বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ৯৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী সুলতান মেলা শুরু হচ্ছে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে। নড়াইল শহরের সুলতান মঞ্চে মেলা চলবে ৮ মার্চ পর্যন্ত।
রোববার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এস এম সুলতান ফাউন্ডেশন ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক আনজুমান আরার সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ মনিরজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ইয়ারুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাজী মাহাবুবুর রশিদ, সুলতান ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মিকু প্রমুখ।
মেলার ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- চিত্র প্রদর্শনী, চিত্রাংকন, কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, প্রতিদিন এস এম সুলতানের জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা, লাঠিখেলা, ভলিবল, কুস্তি, সুলতান পদক প্রদান, প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট তৎকালিন মহকুমা নড়াইলের চিত্রা নদীর পাশে সবুজ শ্যামল ছায়া ঘেরা মাছিমদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মোঃ মেছের আলি ও মাতা মোছাঃ মাজু বিবি।
চেহারার সঙ্গে মিলিয়ে পিতা-মাতা আদর করে নাম রেখেছিলেন লাল মিয়া। এস এম সুলতানের ৭০ বছরের জীবনে তিনি তুলির আঁচড়ে এঁকেছেন ‘পাট কাটা’, ‘ধানকাটা’, ‘ধান ঝাড়া’, ‘জলকে চলা’, ‘চর দখল’, ‘গ্রামের খাল’, ‘মৎস শিকার’ সহ বিখ্যাত সব ছবি।
১৯৫০ সালে ইউরোপ সফরের সময় যৌথ প্রদর্শনীতে তাঁর ছবি সমকালীন বিশ্ববিখ্যাত চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসো, ডুফি, সালভেদর দালি, পলক্লী, কনেট, মাতিসের ছবির সঙ্গে প্রদর্শিত হয়। এই চিত্রশিল্পী ১৯৮২ সালে একুশে পদক, ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্স আর্টিস্ট হিসেবে স্বীকৃতি, ১৯৮৬ সালে চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা এবং ১৯৯৩ সালে রাষ্টীয়ভাবে স্বাধীনতা পদক প্রদান করা হয়। ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোরের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শিল্পী সুলতান মৃত্যুবরণ করেন।