বাংলাদেশের প্রথম রেলপথের আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনটির সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র টিকেট মাস্টারকে রেখে বাকি সব ষ্টেশনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্টেশন থেকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ জানুয়ারি) রেল কর্তৃপক্ষের এ ধরনের একটি চিঠি আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনে এসে পৌঁছে। এরপর থেকেই বাংলাদেশের একমাত্র দোতলা রেলস্টেশনের টিকেট কাউন্টার ছাড়া স্টেশনের সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
হটাৎ করে রেল কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে স্টেশনের আপ ডাউনের পাখা ওঠা-নামা বন্ধ হয়ে গেছে। জ্বলছে না আপ-ডাউনের কোন বাতি। এতে করে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় কোন দুর্ঘটনা। এমটাই মনে করছে সাধারণ যাত্রীরা।
আলমডাঙ্গার দায়িত্বরত স্টেশন মাস্টার মিন্টু মিয়া বার্তা২৪.কমকে জানান, গত বুধবার সবকিছু বন্ধ করার চিঠিটি আলমডাঙ্গা স্টেশনে এসে পৌঁছে। এতে লেখা আছে শুধু টিকেট মাস্টারের কার্যক্রম চালু থাকবে। ট্রেন আসবে আর যাবে। তদারকির কেউ থাকবে না।
তিনি আরও জানান, স্টেশনে কর্মরত ৭ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে বিভিন্ন স্টেশনে বদলি করা হয়েছে। আলমডাঙ্গা স্টেশনে শুধু টিকেট মাস্টার থাকবেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রিটিশ সরকার চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু এন্ড কোম্পানিতে তাদের ব্যবসা প্রসারের জন্য চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে টানা জগতি পর্যন্ত রেলপথ তৈরি করে। এরপর দর্শনা থেকে জগতির মাঝপথে তৈরি করা হয় চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা ও পোড়াদহ রেলস্টেশন।
আলমডাঙ্গার দোতলা এই স্টেশনটি বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্য। রেলস্টেশনের অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।