লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়ায় প্রাইভেটকার চালক নাজমুল আহসান হত্যা মামলায় ৪ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শাহে নূর এ রায় দেন। হত্যার শিকার নাজমুল চাপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার হুজাপুর গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেন মালুর ছেলে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার দত্তপাড়া গ্রামের জিল্লুর রহিমের ছেলে কামরুল হাসান রাব্বি, শ্রীরামপুর গ্রামের মো. মোস্তফার ছেলে রুবেল, আবদুল ওয়াদুদের ছেলে মো. মানিক এবং বড়ালিয়া গ্রামের আবদুল হাইয়ের ছেলে মো. রিয়াজ। রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১২ জুন ঢাকার উত্তরা থেকে ভুয়া পরিচয় দিয়ে রেন্ট–এ–কার থেকে একটি প্রাইভেটকার ভাড়া নেয় আসামিরা। সেদিন রাতে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের তোতারখিল এলাকায় ওই প্রাইভেটকারের চালক নাজমুলকে কুপিয়ে হত্যা করে আসামিরা। পরে তারা গাড়িটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ২২ জুন গাড়ির মালিক শাহীন তারেক বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। শাহীন ঢাকা দক্ষিণখান এলাকার সিরাজ উদ্দিন আহমেদের ছেলে। পরে চাঁদপুর থেকে ওই গাড়িটি উদ্ধার করে পুলিশ। এর সূত্র ধরে কামরুল ও রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তারা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। পরবর্তীতে তারা জামিনে বের হন।
২০১৪ সালের ২০ অক্টোবর ৪ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌশলী (পিপি) মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন জানান, চালক নাজমুল হত্যা মামলায় ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ৪২০ ধারায় আসামিদের আরও ৫ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আসামিরা পলাতক রয়েছে।