পাঁচ বছরেরও অধিক সময় সংস্কার না হওয়ায় খুলনা মহানগরীর দৌলতপুরস্থ মহাসিন মোড় থেকে ডুমুরিয়া শাহপুর আঞ্চলিক সড়কের ৯ কিলোমিটার রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সড়কের পিচ উঠে ইট বেরিয়ে পরেছে। রাস্তাটির অধিকাংশ স্থানে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত ও খানা-খন্দে বেহাল দশা তৈরি হয়েছে। সড়কটিতে চলাচলকারী যানবাহনে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় লাগছে দ্বিগুণ, আবার দুর্ঘটনাও ঘটছে।
এছাড়াও রাস্তা ভাঙা কারণে প্রায়শই যানবাহন বিকল হয়ে পড়ছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন রাস্তাটিতে চলাচলকারী চালক ও যাত্রীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ডুমুরিয়ার শাহপুর বাজারের সামনে, থুকড়া মাদ্রাসার সামনে, রামকৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সামনে, আমভিটা বাজার, খানজাহান আলী কৃষি কলেজের সামনে, শলুয়া বাজার সংলগ্ন, শলুয়া পূর্ণচন্দ্র বিদ্যালয়ের সামনে ও বাইপাস সড়কের সামনে খানা-খন্দ সৃষ্টি হয়েছে।
গর্তের মধ্যে ইট-খোয়া ফেলে চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা করা হয়েছে। যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে খোয়া সড়কে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে। বিশেষ করে ছোট যান চলাচলের ক্ষেত্রে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ডুমুরিয়া কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রের তথ্য মতে, ডুমুরিয়ার বিল ডাকাতিয়ার মাঝ দিয়ে পুরাতন সাতক্ষীরা সড়ক নির্মাণ করা হয়। নগরীর দৌলতপুর মহাসিন মোড় থেকে শাহপুর আঞ্চলিক সড়ক দূরত্ব প্রায় ১৩ কিলোমিটার।
এর মধ্যে আড়ংঘাটা থেকে শাহপুর বাজার পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় কার্পেটিং উঠে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। কোথাও কোথাও খোয়া উঠে মাটি বেরিয়ে পড়েছে। আবার কোথাও মাটি দেবে বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে।
ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সামনের বর্ষা মৌসুমের আগে সড়কটি মেরামত করা না হলে, বর্ষায় সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।
শাহপুরের শলুয়া পূর্ণচন্দ্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রামিসা রাত্রী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘প্রতিদিন ধুলার ভেতর দিয়ে স্কুলে যেতে হয়। কয়েক বছর ধরে এভাবেই চলাচল করছি। রাস্তায় হাটার সময় পাশ দিয়ে কোনো গাড়ি গেলে ধুলায় আমাদের ড্রেস নষ্ট হয়ে যায়, নিশ্বা:স নিতে কষ্ট হয়।’
ইজিবাইক চালক আব্দুর রহমান বলেন, ‘এ রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালালে গাড়ির ফর্ক, বেয়ারিং, চাকা সব নষ্ট হয়ে যায়। গর্তে পরে গাড়ির গ্লাসও ভেঙ্গে গেসে। আর ১০ মিনিটের পথে যেতে আধা ঘন্টারও বেশি সময় নষ্ট হয়।’
এলজিইডির ডুমুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার দাস বলেন, ‘রাস্তা নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অর্থছাড় পেলেই চলতি বছরে জুন মাস থেকে কাজ শুরু করা হবে।’