বিএফডিসি মৎস্য ঘাটে স্থান সংকট, ভোগান্তিতে ব্যবসায়ীরা

বরগুনা, দেশের খবর

ইমরান হোসেন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বরগুনা, বার্তা২৪.কম | 2023-08-24 10:51:00

বাংলাদেশের দ্বিতীয় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বরগুনার পাথরঘাটার বাংলাদেশ ফিশ ডেভেলপমেন্ট (বিএফডিসি) ঘাটে স্থান সংকটে ভুগছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, প্রতিদিনই বাড়ছে ট্রলার, জেলে, পাইকার ও আড়তদারের সংখ্যা। কিন্তু এখানের স্থান সংকটের কোনো সমাধান হয় না।

ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, যেনতেনভাবে ৩ জন পাইকারকে একটি টোলঘর দিয়েছে বিএফডিসি। আর আড়তদারদের অভিযোগ, মাছ ক্রয়ের পর স্থান সংকটে বিপাকে পরতে হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৮১ সালের ১৯ মার্চ বাংলাদেশের দ্বিতীয় এ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নির্মাণ করে সরকার। এরপর আর কোনো উন্নয়ন করা হয়নি এই কেন্দ্রের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভবনের নিচতলা শুধু আরৎদাররা ব্যবহার করেন। সামনের অংশের টিনশেড ঘরে ৩ জন পাইকার মাছ প্যাকেট করছেন। অথচ সেখানে ব্যাবসায়ী আছেন প্রায় ১৮০ জন। বাকিরা গাছের নিচে বসে কাজ করে রাজধানীসহ ৪০টি জেলায় মাছ পাঠান।

মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের পাইকার কালাম মিয়া বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘বরগুনাসহ সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার মাছ ভর্তি ট্রলার আসে বিএফডিসি’তে। এখানে ট্রলার বেড়েছে দ্বিগুণ। বেড়েছে পাইকার, আরৎদার ও জেলেদের সংখ্যা। তবে বাড়েনি মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের স্থান। মাছ ব্যবসায়ীদের উন্নয়নের কোনো চিন্তা নেই কর্তৃপক্ষের। ফলে স্থান সংকটের কারণে মাছ কিনতে, প্যাকেট করতে, পরিবহনে উঠাতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।’

আড়তদার জালাল ফকির, নজরুল ইসলামসহ অনেকে  জানান, মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের অনেক সমস্যা। মাছ বাছাই করা, মাছ মাপা ও প্যাকেট করার জন্য যে জায়গা দরকার এখানে তার অর্ধেকও নেই। ফলে একই স্থানে ৪-৫ জন আরৎদারকে মাছ বিক্রি করতে হয়। আবার একই স্থানে মাছ রাখায় প্রতিদিনই ঝগড়া লাগে।

এ বিষয়ে ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘একটি পল্টুনে মাছ ভর্তি হাজার হাজার ট্রলার ভিড়তে হয়। সাগর থেকে ফিরে মাছ ভর্তি ট্রলার নদীতে নোঙর করে রাখতে হয়। আর মাছ তাজা রাখতে বরফ দেওয়া লাগে। ফলে মাছের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয় এবং বরফ কিনতে অতিরিক্ত খরচ হওয়ায় মাছের দাম বাড়াতে হয়।’

মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক লে. এম নুরুল আমিন বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘পাইকার, আড়তদার, ট্রলার মালিকদের সমস্যা সমাধানে কাজ করছেন তারা। তবে এসব সমস্যা সমাধানে একটু সময় প্রয়োজন।’

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম, কুয়াকাটা, মংলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার ট্রলার ভেড়ে মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের এই ঘাটে। এখানে বিক্রির ওপর ১.২৫ শতাংশ হারে রাজস্ব পায় সরকার।

এ সম্পর্কিত আরও খবর