নড়াইলের কালিয়ায় হাবিবুল আলম বীরপ্রতীক কলেজ পরিচালনায় এডহক কমিটি গঠন না করে নতুন পরিচালনা পরিষদ গঠনের জন্য নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করায় কলেজের অধ্যক্ষকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।
ওই ঘটনায় অধ্যক্ষ মো. আবু রেজা মোল্যা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে কালিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে কলেজের এডহক কমিটির সাবেক সভাপতিসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়া উপজেলার পেড়লীতে অবস্থিত হাবিবুল আলম বীরপ্রতীক কলেজের পরিচালনা পরিষদটি দীর্ঘদিন ধরে এডহক কমিটি দিয়েই চলছিল। চলতি বছরের প্রথম দিকে মো. ইমরানুল হক মিশাকে সভাপতি করে গঠিত এডহক কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে ২০১৮ সালের ৯ ডিসেম্বর নতুন পরিচালনা পরিষদ গঠনের জন্য নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধির কারণে সে সময় নির্বাচনটি স্থগিত করে জেলা প্রশাসক।
পরবর্তীতে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হলে কলেজ কর্তৃপক্ষ আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পরিচলনা পরিষদ সদস্যদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন ধার্য করেন। কিন্ত আগের মতো এডহক কমিটি গঠন না করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করায় এডহক কমিটির সাবেক সভাপতি মিশা মোল্যা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পরে বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে স্বদলবলে কলেজে গিয়ে অধ্যক্ষকে একটি কক্ষে নিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এ সময় পরিচালনা পরিষদের সদস্যদের নির্বাচন বন্ধ না করলে তার পা ভেঙে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়।
ওই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে অধ্যক্ষ মো. আবু রেজা মোল্যা বাদী হয়ে মো. ইমরানুল হক মিশাসহ পাঁচ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচ জনকে আসামি করে কালিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত সাবেক সভাপতি মো. ইমরানুল হক মিশার সঙ্গে তার মুঠোফোনে কয়েকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অধ্যক্ষ লাঞ্চিতের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।’