পটুয়াখালীতে শীতকালীন পিঠার দোকানগুলোতে এখন জমজমাট বেচা বিক্রি। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হওয়া বিকি-কিনি চলে গভীর রাত পর্যন্ত। আর অধিকাংশ দোকানগুলো পরিচালনা করছেন নারীরা। ফলে তাদের বাড়তি আয়েরও সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
আর এসব দোকানে বাহারি পদের পিঠা রাস্তা-ঘাটে বিক্রি হওয়ায় বাড়িতে তৈরির ঝামেলা এড়িয়ে অধিকাংশ মানুষ পরিবারের সদস্যদের জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে সরকারি বেসরকারি সহায়তা পেলে এসব দোকানিরা স্থায়ীভাবে সচ্ছলতা অর্জন করতে পারবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পটুয়াখালী শহরের সদর রোড থেকে শুরু করে বিভিন্ন অলি গলিতেও এখন মিলছে শীতকালীন পিঠাপুলি। বিশেষ করে ব্যস্ত সড়কের পাশে গড়ে উঠেছে এসব পিঠার দোকান। পাঁচ টাকা থেকে ১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস পিঠা। আর কিছু পিঠার সাথে মিলছে নানা পদের ভর্তা। আবার ক্রেতার চাহিদার সাথে থাকছে খেজুর গুড় সহ নারকেল দিয়ে পিঠা খাবার সুযোগ। তাইতো এসব দোকানে সব সময়ে ক্রেতাদের ভিড় লেগেই থাকে। এ ছাড়া বাসায় পিঠা তৈরির ঝামেলা এড়িয়ে অনেকে এসব দোকান থেকে পছন্দ মতো পিঠা বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন।
বিক্রেতার বলছেন, 'বছরের এই সময়টা শীতকালীন পিঠার বেচা-বিক্রি বেশি হয়। তাইতো এই সময়ে দোকানিরা স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন যাপন করতে পারেন। বর্তমানে চিতই, চটা, ভাপা, বরাপিঠা, পাটিসাপটা সহ ৫ থেকে ৭ ধরনের পিঠা তৈরি করছেন তারা। আর চিতই ও চটা পিঠা খাওয়ার জন্য থাকছে নারকেল গুর সহ বাহারি পদের ভর্তা।'
জেলা শহর গুলোতে নারীদের জন্য পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় অনেকেই ব্যক্তি উদ্যোগে এসব পিঠার দোকান গড়ে তুলেছেন। নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন শুকতারা মহিলা সংস্থার পরিচালক মহফুজা ইসলাম জানান, এসব উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণসহ বিনা সুদে ঋণ দেয়া হলে নারীরা তাদের প্রতিষ্ঠান গুলো যেমন বড় করতে পারবে তেমনি নিজেরা স্বাবলম্বী হবেন।
পটুয়াখালী শহরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় এখন নারীরা পিঠা পুলি, চটপটি,ফুচকা, ফাস্টফুড সহ বিভিন্ন ব্যবসায় নিজেদের সম্পৃক্ত করতে শুরু করেছেন।