চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কমিশনার হিসেবে যোগদান করে প্রথম দুই দিনে ৮০০ ফাইল স্বাক্ষর করেছেন। নতুন কর্মস্থলের কর্মকর্তাদের কঠোরভাবে সর্তক করেছেন। বৈঠকে অধীনস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে তার বার্তা, ‘ভাল হলে চেয়ারে থাকেন, না হয় চেয়ার ছাড়েন। আগে যা করেছেন, হয় ভুলে যান, না হয় চলে যান।’
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এই নতুন কমিশনার হলেন কাজী মোস্তাফিজুর রহমান। মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) তিনি তার দায়িত্ব বুঝে নেন। এর আগে তিনি ঢাকা দক্ষিণের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের দায়িত্বে ছিলেন।
পূর্বের কাস্টমস কমিশনার অন্যত্র বদলি হওয়ায় প্রায় এক হাজার ফাইল জমে যায়। এর মধ্যে যোগদানের প্রথম দুই দিনে ৮০০ ফাইল ছাড় দেন নতুন কমিশনার। বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) বার্তা২৪.কমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কাস্টমস কমিশনার কাজী মোস্তাফিজুর রহমান।
এ বিষয়ে কমিশনার কাজী মোস্তাফিজুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘পূর্বের কাস্টমস কমিশনার বদলি হওয়ায় প্রায় এক হাজার ফাইল আটকে যায়। এর মধ্যে দেখে শুনে প্রায় ৮০০ ফাইল ছাড় দিয়েছি। কিছু কিছু ফাইল পুন:তদন্তেও দেওয়া হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ১০ জানুয়ারি ঘুষ গ্রহণের দায়ে কাস্টমস হাউজের রাজস্ব বিভাগের (আরও) প্রশাসন নিজাম উদ্দিন আহমেদকে ঘুষের টাকাসহ গ্রেফতার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর পর কাস্টমস কমিশনার একেএম নুরুজ্জামানকে অন্যত্র বদলী করা হয়।
বার্তা২৪.কম-এর সাথে আলাপকালে কাস্টমস কমিশনার কাজী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘কর্মকর্তাদের বলেছি,এতোদিন যা করেছেন ভুলে যান। যারা তা পারবেন না, চলে যেতে পারেন। সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে মধুর ভাষা ব্যবহার করবেন। কোনো বক্তব্য থাকলে তা মুখে ঝারাঝারি না করে লিখিতভাবে দেবেন।’
কাস্টমসের নতুন কর্মকর্তাদের উদ্যেশে তিনি বলেন, ‘কাজের গতি আরো বাড়াতে হবে, কাজ না জানলে দরকার হলে শিখে নেবেন। প্রয়োজনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।’
কাজী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের হারিয়ে যাওয়া সুনাম ফিরিয়ে আনতে কাজ করব।’
ঢাকা দক্ষিণের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের দায়িত্বে থাকাকালীন রাজস্ব আদায় দেড় গুণ বৃদ্ধি করেছেন বলে জানান এই কাস্টমস কমিশনার।
কাস্টমস হাউজেও তিনি রাজস্ব আদায় অতিতের চেয়ে অন্তত দেড় গুণ বাড়ানো প্রচেষ্টা চালাবেন বলে জানিয়েছেন। ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসক হিসেবেও কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।