল্টে দিয়েছেন।
ব্যক্তিগত উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে ঘুরে গরীব, অসহায়, হতদরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শীতার্তদের শীতবস্ত্র বিতরণ করছেন মোহাম্মদ উল্ল্যাহ। ইতোমধ্যে চা-বাগানসহ সাতটি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শীতার্তদের ১২ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করেন তিনি।
শহরের চেয়ে গ্রামে শীতের তীব্রতা বেশি। তাই কঠোর পরিশ্রমীদের শীতবস্ত্রের অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আর এ বিষয়টি নজরে আসে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যাহর। তাই তিনি জেলার বানিয়াচং, লাখাই, হবিগঞ্জ সদর, চুনারুঘাট, নবীগঞ্জ ও বাহুবল উপজেলায় শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন। পর্যাক্রমে বাঁকি উপজেলাগুলোতেও শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
শীতবস্ত্র বিতরণের শুধুমাত্র কম্বল বিতরণই নয়। শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের মানুষের জন্য স্যুয়েটারসহ বিভিন্ন ধরনের ভালোমানের বস্ত্র সামগ্রী বিতরণ করেন এই পুলিশ সুপার।
এ ব্যাপারে মোহাম্মদ উল্ল্যাহ বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। পর্যাক্রমে অন্যান্য উপজেলাগুলোতে বিতরণ করা হবে। জেলার নয়টি থানা এলাকার আরও প্রায় ১০ সহস্রাধিক দরিদ্র নারী, পুরুষ ও শিশুদের এ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সমাজে অনেক বিত্তবান রয়েছেন, তারা যদি স্বদিচ্ছা নিয়ে এগিয়ে আসেন তাহলে শুধু হবিগঞ্জ কেন সমগ্র দেশেই দরিদ্রতা কমে আসবে। একজন বিত্তবান ব্যক্তির ১০০ জন দরিদ্র ব্যক্তির পাশে দাঁড়ানোর সক্ষমতা রয়েছে। এভাবে যদি একজন করে ১০০ জন বিত্তবান ব্যক্তি দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ান তাহলে এক হাজার দরিদ্রের দারিদ্রতা কমে যাবে।’
এ সময় অসহায় মানুষের সেবায় এগিয়ে আসতে বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।