প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় কীর্তন গানের এক কিশোরী শিল্পীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার পীড়ারবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে প্রথমে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কিশোরী ও তার পরিবারের অভিযোগ, পীড়ারবাড়ি গ্রামের পরিক্ষিত মল্লিকের ছেলে পরিমল মল্লিক (২২) ও গুরুদাস মল্লিকের ছেলে কালু মল্লিক (১৯) এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে।
কিশোরীর বাবা সবজি ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমার মেয়ে খুলনার লক্ষ্মী নারায়ণ সম্প্রদায় নামের একটি কীর্তনের দলের শিল্পী। গত দুই দিন আগে ছুটিতে বাড়ি আসে। বাড়িতে আসলে সন্ধ্যার পরে গিয়ে পীড়ারবাড়ি বাজারের দোকানে বসে
আমার ব্যবসায় সাহায্য করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে পরিমল ও কালু আমার মেয়ের মুখ বেঁধে টেনে হেঁচড়ে পুকুর পাড়ে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। সেখান থেকে কৌশলে আমার বড় মেয়েকে ফোন দিয়ে ঘটনার কথা জানাতেই ওরা ফোন কেড়ে নেয় ও মারপিট করে। আমার মেয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে ফেলে রেখে বখাটেরা পালিয়ে যায়। পরে আমরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি।’
কীর্তন শিল্পীর মা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার মেয়েকে পরিমল ও কালু ধর্ষণ করেছে। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্থি চাই। যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো মেয়ে ধর্ষণের স্বীকার না হয়।’
ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী বলে, ‘বেশ কিছুদিন আগে থেকে পরিমল মল্লিক তার পরিচয় গোপন করে ফোনে আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। পরিমলের পরিচয় পাওয়ার পর আমি তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করি। এ কারণে প্রতিশোধ নিতে পরিমল ও তার সহযোগী কালু আমাকে ধর্ষণ করেছে।’
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. অসিত কুমার মল্লিক জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ওই কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি করে। আলামত সংগ্রহ করে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
ধর্ষণের বিষয়ে শারীরিক পরীক্ষা শেষেই বলা যাবে বলে জানিয়েছেন এ চিকিৎসক।
কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ফারুক বলেন, ‘এমন একটি ঘটনার বিষয় আমি শুনেছি। এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ নিয়ে আসলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।,