হবিগঞ্জের মাধবপুরে দুর্বৃত্তের ছোড়া এসিডে সদস্য তালাকপ্রাপ্ত যুবতী ঝলসে গেছে। এসময় তার পাশে ঘুমন্ত ছোট বোনের শরীরও ঝলসে যায়।
বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাত প্রায় ২টার দিকে ঘরের গ্রিল ভেঙে ঘুমন্ত দু-বোনের উপর অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত এসিড ছুড়ে মারে। পরে পরিবারের লোকজন এগিয়ে এসে তাদেরকে উদ্ধারক করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্মরত ডাক্তার তাদের ঢাকা প্রেরণ করেন।
খবর পেয়ে শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছে।
পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা গ্রামের এখলাছ মিয়ার মেয়ে হাবিবা আক্তারকে প্রায় ১০ মাস পূর্বে বিয়ে দেয়া হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার সায়েক গ্রামের ছায়েদ আলীর ছেলে মুমিন মিয়ার সাথে। বিয়ের তিন মাস পরই হাবিবা তার শ^শুর বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। গত ১৫ দিন আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ (ডিভোর্স) হয়।
হাবিবা প্রতিদিনের ন্যায় রাতে খাবার শেষে তাদের কক্ষে ছোট চার বোনকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত প্রায় ২টার দিকে কে বা কারা ঘরের গ্রিল ভেঙে তাদের উপর এসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। এ সময় দুর্বৃত্তের ছোড়া এসিডে হাবিবা আক্তার (২০) ও তার ছোট বোন স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী আয়েশা আক্তার (১০) ঝলসে যায়।
তাদের-চিৎকারে পরিবারের লোকজন এগিয়ে এসে তাৎক্ষণিক দু-বোনকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাইফুর রহমান সোহাগ তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
জরুরি বিভাগে কর্মরত ডা. সাইফুর রহমান জানান, দু-বোনই এসিডে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে বড় বোন হাবিবা আক্তারের মুখের প্রায় ৭০ শতাংশ ঝলসে গেছে। তার অবস্থা আশংকাজনক। এছাড়াও ছোট বোন আয়েশার শরীরের বিভিন্নস্থানে এসিড পড়েছে। দু-জনকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে।
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া দুর্বৃত্তদের গ্রেফতার করে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এ বিষয়ে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাননি।